সময় গড়িয়ে যায়, পরিকল্পনা কোথায়?
২৩ জুলাই ২০১৯ ১৮:১১
ঢাকা: সময় তার নিজের গতিতে চলে যায়। সেই গতির স্রোতকে কাজে লাগাতে হয়। দেশের ফুটবলের এখন সময়ের হাহাকার অবস্থা। লিগ শেষে ঈদ উদযাপন, অবকাশযাপনের পর ফিরতে ফিরতে আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহ। ১০ সেপ্টেম্বর ম্যাচ দিয়ে শুরু কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের বাংলাদেশ মিশন। এই সময়ের মধ্যে প্রস্তুতিটা কতটা জোরদার হচ্ছে পরিকল্পনা মাফিক?
হাতে আছে মাত্র ৫৯ দিন। মাঝে লিগ-ঈদ উদযাপন সব মিলিয়ে এমন প্রশ্নই যেন দেশের ফুটবলের আকাশে-বাতাসে।
কবে হবে বাংলাদেশের প্রস্তুতি শুরু?
সামনের মাসের এক তারিখেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের এগারতম আসরের পর্দা নামছে। লিগ শেষেই ঈদ শুরু হচ্ছে। ঈদ-অবকাশ কাটিয়ে ফিরতে ফিরতে তৃতীয় সপ্তাহ। ফুটবলার ও কোচের দায়িত্ব শুরু হবে তখন থেকে। ফিটনেস থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক ম্যাচে নামা পর্যন্ত সময় পাবে ২০ দিনের একটু বেশি। এর মধ্যে প্রস্তুতি নিয়ে খেলার উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে ফুটবলারদের।
লাল-সবুজদের প্রতিপক্ষরা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি নিয়েই যেন ব্যস্ত। বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ কাতার ইতোমধ্যে কোপা আমেরিকাসহ ১২ টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। ওমান এ বছরে এই ছয় মাসে খেলে ফেলেছে সাতটা ম্যাচ। প্রতিবেশি দেশ ভারতও খেলেছে আট ম্যাচ। আফগানিস্তান খেলেছে দুটি ম্যাচ। সেই তুলনায় বাংলাদেশ খেলেছে মাত্র দুটি ম্যাচ। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতার ঘাটতি এমনিতেই চোখে পড়ার মতো।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের প্রস্তুতি নিয়ে জানালেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ. ‘লিগ শেষ হলেই আমরা আলোচনায় বসবো। যদি প্রস্তুতি ম্যাচের দরকার হয় সেটাই করবো।’
এদিকে জামাল ভূঁইয়াদের কোচ জেমি ডে এখন ছুটিতে আছে ইংল্যান্ডে। বাফুফের ডাকের অপেক্ষায় আছে জেমি, ‘বাফুফের উপরই আমার আসার সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে। তবে, যেহেতু ফুটবলার লিগে ব্যস্ত সেজন্য খুব একটা সমস্যা হবে না। তারা মানিয়ে নিতে পারবে।’
তবে বাছাইপর্বের ম্যাচের আগে অন্তত একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার ইচ্ছা জেমির, ‘২ বা ৩ সেপ্টেম্বর বিদেশি কোন জাতীয় দলের সঙ্গে ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা আছে আমার।’ সেই পরিকল্পনাও এখন কনক্রিট না। বাফুফে, কোচিং স্টাফ ও ফুটবলারদের মধ্যে সমন্বয় নিয়ে প্রস্তুতি ভালো না হলে আবারও ব্যর্থতার গল্পই জন্ম হবে ঘুরে-ফিরে।
সারাবাংলা/জেএইচ