দলের আর নিজের চ্যালেঞ্জের কথা জানালেন সুজন
১৭ জুলাই ২০১৯ ১৯:০৫
শ্রীলঙ্কায় তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ খেলতে উড়াল দেবে বাংলাদেশ। আগামী ২৬, ২৮ এবং ৩১ জুলাই দিবারাত্রির তিনটি ওয়ানডে খেলবে দুই দল। এরই মধ্যে দল ঘোষণা করেছে টাইগাররা। অনুশীলন ক্যাম্প হচ্ছে মিরপুরে। দলের সঙ্গে কোচ হিসেবে যেতে পারেন বিশ্বকাপে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করা সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাহমুদ সুজন।
বুধবার (১৭ জুলাই) মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সুজন। এ সময় টাইগারদের চ্যালেঞ্জ, নিজের দায়িত্ব নিয়ে কথা বলেন তিনি।
শ্রীলঙ্কা সিরিজ নিয়ে সুজন জানান, চ্যালেঞ্জ তো অবশ্যই। প্রতিটা ট্যুরই বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ। অবশ্যই আমি যখন দলের সঙ্গে থাকি তখন আমিও চ্যালেঞ্জের মধ্যে থাকি। ম্যানেজার হিসেবে কাজ করলেও চ্যালেঞ্জ থাকে। যদিও আপাতত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এটার জন্যও চ্যালেঞ্জ থাকবে। শ্রীলঙ্কা সিরিজটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সিরিজ। যদিও আমরা এই সিরিজে কিছু খেলোয়াড়কে মিস করব, তবে আমি মনে করি আমাদের দলটি যথেষ্ট ভারসাম্যপূর্ণ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমরা এর আগেও খেলেছি। যদিও শেয়ানে শেয়ানে লড়াই হয়। তবুও আমি আশা করি আমরা ভালো করব।
টাইগারদের কোচ হিসেবে সুজনের নামটা বার বার উচ্চারিত হলেও এখনও অফিসিয়ালি কোনো ঘোষণা আসেনি। সুজন জানালেন, আমার সঙ্গে এখনো কোনো কথা হয়নি এই ব্যাপারে। বোর্ড আমার সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি। আকরাম ভাই (ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান) আমাকে বলেছে, তুই আপাতত দেখাশোনা কর। যেহেতু এখন আমাদের কোচ নেই। বোর্ড এখন পর্যন্ত আমার সঙ্গে অফিসিয়ালি কোনো যোগাযোগ করেনি। সবচেয়ে বড় কথা, আমি এতো দিন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে আছি। দেশের স্বার্থে আমি সবসময় কাজ করে যেতে চাই। দেশের যদি আমাকে প্রয়োজন হয় আমি প্রস্তুত। তবে এখনো আমার সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগ হয়নি। এর মধ্যে আমরা নতুন কোচ পেয়েও যেতে পারি। এমন যদি তাহলে তো ভালোই।
নতুন কোচ না আসা অবধি টাইগারদের কোচের দায়িত্ব পালন করবেন সুজন। তিনি যোগ করেন, আপাতত এই দুই তিন দিন ট্রেইনিং সেশনে অবশ্যই কাজ করব। এরপর বোঝা যাবে কি হবে না হবে। আপাতত যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সেটাই করি। যেহেতু আমি দলের সঙ্গে থাকি, কোচ হিসেবে না থাকলেও ম্যানেজার হিসেবে থাকতাম। যেহেতু আকরাম ভাই বলেছেন সেভাবেই কাজ করছি।
জাতীয় দলে কখনো কোচ, কখনো ম্যানেজার-এভাবে কাজ করা কঠিন কিনা? এমন প্রশ্নে তিনি জানান, সেটা তো অবশ্যই। কোচের জন্য সকলের তো দীর্ঘ দিনের পরিকল্পনা থাকে। আপনি দেখেন স্টিভ রোডস যখন বাংলাদেশে এসেছিল তার কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ ভালো যায়নি। এরপর কিন্তু বাংলাদেশ তার অধীনে বেশ কয়েকটি ম্যাচ জিতেছে। সময়ের প্রয়োজন হয় পরিকল্পনা করার জন্য। যে কোনো কোচেরই এটা থাকে। যদিও আমি বাংলাদেশ দলের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানি। কারণ দলের সঙ্গে আমি অনেক দিন ধরেই আছি। তারপরও দীর্ঘ সময়ের জন্য সুযোগ পেলে যে কোনো মানুষের জন্য কাজ করতে অবশ্যই সুবিধা হয়।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি