আবারও হেরেছে রিয়াল
৩১ জুলাই ২০১৯ ০৯:৫৯
জিদানের জাদুর স্পর্শে সব পাল্টে যাবে, এমনটাই হয়তো ভেবেছিল রিয়াল সমর্থকেরা। তবে বাস্তবে তা সম্ভব হচ্ছে না কোনো ভাবেই। একের পর এক ম্যাচ হেরেই চলেছে লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে সাত গোলের লজ্জার পরাজয়ের ক্ষত শুকাতে না শুকাতে আবারও হেরে বসলো রিয়াল মাদ্রিদ। এবার প্রতিপক্ষ ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার্স।
প্রাক-মৌসুমটা ভাল যাচ্ছে না রিয়ালের এ তো নতুন কিছু নয়। ২০১৯-২০২০ মৌসুমের আগে নিজেদের ঝালায় করে নেওয়ার লক্ষ্যে বারবারই ব্যার্থ জিনেদিন জিদানের দল। প্রাক মৌসুম প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম ম্যাচেই বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৩-১ এর হার,এরপর আর্সেনলের কাছে টাই ব্রেকারে জয়। কিন্তু এরপরেই আবারও ছন্দপতন, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের কাছে ৭-৩ ব্যবধানের লজ্জার পরাজয়। অ্যাতলেটিকোর কাছে হারের পর মনে হতেই পারে এবার হয়তো ঘুরে দাঁড়াবে জিজুর শিষ্যরা। তবে তা আর হয়নি টটেনহ্যা, হটস্পার্সের কাছেও হারতে হলো তাদের।
অদি কাপের সেমিতে পূর্ণশক্তির একাদশই নামিয়েছিলেন মাউরিসিও পচেত্তিনো আর জিনেদিন জিদান। রিয়ালের হয়ে মাঠে ছিলেন এডেন হ্যাজার্ড, করিম বেনজেমা, লুকা মদ্রিচরা। স্পার্সের হয়েও শুরু থেকেই ছিলেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন, কেইন, এরিক লামেলা এবং হিউঙ-মিন সন। ম্যাচের শুরু থেকেই রিয়ালকে চেপে ধরে স্পার্স। কেইন-এরিকসেনদের গতি এবং বোঝাপড়া সামলাতে হিমশিমই খাচ্ছিলেন সার্জিও রামোসর আর রাফায়েল ভারানের জুটি। তবে প্রথমার্ধে দারুণ ফর্মে ছিলেন কেইলর নাভাসও।
এরিকসেন এবং লামেলার দুটি প্রচেষ্টা দুর্দান্তভাবে ফিরিয়ে দিয়েছেন কোস্টারিকান গোলরক্ষক। কিন্তু ২২ মিনিটে নিজেদেরই ভুলেই পিছিয়ে পড়ে রিয়াল। মার্সেলোর ব্যাকপাস থেকে নাভাসকে একা পেয়ে যান কেইন। রামোস-ভারান এগিয়ে আসলেও চমৎকার চিপে নাভাসকে পরাস্ত করেন ইংলিশ স্ট্রাইকার। পিছিয়ে পড়লেও পুরো ম্যাচে স্পার্সের রক্ষণভাগকে তেমন পরীক্ষাতেই ফেলতে পারেননি হ্যাজার্ডরা। লিড নিলেও নাভাসের কারণেই ব্যবধান বাড়াতে পারেনি স্পার্স।
দ্বিতীয়ার্ধে স্পার্সের দুটি সেরা সুযোগ পেয়েছিলেন ডেলে আলী। কিন্তু আবারও দুর্গ হয়ে দাঁড়ান নাভাস। রিয়ালের হয়ে ম্যাচের মিনিট দশেক বাকি থাকতে নেমেছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রদ্রিগো গোজ। ম্যাচের শেষদিকে স্পার্স গোলরক্ষক হুগো লরিসকেও পরাস্ত করেছিলেন তিনি, কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল হয় গোলটি।
৮৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত স্পার্সও। কিন্তু বদলি ফরোয়ার্ড ট্রয় প্যারোটের শট নাভাসকে পরাস্ত করলেও প্রতিহত হয় বারপোস্টে। শেষ পর্যন্ত আবারও হতাশা নিয়েই ফিরতে হয়েছে জিদানের দলকে। প্রাক-মৌসুমের শেষদিকে এসেও রক্ষণের ভুল বোঝাবুঝির পুরনো সমস্যাই ভোগাচ্ছে রিয়ালকে। রামোস, ভারানরা ফর্মে ফিরতে না পারলে হয়তো আরও এক হতাশাজনক মৌসুমই অপেক্ষা করছে রিয়ালের জন্য।
৩১ জুলাই বায়ার্ন বা ফেনেরবাচের বিপক্ষে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ খেলবে জিদানের দল।
অদি কাপ জিনেদিন জিদান রিয়াল মাদ্রিদ-টটেনহ্যাম লস ব্ল্যাঙ্কোস সেমি ফাইনাল