সর্বোচ্চ ছক্কায় তামিমের সঙ্গী মুশফিক
২৯ জুলাই ২০১৯ ১৫:১৩
শ্রীলঙ্কায় তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে নেমে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২০০তম ইনিংসে ব্যাটিং করেন মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত টাইগারদের এই মিডলঅর্ডার ৬ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। তৃতীয় ম্যাচের আগে মুশফিক দাঁড়িয়ে আরও একটি রেকর্ডের সামনে।
মুশফিক ২১৫ ম্যাচের ২০১ ইনিংসে ব্যাট হাতে নেমে করেছেন ৬০৯০ রান। নামের পাশে ৩৭টি অর্ধশতক এবং ৭টি শতক। তাতে ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৮২টি। ক্যারিয়ারে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান ১৪৪, আর এই সর্বোচ্চ রান করেছিলেন লঙ্কানদের বিপক্ষেই। তৃতীয় ম্যাচে তামিম ইকবাল কোনো ছক্কা হাঁকাতে না পারলে আর মুশফিক একটি ছক্কা হাঁকালে বাংলাদেশের জার্সিতে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক হবেন। মুশির সমান ৮২টি ছক্কা আছে তামিমের।
প্রথম ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে ৩১৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে চার নম্বরে নামা মুশফিক ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৬তম ফিফটি পূর্ণ করেন। ইনিংসের ৩৯তম ওভারে দলীয় ১৯৯ রানের মাথায় বিদায় নেন মুশফিক। তার আগে ৮৬ বলে পাঁচটি বাউন্ডারিতে করেন ৬৭ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে মুশি অপরাজিত থাকেন ৯৮ রানে। ২ রানের জন্য ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি। তার ১১০ বলে সাজানো ইনিংসে ছিল ৬টি বাউন্ডারি আর একটি ওভার বাউন্ডারি। একমাত্র ওভার বাউন্ডারিতে মুশফিক সর্বোচ্চ ৮২ ছক্কার রেকর্ডে তামিমের পাশে বসেন।
দেখে নেওয়া যাক বাংলাদেশের জার্সিতে কার কতটি বাউন্ডারি:
১। মুশফিকুর রহিম: ২১৫ ম্যাচে ২০১ ইনিংসে ৪৮৫ বাউন্ডারি, ৮২ ওভার বাউন্ডারি
২। তামিম ইকবাল: ২০৩ ম্যাচে ২০১ ইনিংসে ৭৫৪ বাউন্ডারি, ৮২ ওভার বাউন্ডারি
৩। মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা: ২১৫ ম্যাচে ১৫৪ ইনিংসে ১৫০ বাউন্ডারি, ৬২ ওভার বাউন্ডারি
৪। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ: ১৮৪ ম্যাচে ১৫৯ ইনিংসে ৩১১ বাউন্ডারি, ৫৬ ওভার বাউন্ডারি
৫। আফতাব আহমেদ: ৮৫ ম্যাচে ৮৫ ইনিংসে ২০৫ বাউন্ডারি, ৪৯ ওভার বাউন্ডারি
৬। সাকিব আল হাসান: ২০৬ ম্যাচে ১৯৪ ইনিংসে ৫৭৪ বাউন্ডারি, ৪২ ওভার বাউন্ডারি
৭। সৌম্য সরকার: ৫৪ ম্যাচে ৫৩ ইনিংসে ১৯৫ বাউন্ডারি, ৪১ ওভার বাউন্ডারি
৮। ইমরুল কায়েস: ৭৮ ম্যাচে ৭৮ ইনিংসে ২৩৮ বাউন্ডারি, ৩৭ ওভার বাউন্ডারি
মুশফিক বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৮, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৪, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অপরাজিত ১০২, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮৩, ভারতের বিপক্ষে ২৪ আর পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ১৬ রান। বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে শ্রীলঙ্কা বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে মুশফিক করেছিলেন ৫০ রান। সিরিজের প্রথম ম্যাচে করেন ৬৭ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে করেন অপরাজিত ৯৮ রান।