হতাশা লুকাননি সাকিব
১ আগস্ট ২০১৯ ১৬:৪৭
বিশ্বকাপে সুপার ডুপার পারফরম্যান্সের পরে বিশ্রামে থাকায় দলের সঙ্গে লঙ্কাভিযানে যাওয়া হয়নি সুপারম্যান সাকিব আল হাসানের। টিভি পর্দায় দেখেছেন সতীর্থদের একের পর এক অসহায় আত্মসমর্পণ। তবুও সিরিজ চলাকালীন এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। পাছে দলের পারফরম্যান্সে বাজে প্রভাব পড়ে। তবে আশা করেছিলেন দল একটি ম্যাচ হলেও জিতে ফিরবে। সেই আশাও যখন ব্যর্থতার বালুচরে মুখ থুবরে পড়ল তখন দল নিয়ে হতাশা ব্যক্ত না করেই বা উপায় কি। সাকিবও তাই করলেন। সিরিজে অংশ না নিয়েও সংবাদ মাধ্যমের সামনে নিজের হতাশা লুকাননি।
লঙ্কা সফরের বিবর্ণ তার দল। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে ৯১ রানে হার, দ্বিতীয় ম্যাচে হারের ব্যবধান ৭ উইকেটে! সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে হারের ব্যবধান আরও বড়, ১২২ রানে হার! তাও আবার ১৪ ওভার বাকি থাকতেই! দলের এমন ব্রিবতকর পারফরম্যান্সে হতাশ টাইগার সহকারি ওয়ানডে দলপতি সাকিব আল হাসান।
অথচ লঙ্কানদের বিপক্ষে নিকট অতীতের দ্বৈরথ টাইগারদের শ্রেষ্ঠত্বের সাক্ষ্যই দেয়। ২০১৩ এবং ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে ওয়ানডে সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ, স্বাগতিক দলের বিপক্ষে ১-১ এ ড্র করেছে। গত বছর দুবাইয়ে এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কাকে ১৩৭ রানে হারিয়ে দেওয়ার স্মৃতিও টাটকা। ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে নিচের দলের কাছে সেই দাপুটে দলটির এই আত্মসমর্পণে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যত।
২০০২, ২০০৫, ২০০৭, ২০১৪’র পর ২০১৯-এ এসে পঞ্চমবারের মতো শ্রীলঙ্কার কাছে হোয়াইটওয়াশ হতে হলো বাংলাদেশ দলকে। যা নিদারুণ হতাশাব্যঞ্জক বলে আখ্যা দিলেন সাকিব। সতীর্থদের এমন বিবর্ণ পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপে দলটির বিপক্ষে জয় নিয়েও তার মনে সন্দেহের উদ্রেক করেছে।
সাকিব জানালেন, ‘হতাশাজনক অবশ্যই। এখানে আসলে লুকোচুরি করার কিছু নাই। বিশ্বকাপের সময় শ্রীলঙ্কার সাথে আমাদের খেলাটা হয়নি। অনেকেই নিশ্চিত ছিল আমরা পূর্ণ পয়েন্ট পাব। এই সিরিজে কিন্তু প্রমাণ হয়েছে সেই জয়টা নিশ্চিত ছিল না। আমরা জিততেও পারতাম আবার হারতেও পারতাম। এই সিরিজটার কথা যদি বলি হতাশাজনক। সিরিজ হারলেও একটা ম্যাচ যদি জিতে আসতে পারতাম আমাদের আত্মবিশ্বাসের জন্য কাজে আসত, সেটা হয়নি।’
এমন পরিস্থিতিতে দলের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারে দীর্ঘ মেয়াদে পরিকল্পনার বিকল্প দেখছেন না সাকিব, ‘সময় এসেছে তিন-চার বছরের জন্য পরিকল্পনার। আমি নিশ্চিত বিসিবিতে যারা আছেন এটা নিয়ে চিন্তা করছেন। ইতোমধ্যেই আমাদের দুজন কোচও নিয়োগ দিয়েছেন। হয়তো পুরো কোচিং স্টাফ একসাথে হলে বোর্ডকে একটা পরিকল্পনা দিতে পারবে। সেভাবে কাজ করতে পারলে আমার মনে হয় আমাদের ক্রিকেট গত চার বছরে যতদূর এগিয়েছে এখান থেকেই আবার সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।’
এই ফলাফলের কারণটা কি? সংবাদ মাধ্যমের করা এমন প্রশ্নে সাকিবের সেই পুরোনো উত্তর, ‘আমি সবসময়ই বলি, এগুলো মিডিয়ার সামনে আর বলতে চাই না। মানে এটা সবার জানার বিষয় বলে আমি মনে করি না। টিমের সঙ্গে যারা আছেন, নীতি-নির্ধারক যারা আছেন, কোচিং স্টাফ আছেন, প্লেয়ার আছে। এদের সঙ্গে আলাপ করে যদি সমস্যা সমাধান করা যায় সেটা সবচাইতে ভালো হবে।’