খাবার পানি অপচয় করায় কোহলিকে জরিমানা
৭ জুন ২০১৯ ১৮:০৩
২০১৭ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, এক লিটার মিনারেল ওয়াটার যেখানে ১০ রুপিতেই পাওয়া যায়, সেখানে ১ লিটার পানির জন্য ভারতীয় দলপতি বিরাট কোহলি ৬০০ রুপি খরচ করেন। গত দুই বছরে সেই খরচ আরও বেড়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। দুই বছর আগে ভারতীয় অধিনায়ক কোহলি তার প্রতি লিটার খাবার পানির জন্য ব্যয় করতেন বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭২৯ টাকা!
সম্প্রতি খাবারের পানি গাড়ি ধোয়ার কাজে ব্যবহার করায় জরিমানা গুণতে হলো কোহলিকে। যদিও জরিমানার অংকটা নস্যি কোহলির কাছে। মাত্র ৫০০ রুপি জরিমানা হয়েছে তার। তবুও ঘটনাটি নিয়ে বেশ সমালোচনা শুরু হয়েছে গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
খাবার পানি দিয়ে গাড়ি পরিস্কার করতে গিয়ে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সতর্কবার্তাও পেয়েছেন কোহলির ড্রাইভার ও স্টাফরা। ঘটনাটি ভারতের গুরগাঁওয়ের। সেখানে খাবারের জন্য প্রয়োজনীয় বিশুদ্ধ পানি দিয়ে কোহলির গাড়ি পরিস্কার করেন তার গাড়িচালক ও কর্মীরা। বিষয়টি চোখে পড়ে এক প্রতিবেশির। তিনি গুরগাঁও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে অভিযোগ করেন।
অভিযোগকারী জানান, ‘কোহলির বাড়িতে এক ডজনেরও বেশি গাড়ি আছে। প্রতিদিন খাবার পানি দিয়ে গাড়িগুলো ধোয়া হয়। যার ফলে কয়েকশ লিটার পানি নষ্ট হয়। সবাই পাইপের বদলে বালতিতে পানি নিয়ে গাড়ি ধোয়ার অনুরোধ করেছিলেন, যেন কিছুটা পানি বাঁচানো যায়। কিন্তু সেই অনুরোধে কাজ হয়নি।’
পরে গুরুগাঁও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনার যশপাল যাদব লোক পাঠিয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই করেন। তিনি জানান, ‘গ্রীষ্মকালে পানির খুব ঘাটতি থাকে। খাবার পানির অপচয় রোধে আমরা সর্বদাই সতর্ক থাকি। খাবার পানি এখানে হিরার চেয়েও মূল্যবান। অভিযোগ আসার পর আমরা জানতে পারি, কোহলিসহ বেশ কয়েকজন খাবার পানি দিয়ে গাড়ি ধোয়ার কাজ করছেন। এটা সত্যিই অপ্রত্যাশিত। তাদের জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গাড়িচালক, কর্মীরা সহ কোহলিকে সতর্কতামূলক বার্তা দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে যেন এমনটা না করেন সেজন্যই সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে।’
উত্তর ভারতে এখন তাপপ্রবাহ চলছে। প্রতি বছরের মতো এবারো গুরগাঁওয়ের বিভিন্ন অঞ্চলে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। তারপরও প্রতিদিন গাড়ি ধোয়ার জন্য খাবার পানি ব্যবহার করতেন কোহলির কর্মীরা। এই কাজে তারা পাইপ ব্যবহার করতেন। এমন অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কোহলির গাড়ি দেখাশুনার কাজে নিয়োজিত থাকা দীপককে জরিমানা করেন স্থানীয় পৌরসভার কর্মকর্তারা।
সারাবাংলা/এমআরপি