এগিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি ইংল্যান্ড-উইন্ডিজ
১৩ জুন ২০১৯ ২৩:১৩
বিশ্বকাপের প্রথম দুই আসরের শিরোপাধারী উইন্ডিজ আর শিরোপা জয়টা এসেছিল এই ইংলিশদের মাটিতেই। তবে সেখানেই থেমে আছে উইন্ডিজের সাফল্য গাঁথা। এদিকে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের আশায় পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজন করছে ইংল্যান্ড। প্রথম তিন ম্যাচে দুই জয় আর একটিতে হেরে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে ইংলিশরা। অন্যদিকে সমান তিন ম্যাচে এক জয়, এক পরাজয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান উইন্ডিজের।
উভয় দলই নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে সাউদাম্পটনের হ্যাম্পশায়ার বোলে শুক্রবার (১৪ জুন) বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে তিনটায় মুখোমুখি হবে।
দুই দলের অবস্থান:
আইসিসির প্রকাশিত সবশেষ র্যাংকিংয়ে ইংল্যান্ড আছে সবার শীর্ষে। ইংলিশদের রেটিং পয়েন্ট ১২৫,আর ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে ৮ম স্থানে আছে উইন্ডিজ।
মাঠের লড়াইয়ে দু’দলই আছে দারুণ ছন্দে। বিশ্বকাপে দু’দলই হেরেছে মাত্র একটি করে ম্যাচ। যদিও ইংলিশরা জিতেছে দুইটি ম্যাচ আর উইন্ডিজ জিতেছে কেবল একটি ম্যাচ আর অপরটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত।
শেষ ১৯৭৯ সালে কিংবদন্তি অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েডের হাত ধরে জোড়া শিরোপা জিতেছিল উইন্ডিজ দল। তবে এরপরে আর শিরোপার স্বাদ উপভোগ করতে পারেনি ক্যারিবীয়রা। তবে প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপে ১৯৭৫ সালে এই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই বিশ্বকাপ জয় করেছিল ক্যারিবীয়রা। এবারের বিশ্বকাপের আগে ব্যাটিং বোলিং দুই জায়গাতেই দারুণ ফর্মে আছে উইন্ডিজ এবং অস্ট্রেলিয়া দল। যদিও আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের কাছে শিরোপা হারিয়েছে উইন্ডিজ। তবে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই নিজেদের জাত চিনিয়েছে ক্যারিবীয়রা। পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ১৫ রানে হেরেছে তারা। তবে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচটি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়ার বেশ পিছিয়ে গেছে উইন্ডিজরা।
প্রতি ম্যাচেই নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ইংলিশদের। ফর্মে আছেন দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান থেকে শুরু করে লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান পর্যন্ত সবাই। আর বোলাররাও আছেন অগ্নিঝরা ফর্মে। জোফরা আর্চার, মার্ক উডদের নিয়ে গড়া পেস লাইন আপও আছে বিধ্বংসী ফর্মে। যদিও ইনজুরিতে এই ম্যাচে মার্ক উডকে পাবে না ইংলিশরা।
ভেন্যু:
সাউথাম্পটনের হ্যাম্পশায়ারে অবস্থিত হ্যাম্পশায়ার বোল নামেই পরিচিত এই স্টেডিয়ামটি। এর আগে দ্যা রোজ বোল কিংবা দ্যা এগিয়াস বোল নামেও পরিচিত ছিল এই মাঠটি। ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ দিয়ে এবারের বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু হচ্ছে হ্যাম্পশায়ার বোলের। ২০০১ সালে নির্মিত স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা প্রায় ১৭ হাজার। ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ক্রিকেটের সব থেকে প্রাচীন সংস্করণ টেস্টে অভিষেক ঘটে এই স্টেডিয়ামটি। তবে তার আগে ২০০৩ সালে দক্ষিন আফ্রিকা এবং জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ওডিআই ম্যাচ দিয়ে সূচনা হয় একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের করা ৩৫৯ রানই এই মাঠে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
বিশ্বকাপে হেড টু হেড মোট ম্যাচ: ৬টি, ইংল্যান্ড জয়ী: ৫টি। উইন্ডিজ জয়ী: ১টি। মুখোমুখি দুই দল মোট ম্যাচ: ৯৬টি ইংল্যান্ড জয়ী: ৪৯টি। উইন্ডিজ জয়ী: ৪২টি। ড্র: ০টি ম্যাচ পরিত্যক্ত: ৫টি।
দৃষ্টি থাকবে যাদের ওপর: জেসন রয়, জোফরা আর্চার (ইংল্যান্ড), ক্রিস গেইল, জেসন হোল্ডার (উইন্ডিজ)।
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড স্কোয়াড: ইয়ন মরগান (অধিনায়ক), মঈন আলি, জনি বেয়ারস্টো, জস বাটলার, টম কুরান, জোফরা আর্চার, লিয়াম ডসন, জেমস ভিঞ্চ, লিয়াম প্লাংকেট, আদিল রশিদ, জো রুট, জ্যাসন রয়, বেন স্টোকস, ক্রিস ওকস এবং মার্ক উড।
বিশ্বকাপে উইন্ডিজের স্কোয়াড: জেসন হোল্ডার (অধিনায়ক), ক্রিস গেইল (সহ-অধিনায়ক), এভিন লুইস, ড্যারেন ব্রাভো, শিমরন হেতমায়ার, শাই হোপ, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, আন্দ্রে রাসেল, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, নিকোলাস পুরান, অ্যাশলে নার্স, কেমার রোচ, ওশান থমাস, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, শেল্ডন কটরেল।
বাংলাদেশের দর্শকরা বিশ্বকাপের সব ম্যাচ অনলাইনে কোনো ধরনের সাবস্ক্রিপশন ফি বা চার্জ ছাড়াই দেখতে পারবেন র্যাবিটহোলের ওয়েবসাইট www.rabbitholebd.com-এ। এছাড়া র্যাবিটহোলের অ্যাপেও দেখা যাবে প্রতিটি ম্যাচ। অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/UNCWS2 (শুধুমাত্র বাংলাদেশ) এই লিংকে ক্লিক করে। তাছাড়া আইওএস ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/vJjyyL (শুধুমাত্র বাংলাদেশ) এই লিংকে ক্লিক করে।
সারাবাংলা/এসএস/এমআরপি