বিপিএলের ‘বাতিলদের’ নিয়েই ইতিহাস গড়েছে আবাহনী
২৭ জুন ২০১৯ ১৯:১৪
ঢাকা: ইতোমধ্যে দেশের ফুটবল ভক্তরা সবাই জেনে গেছে এএফসি কাপে দেশের ক্লাব ফুটবল ইতিহাসের মাইলফলক ছুঁয়েছে ঢাকা আবাহনী। এএফসি কাপের নক আউট পর্বে পা রাখা প্রথম বাংলাদেশি ক্লাবের ঐতিহাসিক মুহূর্তের জন্ম দেয়া প্রথম ক্লাব আকাশি-হলুদরা। তবে, এবার একটু চমক দিয়েই ইন্টার জোনাল সেমি ফাইনালে পা রেখেছে আবাহনী।
চমকটা ছিল দলগঠনে। লিগের জন্য দলগঠন প্রক্রিয়ায় বসুন্ধরা কিংসের ট্রায়ালে ‘নো কার্ড’ পেয়ে বাতিলের খাতায় নাম লেখানো দুই ফুটবলারকে দলে নিয়ে চমকই দেখিয়েছে আবাহনী। সেই দুই ফুটবলারের সরাসরি অবদানেই এএফসি কাপে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বিপিএলের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
তাদের একজন মাশিহ সাইঘানি। এই আফগানি ডিফেন্ডারের একমাত্র গোলে ভারতের মিনার্ভা পাঞ্জাবকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক আউট পর্ব নিশ্চিত করেছে আবাহনী।
এই সাইঘানিই ত্রাতা হয়ে নেপালে মানাং মার্শিয়াংদিকে হারিয়ে আবাহনীকে জয় উপহার দিয়েছিল। তাছাড়া ঘরের মাঠেও চেন্নাইন এফসিকে হারানোর ম্যাচেও দুর্দান্ত ফ্রিকিক থেকে গোল উপহার দিয়েছিলেন এই আফগান রক্ষণভাগের ফুটবলার। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম কোন ক্লাব এমন কীর্তি গড়লো। ডিফেন্ডার হয়েও এএফসি কাপের ই গ্রুপে সর্বোচ্চ গোলদাতার নাম মাশিহ সাইঘানি।
অন্যদিকে হাইতিয়ান কারভান বেলফোর্টও কিংসের ট্রায়ালে নো কার্ড দেখেছিলেন। তবে, আবাহনী তাকে হতাশ করেনি। দলে যুক্ত করেছে ‘বাতিলের খাতায়’ নাম লেখানো ফুটবলারকে। আশ্চর্যজনক হলেও এই বেলফোর্টে গোলে ফেডারেশন কাপ জিতেছিল আবাহনী। এএফসিতে নাম লিখিয়েছিল আবাহনী। সেটা কিংসদের হারিয়েই।
এবার এএফসি কাপে দুই গোল করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা বেলফোর্ট। এই তালিকায় অবশ্য সানডে, জীবন ও মামুনুল ইসলাম মামুনও আছেন। নক আউট নিশ্চিত করতে তাদের অবদানও কম নয়।
সারাবাংলা/জেএইচ