অল্পের জন্য হলো না মুশি’র
২৮ জুলাই ২০১৯ ১৯:১৭
আর মাত্র ২টি রান। তাহলেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরির দেখা পেতে পারতেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু না, হলো না। শেষ ওভারে তিন বলে নন স্ট্রাইক এন্ডে থাকায় কাঙ্খিত শতক বঞ্চিত হয়ে ফিরে গেছেন অপরাজিত ৯৮ রানে।
রোববার (২৮ জুলাই) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে লঙ্কান বোলিং তোপে ধ্বংসস্তুপেই পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশের ইনিংস। টপ অর্ডারের তামিম, সৌম্য, মিঠুনরা ক্রিজে গেলেন আর এলেন। সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলে ব্যাটিং বিপর্যয়ের বিষয়টি মাথায় রেখে ক্রিজে টিকে থাকার গুরুত্বটা হয়ত তিনি খুব ভাল ভাবেই অনুধাবন করেছিলেন।
তাতে কাজও হল বিস্তর। তাদের দৈন্য ব্যাটিংয়ের দিনে ব্যাট হাতে একাই আলো ছড়ালেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশি! আর টিম বাংলাদেশ পেল দুইশোর্ধ্ব সংগ্রহ।
৯৮ রানের ইনিংসটিতে মুশি লঙ্কান বোলারদের ওপর চড়াও হননি মোটেই। বরং ছোট ছোট রানে বুনেছেন এই সংগ্রহের মালা। যেখানে চারের মার ছিল ৬ টি ও ছয় ১টি। আর স্ট্রাইক রেট ৮৯.০৯।
এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো ওয়ানডেতে ৯০ এর ঘরে থেকে নিজের ইনিংসের ফুলস্টপ টানতে হল মুশফিককে। আজ অবশ্য তিনি অপরাজিত ছিলেন। গেল বছর এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্রিজ ছাড়া হয়েছিলেন ৯৯ রানে। ২০১৩ সালে মিরপুরে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ফিরেছেন ৯০ রানে। আর ২০০৯ সালে বুলাওয়েতে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে প্যাভিলনের পথ ধরেছিলেন এই ৯৮ রানেই।
এর আগে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে যথারীতি রান খরায় থাকতে হয়েছে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের। তামিম ইকবাল ১৯, সৌম্য সরকার ১১, মোহাম্মদ মিথুন ১২, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৬, সাব্বির রহমান ১১ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ফিরে গেছেন ১৩ রানে।
তবে সপ্তম উইকেটে মুশফিকের সঙ্গে দলের হাল ধরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। সাহসী এক একটি শটসে এই জুটিতে দলকে অপ্রত্যাশিত ৮৪ রান এনে দিয়ে ব্যক্তিগত ৪৩ রানে নিজের ইনিংসের এপিটাফ লিখে দেন মিরাজ।
এই দুই টাইগারের ব্যাটে ভর করেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেটের বিনিময়ে তামিম ইকবালদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ২৩৮ রান।