ইউরোপিয়ান ফুটবলে নিষিদ্ধ এসি মিলান
২৮ জুন ২০১৯ ১৯:০২
উয়েফার ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে (এফএফপি) সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে আগামী মৌসুমের ইউরোপা লিগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ইতালির জায়ান্ট ক্লাব এসি মিলানকে। কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস (সিএএস) শুক্রবার (২৮ জুন) এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
ফুটবলে ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর আয়-ব্যয়ের সামঞ্জস্য ঠিক রাখার লক্ষ্যে ২০১১-১২ মৌসুম থেকে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা এই নীতি চালু করে। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের মিল না থাকায় এবং ক্লাবের ম্যানেজমেন্ট অতিরিক্ত খরচ করায় অভিযোগ ওঠে ১৮ বারের লিগ জয়ী এসি মিলানের বিরুদ্ধে। আগে প্রতি মৌসুমেই পর্যালোচনা করা হলেও এখন প্রতি তিন মৌসুম পরপর ক্লাবগুলোর আয়-ব্যয় বিবেচনায় আনে উয়েফা। তাতে আয়ের চেয়ে তিন মৌসুমে খেলোয়াড় কেনার ক্ষেত্রে ব্যয় বেশি করেছে এসি মিলান। আর সে কারণেই নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লো এসি মিলান।
টানা তিন মৌসুম উয়েফার ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে (এফএফপি) সংক্রান্ত নিয়ম ভাঙায় পরের মৌসুমে (২০১৯-২০ মৌসুমে) ইউরোপের কোনো ক্লাব প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে না এসি মিলান।
২০১৮-১৯ মৌসুমে নিজেদের ঘরোয়া লিগে পঞ্চম হয়েছিল এসি মিলান। মিলানের ক্লাবটি জায়গা করে নিয়েছিল ইউরোপা লিগেও। নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টার মিলানের চেয়ে মাত্র ১ পয়েন্ট কম নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে ছিল এসি মিলান। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা পাওয়ায় পরের মৌসুমে দলটি খেলতে পারবে না। মিলানের নিষেধাজ্ঞায় কপাল খুলছে রোমার। পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে থেকেও তারা এবার সুযোগ পাচ্ছে ইউরোপা লিগে খেলার। আর পয়েন্ট টেবিলের সপ্তম স্থানে থাকা তুরিনো সুযোগ পাচ্ছে বাছাইপর্ব খেলার।
কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস তাদের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘২০১৯-২০ মৌসুমের জন্য উয়েফার সব ধরনের ক্লাব প্রতিযোগিতা থেকে বহিষ্কার করা হলো এসি মিলানকে। ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ টানা তিন মৌসুমে ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে লঙ্ঘনের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
অবশ্য এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতের (কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস) দ্বারস্ত হয়েছিল এসি মিলান। কিন্তু সেখান থেকেও কোনো সুসংবাদ পায়নি তারা। ক্রীড়া আদালতও নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে।
সারাবাংলা/এমআরপি