ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের উল্লাসে মাতে ইংল্যান্ড। ১৯৭৫ সালে প্রথম বিশ্বকাপের আসর বসে ইংল্যান্ডে। আর ২০১৯ সালে পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপের আসর বসে ক্রিকেটের জন্মস্থানে। তবে এর আগে কখনো বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করা না হলেও ঘরে মাঠে ১২তম আসরে তা করে দেখালো ইংলিশরা।
নাটকীয় ফাইনাল জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে ইংলিশ অধিনায়ককে সাংবাদিকদের প্রশ্ন, ‘আপনাদের তো ভাগ্য অনেক সাহয্য করেছে ফাইনাল জিততে?’ মরগানের জবাব, ‘হ্যাঁ!! আল্লাহ্ আমাদের সাথে ছিলেন। আমি রশিদের সাথে কথা বলছিলাম আর তখন রশিদ আমাকে বলেছিল আল্লাহ্ আমাদের সাথে আছেন।’
লর্ডসের ফাইনাল ছিল নাটকীয়তায় ভরপুর। দুই দলের নির্ধারিত ১০০ ওভার পরেও মিমাংসিত হয়নি বিজয়ী। এরপর বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সুপার ওভার। সুপার ওভারে আগে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ডের সামনে ১৬ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় ইংলিশরা। শেষ বলে ২ রান প্রয়োজন কিউইদের, ইনিংসে বেশি বাউন্ডারি হাঁকানোর কারণে কিউইরা ১ রান করলেও জয়ী হতো ইংলিশরা।
কাকতালীয় ভাবে কিউইরা শেষ পর্যন্ত ১ রানই নিতে সক্ষম হয়েছিল। আর মরগানকে বলা রশিদের কথাটিই সত্যি হলো শেষ পর্যন্ত ভাগ্যের জোরেই জিতলো ইংলিশরা। প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে মাতোয়ারা পুরো ইংলিশ স্কোয়াড। মঞ্চে যখন শ্যাম্পেইনের বোতল খুলে উল্লাস করছে বাকি ক্রিকেটাররা, তখন মঈন আলী এবং আদিল রশিদ মঞ্চ থেকে সরে এসে তাকিয়ে দেখছেন বাকিদের শ্যাম্পেইন নিয়ে করা উল্লাস।
রশিদ এবং মঈন ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। আর ধর্মে নেশা জাতীয় দ্রব্য স্পর্শ করা পাপ বলে দলের সাথে শ্যাম্পেইন নিয়ে করা উল্লাসে অংশ নেয়নি এই দুই মুসলিম ক্রিকেটার।
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে যতো সর্বোচ্চ!
সারাবাংলা/এসএস