ফাইনালের মহারণে রোমাঞ্চিত মরগান
১৩ জুলাই ২০১৯ ২০:৪৬
বিশ্বকাপ ফাইনাল মহারণের জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে ইংলিশ দলপতি ইয়ন মরগান এলেন বেশ হাসিখুশি অবয়বে। টগবগে আত্মবিশ্বাসের দ্যুতি খেলে যাচ্ছিল চোখে মুখে। কথায়ও তাই। হবে বা না কেন? মাত্র ১ দিন আগেই তার দল স্রেফ উড়িয়ে দিয়ে দিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে। তার ওপর ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। সোনায় সোহাগা যাকে বলে। তাকে দেখেই ড্রেসিংরুমের অবস্থা খুব সহজেই অনুমান করা গেল।
যা হোক। শনিবার (১৩ জুলাই) ঐতিহ্যবাহী লর্ডসের সম্মেলন কক্ষে ইংলিশ দলপতিকে প্রথম প্রশ্নটি করা হলো; ‘ইংলিশ ক্রিকেটের জন্য এই ম্যাচের মানে কি?’
প্রশ্নকর্তার প্রশ্নের তাৎপর্য বুঝে নিতে ভুল করলেন না মরগান। তিন তিনটি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও সাবেকরা যে কাজটি নিপুন হাতে করতে পারেননি সেটাই তাকে করতে হবে। দায়িত্ব যেমন, তেমনি চাপও আছে বিস্তর। প্রথমটি ক্রিকেটের জনক দেশটি ৪৪ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটানো। আর দ্বিতীয়টি মান রক্ষার। তিনিই হতে পারেন ইংলিশদের সেই রূপকথার মহানায়ক।
কাজেই উত্তরটিও দিলেন অনুরূপ, ‘আমার এবং আমাদের কাছে এই ম্যাচের মানে অনেক কিছু। এটা আমাদের চার বছরের কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগের ফসল। বিশ্বকাপ জেতার বড় একটি সুযোগও বটে। আমার ধারণা দেশের প্রতিটি ভক্ত, সমর্থকদের জন্যও এটি একটি বড় উপলক্ষ্য। তারা যেভাবে আমাদের সমর্থন দিয়ে আসছে তাতে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মানছি।’
বিশ্বকাপের প্রেক্ষাপটে ইংল্যান্ডের মতো নিউজিল্যান্ডও বঞ্চিতদের কাতারে। ৬ বার ২২ গজের বিশ্বযুদ্ধেরর সেমি ফাইনাল ও ১ বার ফাইনালে ওঠার পরেও শিরোপা জয়ের বুনো উল্লাস করা হয়নি ব্ল্যাক ক্যাপসদের। কাজেই আগামীকালের ম্যাচটি নিজেদের মতো কিউদের জন্যও সুবর্ণ সুযোগ বলে মনে করেন মরগান।
ইংলিশ দলপতি জানালেন, ‘আমি মনে করি এটি দুই দলের জন্যই বড় একটি প্ল্যাটফর্ম। দু’দলই শক্তিশালী। আশা করছি আমরা দারুণ একটি ম্যাচ উপহার দিতে সক্ষম হব।’
ফাইনালে কিউদের যে ভেন্যুতে ইংলিশরা মোকাবেলা করবে সেটা একান্তই নিজেদের। এখানকার উইকেট, কন্ডিশন এমনকি বাতাসের প্রতিটি ঝাপটাও স্বাগতিকদের নখদর্পণে। যা ক্ল্যাশ অব টাইটানসে রূপ নেওয়া ম্যাচটিতে ইংলিশ দলপতির জন্য নিদারুণ স্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আছে রোমাঞ্চও।
মরগানের কথাগুলো ছিল এমন, ‘আমি রিল্যাক্সড ও রোমাঞ্চিত। এটা দারুণ যে আমরা ঘরের মাঠে খেলছি। নিঃসন্দেহে আমরা ম্যাচটি উপভোগ করব। যেহেতু বিশ্বকাপ ফাইনাল, আমরা সাধ্যের সেরাটি দিয়ে চেষ্টা করব।’
চেষ্টাটি কি সেদিনের অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচের মতোই হবে? জানতে চাইলেন এক সংবাদমাধ্যম কর্মী। উত্তরে মরগান জানালেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের ঠিক তেমনি চেষ্টা করা উচিত। তবে নিউজিল্যান্ড বেশ কঠিন সাইড। যেমন অভিজ্ঞ তেমনি দক্ষ ওরা। গ্রুপ পর্বে ওরা ছিল সেরা সাইড এবং যতই দিন গিয়েছে ওরা উন্নতি করেছে। পারফরম্যান্স লেভেল যদি কাউন্ট করেন আমাদের খুব কাছাকাছি। আমরাও উন্নতির চেষ্টা করছি। দেখা যাক।’
ওয়ানডে ক্রিকেটে দুই দলের ৯০ বারের মোকাবেলায় নিউজিল্যান্ড জিতেছে ৪৩টি ম্যাচে। ৪১টিতে ইংল্যান্ড আর ২টি ম্যাচ শেষ হয়েছে সমতায়। বিশ্বকাপে জয়ের পাল্লাও কিউদের দিকেই হেলে আছে। ৯ বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে ৫ বারই জিতেছে নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ড সেখানে ৪ বার।
বাংলাদেশের দর্শকরা বিশ্বকাপের সব ম্যাচ অনলাইনে কোনো ধরনের সাবস্ক্রিপশন ফি বা চার্জ ছাড়াই দেখতে পারবেন র্যাবিটহোলের ওয়েবসাইট www.rabbitholebd.com-এ। এছাড়া র্যাবিটহোলের অ্যাপেও দেখা যাবে প্রতিটি ম্যাচ। অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/UNCWS2 (শুধুমাত্র বাংলাদেশ) এই লিংকে ক্লিক করে। তাছাড়া আইওএস ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/vJjyyL (শুধুমাত্র বাংলাদেশ) এই লিংকে ক্লিক করে।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি