টানা চার বিশ্বকাপে লঙ্কানদের কাছে হারলো ইংলিশরা
২২ জুন ২০১৯ ১৪:২০
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পর লাসিথ মালিঙ্গার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ছোট পুঁজিকেই সম্বল করে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। এই বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয় হারের স্বাদ দিল লঙ্কানরা। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরেছিল স্বাগতিকরা। বেন স্টোকসের ব্যাটিং বীরত্বের পরও রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ইংলিশদের হারায় শ্রীলঙ্কা। লিডসের হেডিংলিতে ২০ রানে জিতেছে দিমুথ করুনারত্নের দল। ২৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৪৭ ওভারে ২১২ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড।
১৯৯৯ সালেও ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল। এরপর ২০০৩, ২০০৭, ২০১১ এবং ২০১৫ সালে আরও চারটি বিশ্বকাপ হয়েছে। ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসেছিল বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসর। সেবার ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কার দেখা হয়নি। এছাড়া, পরের বাকি চার আসরেই লঙ্কান লায়ন্সদের কাছে হেরেছে থ্রি লায়ন্সরা।
১৯৯৯ বিশ্বকাপ: ওয়ানডে বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের আয়োজক ছিল ইংল্যান্ড। একই গ্রুপে ছিল ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা। লর্ডসের সেই ম্যাচে আগে ব্যাট করে লঙ্কানরা ৪৮.৪ ওভারে তোলে ২০৪ রান। জবাবে, ৪৬.৫ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে ইংলিশরা। অ্যালেক স্টুয়ার্ট ১৪৬ বলে ৮৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন। সেবার সুপার সিক্সে উঠতে ব্যর্থ হয় দুটি দলই।
২০০৩ বিশ্বকাপ: ওয়ানডে বিশ্বকাপের অষ্টম আসরের আয়োজক ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ড আর শ্রীলঙ্কা দুই দল দুটি গ্রুপে ছিল। লঙ্কানরা সুপার সিক্সে উঠলেও ইংল্যান্ড গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়। তাই মুখোমুখি হওয়া হয়নি ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কার।
২০০৭ বিশ্বকাপ: ওয়ানডে বিশ্বকাপের নবম আসরে আয়োজক ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেবার সুপার এইটের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা। অ্যান্টিগায় সেই ম্যাচে ইংলিশদের ২ রানে হারিয়েছিল লঙ্কানরা। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কা ৫০ ওভারে তোলে ২৩৫ রান। ৮ উইকেট হারিয়ে ইংলিশদের ইনিংস থামে ২৩৩ রানের মাথায়।
২০১১ বিশ্বকাপ: ওয়ানডে বিশ্বকাপের দশম আসরের যৌথ আয়োজক ছিল ভারত-বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। সেবার দুই দল দুই গ্রুপে লড়াই করে। কোয়ার্টার ফাইনালে দেখা হয় এই দুই দেশের। কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনালের সেই ম্যাচে ইংলিশদের উড়িয়ে দিয়ে ১০ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছিল লঙ্কানরা। আগে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ইংলিশরা তুলেছিল ২২৯ রান। জবাবে, ৩৯.৫ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই জয় তুলে নেয় লঙ্কানরা। দুই ওপেনার উপুল থারাঙ্গা ১০২ এবং তিলকারত্নে দিলশান ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
২০১৫ বিশ্বকাপ: এগারোতম ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড। সেবার একই গ্রুপে ছিল ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা। সেবারও লঙ্কানদের কাছে ৯ উইকেটে উড়ে যায় ইংলিশরা। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ইংলিশরা তোলে ৩০৯ রান। জবাবে, ৪৭.২ ওভারে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে লঙ্কানরা। ইংলিশদের হয়ে জো রুট করেন ১২১ রান। লঙ্কান ওপেনার লাহিরু থিরিমান্নে ১৩৯ আর কুমার সাঙ্গাকারা ১১৭ রান করেন। দুজনই অপরাজিত থাকেন।
২০১৯ বিশ্বকাপ: দ্বাদশ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজক ইংল্যান্ড। এবার তারা পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে। ফেভারিট হয়েই এই টুর্নামেন্টে নেমেছে ইংলিশরা। তবে, পিছিয়ে থাকা লঙ্কানদের বিপক্ষে বিশ্বকাপের এই আসরেও হোঁচট খেয়েছে থ্রি লায়ন্সরা। লঙ্কান লায়ন্সদের কাছে হেরেছে ২০ রান। তার মানে সবশেষ চার বিশ্বকাপের আসরেই লঙ্কানদের কাছে হার মানতে হয়েছে ইংলিশদের।
বাংলাদেশের দর্শকরা বিশ্বকাপের সব ম্যাচ অনলাইনে কোনো ধরনের সাবস্ক্রিপশন ফি বা চার্জ ছাড়াই দেখতে পারবেন র্যাবিটহোলের ওয়েবসাইট www.rabbitholebd.com-এ। এছাড়া র্যাবিটহোলের অ্যাপেও দেখা যাবে প্রতিটি ম্যাচ। অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/UNCWS2 (শুধুমাত্র বাংলাদেশ) এই লিংকে ক্লিক করে। তাছাড়া আইওএস ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/vJjyyL (শুধুমাত্র বাংলাদেশ) এই লিংকে ক্লিক করে।
সারাবাংলা/এমআরপি
ইংল্যান্ড ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ বিশ্বকাপ বিশ্বকাপ স্পেশাল শ্রীলঙ্কা