‘মেজবানের শহরে’ সাকিব পেলেন সোনার চাবি, হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা
৩০ জুলাই ২০১৯ ২১:৪৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: প্রত্যাশিত সাফল্য না এলেও এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ দল ছিল সাকিবময়। শুধু কি বাংলাদেশ দল, অনবদ্য পারফরমেন্সের কারণে পুরো বিশ্বকাপ ক্রিকেটই যেন সাকিবময়। বিশ্বকাপের দুর্দান্ত যাত্রাকে সঙ্গী করে দেশে ফেরা সাকিব আল হাসানকে হৃদয় দিয়ে বরণ করেছে ক্রিকেটতীর্থ চট্টগ্রাম। মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের হাত থেকে পেয়েছেন ‘চট্টগ্রাম নগরের সোনার চাবি’।
সাকিব সেখানে জানালেন, চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান আর গরুর গোশতের কালো ভুনা তাকে খুব টানে। আর সারাদেশের ক্রিকেটভক্তদের মতো চট্টগ্রামের ভক্ত-অনুরাগীদের মনে দোলা দেয় সাকিবের অনবদ্য পারফরমেন্স। তাই-তো মেজবানের শহর চট্টগ্রামে সাকিব সংবর্ধিত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা (সিজেকেএস) সাকিবের সংবর্ধনার আয়োজক। নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে পুরো অনুষ্ঠান ছিল সাকিবকে ঘিরেই। বিশ্বকাপের এক আসরে ৬০৬ রান আর ১১ উইকেট নেওয়া সাকিবকে ঘিরে ধরেন খুদে ক্রিকেটাররা, অনেক প্রশ্ন, অনেক কৌতুহল!
সাকিব তাদেরকে জানালেন, ‘চাপকে জয় করো, খেলাকে এনজয় করো। আর পরিশ্রম এবং শৃঙ্খলার মধ্যে থাকতে হবে। তোমাদের মধ্য থেকে ভালো ক্রিকেটার উঠে আসবে।’
শ্রীলঙ্কায় দুটি ম্যাচ হারা মানে সব শেষ নয় বলে মনে করেন সাকিব। তিনি ক্রিকেটারদের উৎসাহ দিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। আর নতুনদের জন্য বললেন, ‘স্বপ্ন দেখতে হবে। স্বপ্নের পেছনে ছুটতে হবে। পাশাপাশি স্বপ্নটা বাস্তবায়নের জন্য পরিশ্রম করে যাও।’
সংবর্ধনার অনুষ্ঠানে সাকিব আরও বলেন, ‘এই চট্টগ্রামে আমার টেস্ট অভিষেক। এখান থেকে আজ সংবর্ধনা পাচ্ছি এটা যেকোনো ক্রিকেটারের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক। অন্যান্য জেলার জন্যও এই ধরনের অনুষ্ঠান অনুকরণীয়।’
এ সময় সাকিব চট্টগ্রামের মেজবান, গরুর গোশতের কালো ভুনার আবদার করে গেলেন ক্রীড়া সংগঠক আলী আব্বাসের কাছে।
সিটি মেয়রের সোনার চাবির পাশাপাশি সাকিবকে ক্রেস্ট দিয়েছে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সংস্থা। হাসান মুরাদের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি সিরাজুদ্দীন মোহাম্মদ আলমগীর।
অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, ‘বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ব্যক্তিগত ৬০৬ রান ও ১১টি উইকেট নিয়ে সাকিব আল হাসান টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেছেন। বিদেশ ভ্রমণসহ নানা ব্যস্ততার মাঝেও চট্টগ্রামবাসীর টানে তিনি চলে এসেছেন। তার অসাধারণ পারফরমেন্সের কারণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সম্মানজনক অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। আজকের এই সংবর্ধনা নতুন ক্রিকেটারদের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। নতুন প্রজন্ম আগামীর সাকিব হয়ে উঠতে চাইবে।’