মাশরাফির বড় আক্ষেপ একটাই
৬ জুলাই ২০১৯ ০১:৪১
শাহিন শাহ আফ্রিদির বলটিকে যেভাবে খেলতে চেয়েছিলেন সেভাবে খেলতে পারেননি সাকিব আল হাসান। লাফিয়ে ওঠা বলটি ব্যাটের কানায় চুমু খেয়ে জমে যায় সরফরাজ আহমেদের গ্লাভসে। যার মধ্য দিয়ে এবারের বিশ্বকাপের সমাপ্তি টানেন লাল সবুজের এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে শেষ হওয়ার আগেই বেশ কয়েকটি রেকর্ড ভেঙে নিজের করে নিয়েছেন। যে ধারাবাহিকতা অটুট ছিল লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজের শেষ ইনিংসেও।
বাংলাদেশের ‘ম্যান অন অ্যা মিশন’ এই ম্যাচেই ছুঁয়েছেন ক্রিকেট ওয়ান্ডার শচীন টেন্ডুলকারকে। ২০০৩ বিশ্বকাপে ৬টি হাফ সেঞ্চুরি, ১টি সেঞ্চুরি করেছিলেন ক্রিকেট ওয়ান্ডার। যা তাকে এনে দিয়েছিল ৬৭৩ রানের রেকর্ড সংগ্রহ। বলা বাহুল্যই হবে এক বিশ্বকাপে সাতটি ফিফটি ছোঁয়ার রেকর্ড এতদিন কেবল তার দখলেই ছিল। যাতে আজ ভাগ বসালেন সাকিবও। ৮ ইনিংসে ৫টি ফিফটি ও দটি সেঞ্চুরিতে তাকে ধরে ফেলেছেন। ছুটছিলেন শচীনের মোট সংগ্রহের দিকেও। কিন্তু গন্তব্য ছোঁয়া হলো না। ৬৪ রানে আউট হয়ে থামতে হয়েছে মোট ৬০৬ রানে।
রান বন্যার পাশাপাশি ১১টি উইকেটও নিয়েছেন সাকিব, যা বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। এক টুর্নামেন্টে ১০ উইকেটের সঙ্গে ৪০০ রানের কোটা কোনো ক্রিকেটারই স্পর্শ করতে পারেননি।
বোঝাই যাচ্ছে এবারের বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে কতটা উজ্জ্বল ছিলেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো একমাত্র মুশফিক ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যানই তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। সঙ্গ দূরে থাক নিজের খেলাটিও ঠিক করে খেলতে পারেননি। ওভাল থেকে লর্ডস পর্যন্ত সবাই নিজের ছায়া হয়েই ছিলেন।
মাশরাফির আক্ষেপটা এখানেই। একজন প্লেয়ারও যদি সাকিবকে সঙ্গ দিতে পারতেন তাহলে নিঃসন্দেহে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অবস্থান আরো ভালো হতে পারত। কে জানে হয়তো সেমি ফাইনালও অধরা থাকত না।
শুক্রবার (৫ জুলাই) লর্ডসে ম্যাচ শেসে সংবাদ সম্মেলনে এসে মাশরাফি জানালেন, ‘অন্য কোনো আক্ষেপ নেই। আক্ষেপ এই মুহূর্তে যেটা অবশ্যই সাকিবের জন্য খারাপ লাগছে। এটাই সবচেয়ে বড় আক্ষেপ। সাকিব যেভাবে খেলেছে, তাতে করে আমাদের সেমি ফাইনাল না খেলাটা হতাশার। একটা দলের খেলোয়াড় এমন পারফরম্যান্স করলে স্বাভাবিকভাবেই তারা সেমি ফাইনাল খেলবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা পারিনি। যখন রান করার দরকার ছিল, যখন ক্যাচ নেওয়া দরকার ছিল, যখন ফিল্ডিংটা ভালো হওয়ার দরকার ছিল, তখন সেটা হয়নি। যখন ভালো বোলিং করার দরকার ছিল আমরা স্টেপ আপ করতে পারিনি।’
‘সাকিব অসাধারণ খেলেছে। ব্যাটে তিনে নেমে ওর সামর্থের সেরাটি করেছে। তার জন্য আমার সত্যিই খারাপ লাগছে। শুধু আমিই না পুরো দলের একই অনুভূতি। সে যেভাবে খেলেছে দলের অন্যান্যরাও সেভাবে খেললে বিশ্বকাপে আমরা বর্তমানের চেয়ে আরো ভালো অবস্থানে থাকতাম। সাকিব আমাদের সেরা পারফর্মার। সে জানে কতদূর যেতে হবে আর কোথায় থামতে হবে।’ যোগ করেন মাশরাফি।
বাংলাদেশের দর্শকরা বিশ্বকাপের সব ম্যাচ অনলাইনে কোনো ধরনের সাবস্ক্রিপশন ফি বা চার্জ ছাড়াই দেখতে পারবেন র্যাবিটহোলের ওয়েবসাইট www.rabbitholebd.com-এ। এছাড়া র্যাবিটহোলের অ্যাপেও দেখা যাবে প্রতিটি ম্যাচ। অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/UNCWS2 (শুধুমাত্র বাংলাদেশ) এই লিংকে ক্লিক করে। তাছাড়া আইওএস ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/vJjyyL (শুধুমাত্র বাংলাদেশ) এই লিংকে ক্লিক করে।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি
ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ টাইগার বিশ্বকাপ স্পেশাল মাশরাফি র্যাবিটহোল সাকিব