Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাসেল আমাকে দেখলে লজ্জা পায়: মোস্তাফিজ


১৮ জুন ২০১৯ ০৩:৪৩

মোস্তাফিজ বরাবরই মজার মানুষ। কিন্তু কথা বলেন খুবই কম। এক বাক্যে সর্বোচ্চ ১০টি শব্দ বলেই চুপসে যান। সেই শব্দের পরতে পরতে লুকিয়ে থাকে হাসির উপদান। এটা তার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই। বল বারুদে ঠাসা হলেও কথাও তার প্রতিফলন নেই মোটেই। আজও তার ব্যতিক্রম দেখা গেল না।

বলা বাহুল্যই হবে, তার দারুণ বোলিংয়েই বিশ্বকাপে শেষ চারের দিকে এগিয়ে থাকলো বাংলাদেশ। কিন্তু ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে যথারীতি সেই স্বল্পভাষী ফিজ এবং মজার মজার কথা।

সে কথা শোনার আগে একটু পেছনে ফিরে যাওয়া যাক। সোমবার (১৭ জুন) বাংলাদেশের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৫৯ রানে তিন টপ অর্ডার এভিন লুইস (৭০), ক্রিস গেইল (০) ও নিকোলাস পুরান (২৫) ক্রিজ ছাড়া হওয়ার পর চতুর্থ উইকেটে শেই হোপের সঙ্গে দাপুটে ব্যাটে টাইগারদের ওপর চোখ রাঙাচ্ছিলেন হার্ডহিটার শিমরন হেটমায়ার। দুর্দান্ত এক একটি বাউন্ডারি ও লফটেড শটে তছনছ করে দিচ্ছিলেন লাল সবুজের বোলিং লাইন আপ।

ঠিক তখনই ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন মোস্তাফিজুর রহমান। ৪০তম ওভারে এসে তৃতীয় বলে হেটমারায়কে স্লোয়ার বিষ ঢেলে মিডউইকেটে তুলে দিলেন তামিম ইকবালের তালুতে। ক্রিজছাড়া হলেন এই ক্যারিবীয় টর্নেডো ব্যাটসম্যান। তার আগে ২৬ বল খেলে চারটি চার ও তিন ছক্কায় দলকে দিয়ে গেছেন ৫০ রান।

পঞ্চম উইকেটে শেই হোপকে সঙ্গ দিতে এলেন আরেক মারকুটে ব্যাটসম্যান আন্দ্রে রাসেল। কিন্তু ফিজ তোপে সুবিধা করে উঠতে পারেননি। ৪০তম ওভারের একেবারে শেষ বলে শূন্যহাতে ফিরিয়ে দিলেন মুশফিকুর রহিমের সুরক্ষিত গ্লাভসে। এখানেই ক্ষান্ত হননি ফিজ। ৪৭তম ওভারে আরেকবার জ্বলে উঠে ড্রেসিংরুমের পথ দেখালেন সেঞ্চুরি থেকে নিঃশ্বাস দূরত্বে থাকা শেই হোপকে।

ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে প্রথমেই ৪০তম ওভারে কথাই তার কাছে জানতে চাওয়া হয়। যে ওভারে তোপ চালিয়ে তুলে নিয়েছিলেন দুই বিষ্ফোরক শিমরন হেটমায়ার ও আন্দ্রে রাসেলকে।

কি মাইন্ডসেট ছিল? সামান্য গলাও কাঁপল না ফিজের। সাবলীলভাবে বলে গেলেন, ‘ওই সময় তো সবাই ঘাবড়ানো শুরু করেছিল। আমাকে ওই সময় বোলিং দিয়েছে, আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।’

আন্দ্রে রাসেলকে আউট করলেন… প্রশ্ন শেষ হতেই সাংবাদিককে থামিয়ে মনে করিয়ে দিলেন, ‘শুধু এবারই না। রাসেলকে আমি অনেকবার আউট করেছি। সে আমাকে দেখলে লজ্জা পায়। আমি সেটাই কাজে লাগিয়েছি।’

বাংলাদেশের এই দলের সেরা উইকেট টেকিং বোলার আপনি, বিশেষ করে লিমিটেড ওভারে। যখন উইকেট পান না, মার খান, মানুষ নানান কথা বলা শুরু করে দেয়। এটা কীভাবে দেখেন? ফিজের সহজ সরল উত্তর, ‘কে কী বললো ওটা দেখার দরকার নেই। আমি নিজে ঠিক থাকলেই তো হয়।’

বিশ্বকাপে শেষচারের পথ মসৃণ করতে জেসন হোল্ডারদের বিপক্ষে জয়ের বিকল্পই ছিল না। কতটা দরকার ছিল এই জয়? এই প্রশ্নের উত্তরও শেষ করলেন মাত্র ৫ শব্দে, ‘দরকার তো সব ম্যাচেই থাকে।’

সুকুমার দাস তার আদর্শ ছেলে কবিতায় লিখেছেন, ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে?’

সম্ভবত কবির সেই ছেলেটিই মোস্তাফিজুর রহমান।

বাংলাদেশের দর্শকরা বিশ্বকাপের সব ম্যাচ অনলাইনে কোনো ধরনের সাবস্ক্রিপশন ফি বা চার্জ ছাড়াই দেখতে পারবেন র‍্যাবিটহোলের ওয়েবসাইট www.rabbitholebd.com-এ। এছাড়া র‍্যাবিটহোলের অ্যাপেও দেখা যাবে প্রতিটি ম্যাচ। অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/UNCWS2 (শুধুমাত্র বাংলাদেশ) এই লিংকে ক্লিক করে। তাছাড়া আইওএস ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/vJjyyL (শুধুমাত্র বাংলাদেশ) এই লিংকে ক্লিক করে।

সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি

ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ টপ নিউজ টাইগার বিশ্বকাপ স্পেশাল মোস্তাফিজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর