ইতিহাস গড়তে হলে ম্যাচটা জিততে হবে আবাহনীকে
১৮ জুন ২০১৯ ২২:২৪
ঢাকা: এএফসি কাপের চূড়ান্ত পর্বের সূর্য কখনই দেখা হয়নি ঢাকা আবাহনীর। এবার সেই সূর্য বাড়ির আঙ্গিনায় উঁকি দিচ্ছে। কাজটা পাহাড় টলানোর মতো কঠিন নয় আবারও কাঁধে বইহীন ব্যাগ বইয়ে বেড়ানোর মতো সহজও নয়। অর্থাৎ অসম্ভব নয় কমপক্ষে। ঘরের মাটিতে শুধু বিপক্ষ দলটাকে অতীত দেখাতে হবে।
অতীতটা কি?
এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে নেপালের মাটিতে অ্যাওয়ে ম্যাচে মানাং মার্শিয়াংদিকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে ঢাকায় ফিরেছিল ঢাকা আবাহনী। সেই ম্যাচে গোল করেছিল আবাহনীর রক্ষণদূর্গের আফগানি সৈনিক মাশিহ সাইঘানি।
মাঝে মিনার্ভা পাঞ্জাবের সঙ্গে ঘরের মাঠে ২-২ ব্যবধানে ড্র, অ্যাওয়েতে ভারতে চেন্নাইন এফসির সঙ্গে আত্মঘাতী গোলে ১-০ ব্যবধানে হার ও সবশেষ চেন্নাইনকে রোমাঞ্চকরভাবে ৩-২ ব্যবধানে দগবগে হারানোর জয় এএফসির চূড়ান্ত পর্বে নেয়ার আশা দিয়ে রেখেছে। এখন বাকী মাত্র দুটি ম্যাচ। একটি হোম।
যা আগামীকাল বুধবার (১৯ জুন) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শুরু হবে মানাংয়ের বিপক্ষে। পরের ম্যাচটি মিনার্ভার বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ।
দুটি ম্যাচই জিততে হবে ঢাকা আবাহনীকে। চেন্নাইনকেও অবশিষ্ট দুটি ম্যাচে পা হড়কানো যাবে না। হড়কালে সেই সুযোগটা সুন্দরভাবে ব্যবহার করতে হবে আবাহনীকে। দুই দলের পয়েন্ট পয়েন্ট হলো ৭। গোল রেটিওতে এগিয়ে যাওয়ায় চেন্নাইয়িন শীর্ষে আছে পয়েন্ট টেবিলের।
তাই এ ম্যাচতো শুধু জেতা নয় বরং বড় ব্যবধানে জিতে পরের ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে চায় আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। কথাগুলো কোচ মারিও লেমসের, ‘বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পর আমরা দুই দিন ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। বিপিএলের শেষ ম্যাচটাও দুর্দান্ত হয়েছে আমাদের। আমরা নেপালে খেলেছি এর আগে অ্যাওয়ে ম্যাচটা। তাই আমরা জানি আসলে কি করতে হবে। সেভাবেই কৌশল সাজাবো। আমার কাছে মনে হয় না যে তারা নেপালে যেভাবে খেলেছে সেভাবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলতে পারবে। ওই ম্যাচে আমরা অনেক সতর্ক ছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল তিন পয়েন্ট নিয়ে আসা। সেটা পেরেছি আমরা।’
ম্যাচটা ঠিক আক্রমাণত্মক ভঙিতে খেলবে আবাহনী তার আঁচ পাওয়া গেল লেমসের কণ্ঠে, ‘এবার এটা আমাদের ঘরের মাঠ। পরিচিত মাঠ এখানে আমরা ডমিনেট করবো। বড় জয় নিয়েই বরং শেষ ম্যাচ খেলতে যাবো।’
জাতীয় দলের স্টাইকার নবীব নেওয়াজ জীবন লাল-সবুজ জার্সিতে গোলখরা কাটালেও ক্লাবের হয়ে সেটা ভালোভাবে ঘোচাতে চান। জীবনের কথায়, ‘আমরা জানি আমাদের প্রতিপক্ষের সম্বন্ধে। কোচ আমাদের সেভাবেই প্রাকটিস করিয়েছেন। ন্যাশনাল টিমে গোল পাইনি। যদিও হচ্ছে না আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। মাঝে ক্লাবের হয়ে গোল করে যেতে চাই।’
সারাবাংলা/জেএইচ