দলপতির কাঠগড়ায় বোলিং ও ফিল্ডিং
৬ জুলাই ২০১৯ ০২:১৬
ম্যাচ, ভেন্যু বা প্রতিপক্ষ বদলে গেলেও বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ের ঢং একেবারেই বদলায়নি। ক্যাচ ফেলাটা যেন রুটিন ওয়ার্ক হয়ে উঠেছিল। রোহিত শর্মা, ডেভিড ওয়ার্নার কিংবা বাবর আজমের ক্যাচ নিতে পারলে টাইগারদের বিশ্বকাপের গল্পটা অন্যরকম হতে পারতো। পুরো টুর্নামেন্টে প্রায় ৮টি ক্যাচ তালুতে জমাতে পারেননি। পরিতাপের শেষ এখানেই নয়। হাত ফসকে, হাতের নিচ দিয়ে, এমনকি ওভার থ্রো থেকে রান দেননি এমন ম্যাচ খুব কমই দেখা গেছে।
বোলিংয়ের অবস্থা তো আরো করুণ। স্পিনে সাকিব ছাড়া আর কেউই নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। আর পেসারদের মধ্যে মোস্তাফিজ, সাইফউদ্দিন ছাড়া বাকিরা ছিলেন নিদারুণ ছন্দহীনতায়। আবার উইকেট নিলেও এই টাইগার ডুয়ো প্রতিপক্ষের রানের চাকায় লাগাম দিতে পারেননি। কোনো কোনো ম্যাচে উইকেটও হয়ে উঠেছিল দূরের বাতিঘর। কেস স্ট্যাডি হিসেবে শেষ দুটি ম্যাচকে নিলেই হয়। ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে মোস্তাফিজ ৫টি উইকেট পেলেও কোহলি-সরফরাজদের রান ঠিকই ৩০০ পেরিয়েছে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০ ওভার বল করে মোস্তাফিজ ৫টি উইকেট নিলেও ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৭.৫০ করে। তবে ভারতের বিপক্ষে কিছুটা হিসেবি ছিলেন। ১০ ওভারে ৫৯ রান, আর ১টি মেডেন নিয়ে ৫ উইকেট।
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন কোহলিদের বিপক্ষে ৭ ওভার বল করে একটি উইকেটও পাননি। কিন্তু রান দিয়েছেন ৫৯টি। ওভারপ্রতি গড় ৮.৪২। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯ ওভারে ৩ উইকেট নিলেও রান দিয়েছেন ৭৭টি। ওভারপ্রতি গড় ৮.৫৫।
এই দুটি বিভাগই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পশ্চাতপদতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করেন টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা, ‘যদি নেতিবাচক দিক থেকে দেখেন আমরা ভালো করিনি। ফিল্ডিং এবং বোলিং নিয়ে একটি উদ্বেগ ছিল। আমি মনে করি বোলিং আপ টু দ্য মার্ক ছিল না। আমার থেকে শুরু করে বাকিদেরও। বিশেষ করে প্রথম ১০-১৫ কিংবা ২০ ওভার পর্যন্ত। যেই সময়ে আমাদের অবশ্যই উইকেট পেতে হতো। আমি আবারো বলবো যে কিছু ম্যাচে ফিল্ডিং আমাদের অনেক বেশি ভুগিয়েছে। মাঠের ফিল্ডিং অবশ্যই। একজন বোলার হিসেবে আপনি যখন রান থামাবেন এই ধরণের উইকেটে,তখন বোলাররা অনেক আত্মবিশ্বাস পাবে। যেটি হয়ে ওঠেনি। যখন কোনো দল জুটি গড়েছে, আমরা ক্রমাগত নিচে নেমেছি।’
পক্ষান্তরে পুরো টুর্নামেন্টে অধিনায়ক মাশরাফির চোখে ইতিবাচক ছিল কেবল সাকিব, মুশির পারফরম্যান্স এবং দলের ব্যাটিং। তিনি জানাতে ভুলেননি, ‘ইতিবাচক দিক অবশ্যই সাকিব এবং মুশফিকের ব্যাটিং। আমি মনে করি ব্যাটিং থেকে আমরা বেশ কিছু ইতিবাচক বিষয় নিতে পারি, যা ভবিষ্যতে আসলেই আমাদের বুঝতে সাহায্য করবে যে আমরা এখন ৩০০ বা কখনো আরো বেশি রান তাড়া করতে পারবো।’
‘আমি মনে করি সাকিব অন্যতম সেরা পারফর্মার সবসময়ের জন্য, এই বিশ্বকাপেও। তবে এরপরেও আমরা সেমি ফাইনালে যেতে পারিনি কিংবা আমরা যেখানে যেতে চেয়েছি সেটি পারিনি। আর মুশি দারুণ ব্যাটিং করেছে। হ্যাঁ, সে কখনো কখনো দুর্ভাগা ছিল, তবে আমি মনে করি সে দারুণ ব্যাটিং করেছে। বাকি ছেলেরা ইন অ্যান্ড আউট ছিল।’
বাংলাদেশের দর্শকরা বিশ্বকাপের সব ম্যাচ অনলাইনে কোনো ধরনের সাবস্ক্রিপশন ফি বা চার্জ ছাড়াই দেখতে পারবেন র্যাবিটহোলের ওয়েবসাইট www.rabbitholebd.com-এ। এছাড়া র্যাবিটহোলের অ্যাপেও দেখা যাবে প্রতিটি ম্যাচ। অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/UNCWS2 (শুধুমাত্র বাংলাদেশ) এই লিংকে ক্লিক করে। তাছাড়া আইওএস ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/vJjyyL (শুধুমাত্র বাংলাদেশ) এই লিংকে ক্লিক করে।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি