সৌম্যর শেকল ভাঙার প্রত্যয়
২৭ জুন ২০১৯ ২০:৪৮
আয়ারল্যান্ড থেকে ইংল্যান্ডে এসেই যেন দপ করে নিভে গেলেন সৌম্য সরকার। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪২ রান করলেও এরপর থেকে ব্যাটে রান বন্যা নেই, নেই চার- ছক্বার ফুলঝুরি। ত্রিদেশীয় সিরিজে দারুণ ধারাবাহিক এই টাইগার ওপেনার বিশ্বকাপে এসে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। ২ জুন কেনিংটন ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলা ৪২ রানের ওই ইনিংসটি বাদ দিলে বাকি ৫ ম্যাচে উল্লেখ করার মতো আর কোনো ইনিংসই তার নেই (২৫, ২, ২৯, ১০ এবং ৩)!
ধারাবাহিক এই রান খরা সৌম্যকে রীতিমতো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। মনের গহীনে আছে দলকে বিপদে ফেলে দিয়ে আসার অনুশোচনা বোধও। সঙ্গত কারণেই ব্যাট হাতে আবার জ্বলে উঠতে মুখিয়ে আছেন এই প্যারিস্কোপ শটের জনক। ২ জুলাই ভারতের বিপক্ষে রানে ফেরার প্রত্যয় সৌম্যর কণ্ঠে।
সৌম্য জানালেন, ‘অবশ্যই রানটা ফ্যাক্ট। আমি যেভাবে আউট হয়েছি, যত রান করে আউট হয়েছি ওইগুলি যদি বড় হতো তাহলে ভালো হত। অবশ্যই আমি খুশি না। কারো খুশি হওয়ারও কথা না। এখনো দুইটা ইনিংস বাকি আছে। যদি এখানে ভালো করতে পারি, অবশ্যই আগেরগুলো মুছে ফেলা সম্ভব।’
‘যেভাবে খেলেছি, যেখানে ৩০-৪০ করে আউট হয়ে যাচ্ছি এখানে যদি আমি আরো সময় নিয়ে ৫০ করতাম তাহলে হয়তো আমারও লাভ হতো, দলের প্রয়োজনেও আসত। ওইখান থেকে ইনিংগুলো আরো বড় করতে পারতাম। ওটা হয়নি। পরের দুই ম্যাচে আছে, চেষ্টা করব যেন সময় নিয়ে হলেও ইনিংসটা বড় করা যায়।’ যোগ করেন সৌম্য।
ব্যাটিংয়ে নেমে যখনই ইনিংসটা বড় করতে যাচ্ছেন তখনই ফিরে যাচ্ছেন সৌম্য! সমস্যাটা আসলে কোথায়? জানতে চাওয়া হয়েছিল তার কাছে। প্রশ্নটা এড়িয়ে উত্তরে তিনি জানালেন, ‘যখন রান আসছিল আমি সে সময় আউট হয়েছি। চিন্তা করছিলাম আমি যদি ওখান থেকে আরো দ্রুত রান নিতে পারি তাহলে হয়তো আমার পরের ব্যাটসম্যানরা সহজে খেলতে পারবে। বা ওই অবস্থাটা আমি যদি হ্যান্ডেল করতে পারি তাহলে পরে যারা আসবে তারা সময় নিয়ে ইনিংসগুলো বড় করতে পারবো। তাতে আমাদের দলের রানও বেশি হবে।’
তবে ব্যাটে রান না এলেও পার্টটাইমার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অসাধারণ বল করেছেন এই মিডিয়াম পেসার। ২০ জুন নটিংহ্যামের ট্রেন্টব্রিজে যখন মাশরাফি, মোস্তাফিজরা উইকেটের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তখন এই পার্টটাইমারের বলেই ধরা দিয়েছে সাফল্য। প্রথমেই অ্যারন ফিঞ্চকে রুবেল হোসেনের তালুতে তুলে দিয়ে দলে স্বস্তির বাতাস বইয়ে দিয়েছেন। এরপর একে একে ফিরিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার এবং উসমান খাজাকেও।
সেদিন ৮ ওভার বল করে ৫৮ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন মহা-মূল্যবান এই ৩ উইকেট। দলের প্রয়োজনে এমন অবদান তাকে যেমন তৃপ্ত করেছে, তেমনি দিয়েছে আত্মবিশ্বাস। সুযোগ পেলে পরের ম্যাচগুলোতে ঠিক এভাবেই অবদান রাখতে চান সৌম্য, ‘আমি এখানে আসার আগে প্রিমিয়ার লিগেও বল করেছি। যেখানে সুযোগ পেয়েছি সেখানে বল করেছি। তো আমার চেষ্টা ছিল যেদিন আমার সুযোগ আসবে সেদিন যেন সুযোগটা কাজে লাগাতে পারি। একটা ম্যাচে ভালো বল করেছি। পরে যেদিন আবার সুযোগ আসবে বা দলের প্রয়োজন হবে চেষ্টা করব ওই জিনিসটা আবার ধরে রাখতে।’
বাংলাদেশের দর্শকরা বিশ্বকাপের সব ম্যাচ অনলাইনে কোনো ধরনের সাবস্ক্রিপশন ফি বা চার্জ ছাড়াই দেখতে পারবেন র্যাবিটহোলের ওয়েবসাইট www.rabbitholebd.com-এ। এছাড়া র্যাবিটহোলের অ্যাপেও দেখা যাবে প্রতিটি ম্যাচ। অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/UNCWS2 (শুধুমাত্র বাংলাদেশ) এই লিংকে ক্লিক করে। তাছাড়া আইওএস ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/vJjyyL (শুধুমাত্র বাংলাদেশ) এই লিংকে ক্লিক করে।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি