পদ হারানোর শঙ্কায় নান্নু-সুমন
২৩ জুলাই ২০১৯ ১৭:১৯
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) গুঞ্জন, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এবং হাবিবুল বাশার সুমনকে জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলে রাখা হচ্ছে না। তাদের সঙ্গে বিসিবির তিন বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, যা কী না আর নবায়ন করা হবে না! চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, তাদের জায়গায় নতুন নির্বাচক প্যানেলও নাকি খোঁজাখুঁজি শুরু হয়ে গেছে! আগামী ২৭ জুলাইয়ের বোর্ড সভা শেষে যার ঘোষণা দেওয়া হবে।
কী আশ্চর্য্য! যে নির্বাচক প্যানেলের হাত ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পারফরম্যান্স গ্রাফ দিন দিন উর্ধ্বমুখী তাদেরই ছুঁড়ে ফেলে দেবে বিসিবি? না, বিসিবি সভাপতি বা তার আশাপাশের কেউই তা চাইছেন না। তবে ভেতরে কেউ কেউ তা কায়মন বাক্যে চাইছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, লাল সবুজের ক্রিকেটের এই দুই নিবেদিত প্রাণ নির্বাচককে সরাতে একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। তাদের নেতৃত্বে বিসিবিতে একটি গ্রুপও বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যারা প্রায় প্রতিদিনই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের দ্বারস্থ হচ্ছেন! যাতে করে নতুন চুক্তিতে নান্নু-বাশাররা কোনোভাবেই জায়গা না পান। সেজন্য নাকি জোর লবিংও চলছে!
তাদের এমন তৎপরতার পর পাপন কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা আগামী বোর্ড সভা শেষে জানা যাবে। তবে সেই পর্যন্ত দুজনকেই পদ হারানোর শঙ্কায় দিনাতিপাত করতে হচ্ছে! তবে নিজ নিজ পদে বহাল থাকতে এই দুজনই বেশ আত্মবিশ্বাসী এবং আশাবাদী।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিসিবিতে নান্নু জানালেন, ‘আমি মনে করি গত তিন বছর আমাদের প্যানেল নিয়ে যথেষ্ট ভালো কাজ করেছি। হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দল নিয়ে আমরা কাজ করেছি, ‘এ’ দলের খেলা প্রতিনিয়ত হচ্ছে। জাতীয় দলও ভালো করেছে। গত এক বছরের পারফরম্যান্স যদি দেখেন প্রায় ৫২.৭% ম্যাচ আমরা জিতেছি। এটা কিন্তু বিরাট একটা অর্জন। র্যাংকিংয়েও ওপরে এসেছি। আমাদের যে পরিকল্পনা ছিল লঙ্গার ভার্সনের ক্রিকেটাকেও মাথায় রেখেছি। আবার যদি সুযোগ দেয়, অবশ্যই আমরা ভালো কাজ করব। তবে দেবে কী না এটা বোর্ডের ব্যাপার।’
এদিকে সারাবাংলা.নেটের সঙ্গে একান্তে আলাপকালে হাবিবুল বাশার সুমন জানালেন, অবশ্যই আমরা চাইব যেন চুক্তিতে আমরা থাকি। কেননা আমাদের পারফরম্যান্স গ্রাফ বেশ ওপরের দিকে। গত তিন বছর আমাদের দলীয় ফলাফল খারাপ হয়নি। আমরা প্রতিষ্ঠিত একটি দল হতে পেরেছি।
২০১৬ সালে ফারুক আহমেদ প্রধান নির্বাচক পদ থেকে সরে দাঁড়ানোয় ওই বছরের জুনে নতুন প্যানেলে নান্নুকে প্রধান নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা, বিসিবি। একই প্যানেলে নির্বাচক পদে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল ওই সময় নারী ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বে থাকা আরেক সাবেক দলপতি হাবিবুল বাশার সুমনকে। আর তৃতীয় সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন সাজ্জাদ আহমেদ শিপন।
বছর না ঘুরতেই শিপন জাতীয় দলের দায়িত্ব ছেড়ে বয়সভিত্তিক দলের নির্বাচকের দায়িত্ব নিলে নান্নু-বাশার মাশরাফি-সাকিবদের প্রধান নির্বাচক ও নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। চলতি বছরের ৩০ জুন বোর্ডের সঙ্গে তাদের তিন বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি