‘হয়তো ভাগ্যও আমাদের পক্ষে ছিল না’
২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৮:৩৯
বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম থেকে
উইকেট মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে বোলারদের কাছ থেকে, এখন পর্যন্ত ব্যাটসম্যানদের স্বর্গ বললে খুব বাড়িয়ে বলা হবে না। চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে শ্রীলঙ্কা ৩ উইকেট হাতে নিয়ে যে ৫০০ পেরিয়ে গেল, তাতেও খুব বেশি বিষ্ময়ের কিছু নেই। কিন্তু বাংলাদেশ চাইলে নিজেদের দুষতেই পারে। বোলিং তো আরও ভালো হতে পারতই, ফিল্ডিংয়েও যে কিছু সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। এমন উইকেটে সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলে মূল্য দিতে হবে, মনে করিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।
মোক্ষম সুযোগ দুইটি কালই ছেড়েছিল বাংলাদেশ। চার রানের সময় স্লিপে মেন্ডিসের ক্যাচ ধরতে পারেননি মিরাজ, ৫৭ রানের সময় ইমরুল আরও একবার পুরোটা না হোক, ‘অর্ধেক জীবন’ দিয়েছেন তাকে। আজ সকালের তৃতীয় ওভারেই আউট হতে পারতেন মেন্ডিস, কিন্তু ক্যাচটা চলে গেছে দুই স্লিপের মধ্য দিয়ে। সংবাদ সম্মেলনে সুজন সেটিই মনে করিয়ে দিলেন। সেজন্য দায় দিচ্ছেন ভাগ্যের ওপরও।
‘টেস্ট ক্রিকেটে সুযোগ কমই আসে। আমরা যদি সুযোগগুলো নিতে পারতাম, তাহলে হয়তো ভালো হতো। হয়তো ভাগ্যকেও পাশে পাইনি আমরা। আজকে সকালে যে ক্যাচটা দুজনের মাঝ দিয়ে গেল, সেটা হয়তো একজনের হাতে আসতে পারত। রান আউটের সুযোগ মিস করেছি আমরা। ফিল্ডিং আর্ ভালো হতে পারতো। ক্যাচগুলো নিতে পারতাম। কিছু এলবিডব্লিউয়ের সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষে আসতে পারতো। ভাগ্যও পাশে ছিল না ওই ভাবে। তবে যেটা হচ্ছে, ক্যাচিং-ফিল্ডিং যে ভালো করেছি, তা নয়।’
স্লিপেই হাতছাড়া হয়েছে অন্তত তিনটি সুযোগ। সেটি আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, টেস্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পজিশনে উন্নতি করার এখনো অনেক কিছুই আছে বাংলাদেশের। সাব্বির-সৌম্য দলে থাকলে স্লিপের দায়িত্বটা দুজনের ওপরেই বর্তাতো। এখন ইমরুল-মিরাজ-সানজামুলদের সেই কাজটা করতে হচ্ছে। সুজন স্বীকার করলেন, এখানে খুব বেশি বিকল্পও নেই বাংলাদেশের।
‘অবশ্যই কাজ করার আছে। মিরাজকে নিয়ে কাজ করাও হয়েছে। যারা দুজন দাঁড়াচ্ছে, ওদের ট্রেনিংও করানো হয়েছে। বেশি করে প্র্যাকটিস করানো হয়েছে। এই দলে অত স্লিপ ফিল্ডার নেই, এই দুইজনই আছে আসলে। দুজনই কিন্তু অনেক কাজ করেছে। হয়ত সানজামুলকে কিছু সময় আমরা তৃতীয় স্লিপে রেখেছিলাম।’
সুজন বললেন, স্লিপে এখনো বাংলাদেশের অনেক কিছুই করার আছে, ‘স্পেশালিস্ট স্লিপ ফিল্ডার থাকা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। প্রত্যেকটা টেস্ট দলেই আছে। কাজ করা যেতেই পারে।’
সারাবাংলা/এএম/জেএইচ