ইংলিশ বধে রোডসের পুঁজি ৩৬ বছরের অভিজ্ঞতা
৮ জুন ২০১৯ ১২:২২
ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারে ১৯৬৪ সালে জন্ম বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান কোচ স্টিভ রোডসের। সব মিলিয়ে ইংলিশ কন্ডিশনের সাথে তার ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ৩৬ বছরের। ইংলিশ আবহাওয়া সম্পর্কে তাই তার ধারণা অন্য সবার থেকে বেশি। এখানে কে কেমন খেলতে পারে সে অভিজ্ঞতাটাও তাই তার থেকে ভালো বুঝবেন না কেউই। আর এই অভিজ্ঞতাটাই রোডসের ইংলিশ বধের কৌশলের প্রধান অস্ত্রের একটি হতে পারে।
প্রায় ৩৬ বছর ধরে ইংলিশ কন্ডিশনে ক্রিকেট খেলছেন এবং ক্রিকেট নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। ১৯৮১ সালে ইয়র্কশায়ারের ব্রিস্টল ক্রিকেট ক্লাবের সাথে ক্রিকেট যাত্রা শুরু রোডসের। এরপর ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ৯টি ওডিআই আর ১১টি টেস্ট।
তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের থেকে ঘরোয়া ক্রিকেটেই বেশি খেলেছেন রোডস। ইংল্যান্ডের মাটিতে ৪৪০টি প্রথম বিভাগ ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছেন, আর ৪৭৭টি লিস্ট-এ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। তাই তো ইংলিশ এই কন্ডিশন রোডসের থেকে ভাল বুঝবেন না কেউই। আর রোডসের অভিজ্ঞতায় তাই গড়ে দিতে পারে বাংলাদেশের ইংলিশ বধের মঞ্চ।
খেলোয়াড় হিসেবে ক্যারিয়ার শেষ করে ইংলিশ কন্ডিশনেই নিজের কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন টাইগারদের বর্তমান কোচ। ওয়ারচেস্টারশায়ারের হয়ে ২০০৫ সালে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। আর এরপর প্রায় ১৩ বছর ধরে ইংলিশ কন্ডিশনে কোচিং করিয়েছেন রোডস।
২০১৮ সালে বিসিবির মনের মতো হওয়ায় দুই বছরের জন্য টাইগারদের দায়িত্ব দেওয়া হয় রোডসকে। দলের দায়িত্ব নিয়েই প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে উইন্ডিজ সফর। দলকে একত্রিত করে ১০টি দিনও অনুশীলন করার সময় পাননি তিনি।
আর তার ফলাফল দৃশ্যমান, উইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেষ্টেই অসহায় আত্মসমর্পণ টাইগারদের। এরপরই যেনো রোডস জাদুর ছোঁয়ায় বদলে গেলো পুরো দল। উইন্ডিজের বিপক্ষে তাদের মাটিতেই ২-১ ব্যবধানে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে হট ফেভারিটদের বিপক্ষে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ।
এরপর এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে ফাইনালে তুললেন এই ট্যাকটিশিয়ান। এমনকি দলকে প্রথমবারের মতো জিতিয়েছেন বহুজাতিক সিরিজের শিরোপাও। দলে এসে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্তও নিয়েছেন তিনি, যা দলের পারফর্ম্যান্সে এনেছে দারুণ পরিবর্তন।
তিনিই সাকিবকে ব্যাটিং অর্ডারের পাঁচ থেকে তুলে এনেছেন তিন নম্বরে। আর সাকিব এখন তিন নম্বরে প্রতি ম্যাচেই আস্থার প্রতিদান দিয়ে যাচ্ছেন। দলে মোহাম্মদ মিঠুনের মতো ধারাবাহিক ক্রিকেটারকেও সুযোগ দিয়েছেন এই ইংলিশ। রোডস দায়িত্ব নেবার পর থেকেই ব্যাট হাতে নিয়মিত রান পাচ্ছেন সৌম্য। পুরো দলকে করেছেন একত্রিত। তার সবচেয়ে বড় গুণ ক্রিকেটারদের সাথে মিশে যান খুব অল্পতেই। আর বের করে আনতে পারেন ক্রিকেটারদের ভেতর থেকে তাদের সেরাটা।
আগের অন্যান্য কোচরা যেকোনো সিরিজ শেষে ছুটি কাটাতে দেশে ফিরে যেতেন, সেখানে তিনি বাংলাদেশের ‘এ’ দলের সিরিজ দেখেন। সময় পেলে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদেরও সময় দেন।
এবার রোডসের সামনে নিজ দেশকে হারিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ। অতীত থেকে প্রেরণা নিয়ে টাইগারদের দৃঢ় প্রত্যয় ম্যাচ জয় নিয়ে। বিশ্বকাপের শেষ দুই দেখায় ইংলিশদের হারিয়েছে বাংলাদেশ। বাড়তি অনুপ্রেরণা হয়ে সাথে আছে কার্ডিফের সৌভাগ্যের সোফিয়া গার্ডেন্স। সব মিলিয়ে টাইগারদের সামনে এক দারুণ সম্ভবনা ইংলিশদের হারানোর।
বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে তিনটা ওয়েলসের কার্ডিফ স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি।
বাংলাদেশের দর্শকরা বিশ্বকাপের সব ম্যাচ অনলাইনে কোনো ধরনের সাবস্ক্রিপশন ফি বা চার্জ ছাড়াই দেখতে পারবেন র্যাবিটহোলের ওয়েবসাইট www.rabbitholebd.com-এ। এছাড়া র্যাবিটহোলের অ্যাপেও দেখা যাবে প্রতিটি ম্যাচ। অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/UNCWS2 (শুধুমাত্র বাংলাদেশ) এই লিংকে ক্লিক করে। তাছাড়া আইওএস ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/vJjyyL (শুধুমাত্র বাংলাদেশ) এই লিংকে ক্লিক করে।
আরও পড়ুন: শ্রেষ্ঠত্বের লক্ষ্যে সাকিব
সারাবাংলা/এসএস
ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ বাংলাদেশ কোচ বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ স্পেশাল স্টিভ রোডস