সেমির রাজা অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড

দ্বাদশ বিশ্বকাপের প্রথম দল হিসেবে সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। এরপর ভারত, ইংল্যান্ড আর সবশেষ নিউজিল্যান্ড শেষ চারের টিকিট কাটে। প্রথম সেমি ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত আর নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ড। বিশ্বমঞ্চে সর্বোচ্চ আটবার করে সেমি ফাইনালে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ড। এর মধ্যে কোনোবারই সেমি ফাইনালে হারেনি অজিরা।

শেষ চারের টিকিট যতবারই কেটেছে অস্ট্রেলিয়া, প্রতিবারই উঠেছে ফাইনালে। এরমধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচবারই শিরোপা জিতেছে অজিরা। আর নিউজিল্যান্ড শুধু গতবারই ফাইনালে উঠেছিল, আগের প্রতিবারই বিদায় নেয় সেমি ফাইনাল থেকে। গতবার এই অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেই শিরোপার স্বাদ নেওয়া হয়নি কিউইদের।

এবারের বিশ্বকাপে এক নম্বরে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে টিম ইন্ডিয়া। অন্যদিকে গতবারের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড চার নম্বরে থেকে গ্রুপপর্ব শেষ করেছে। প্রথম সেমি ফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার আগে গ্রুপ লিগে কিউইদের সঙ্গে টিম ইন্ডিয়ার সাক্ষাত হয়েছিল ১৩ জুন, নটিংহ্যামে। কিন্তু বৃষ্টিতে এক বলও খেলা হয়নি। ভেস্তে যায় ম্যাচ। পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নেয় দুই দল। বিশ্বকাপের ওয়ার্ম-আপ ম্যাচে অবশ্য কিউইদের কাছে হেরেছিল কোহলিরা। ১৫ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে লিগ শেষ করেছে টিম ইন্ডিয়া। কিউইরা ১১ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বর স্থানে লিগ শেষ করেছে। অস্ট্রেলিয়া ১৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপপর্ব শেষ করে দুই নম্বরে থেকে আর ১২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থেকে সেমিতে উঠে ইংল্যান্ড।

১৯৭৫ সালে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়। সেবার শিরোপা উঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাতে। প্রথম বিশ্বকাপের রানার্সআপ দলটি অস্ট্রেলিয়া। মোট ১২টি বিশ্বকাপের আটটিতেই সেমির দেখা পেল অজিরা। সর্বোচ্চ পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিশ্বকাপে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল। ৮ দলের ওই দুই টুর্নামেন্টে ষষ্ঠ হয়েছিল। ১৯৮৭ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় প্রথমবারের মতো। ১৯৯২ বিশ্বকাপে ৯ দলের মধ্যে পঞ্চম হয়ে বিদায় নেয় রাউন্ড ওয়ান থেকে। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার রানার্সআপ হয় অস্ট্রেলিয়া।

১৯৯৯, ২০০৩, আর ২০০৭ বিশ্বকাপে টানা তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয় অজিরা। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে অংশ নেয় ১২টি, ২০০৩ বিশ্বকাপে অংশ নেয় ১৪টি আর ২০০৭ বিশ্বকাপে অংশ নেয় মোট ১৬টি দেশ। ২০১১ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল অজিরা। সেবার ১৪ দলের মধ্যে ষষ্ঠ হয়েছিল ক্যাঙ্গারুর দেশটি। ২০১৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ছিল যৌথ আয়োজক। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া।

দ্বাদশ বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া খেলেছে মোট ৮৫ ম্যাচ। এর মধ্যে জিতেছে ৬২ ম্যাচে আর হেরেছে ২০টি ম্যাচে। পরিত্যক্ত হয় দুটি ম্যাচ। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে অজিদের একটি ম্যাচ টাই হয়েছিল। এই বিশ্বকাপে খেলা ৯ ম্যাচের সাতটিতেই জিতেছে অজিরা। হেরেছে কেবল ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।

বাংলাদেশের দর্শকরা বিশ্বকাপের সব ম্যাচ অনলাইনে কোনো ধরনের সাবস্ক্রিপশন ফি বা চার্জ ছাড়াই দেখতে পারবেন র‍্যাবিটহোলের ওয়েবসাইট www.rabbitholebd.com-এ। এছাড়া র‍্যাবিটহোলের অ্যাপেও দেখা যাবে প্রতিটি ম্যাচ। অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/UNCWS2 (শুধুমাত্র বাংলাদেশ) এই লিংকে ক্লিক করে। তাছাড়া আইওএস ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/vJjyyL (শুধুমাত্র বাংলাদেশ) এই লিংকে ক্লিক করে।

সারাবাংলা/এমআরপি

অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ স্পেশাল র‌্যাবিটহোল সেমি ফাইনাল