তামিমকে বিশ্রামের পরামর্শ দিলেন সাকিব
১ আগস্ট ২০১৯ ১৭:১৫
সেই বিশ্বকাপ থেকেই ব্যাট হাতে বিবর্ণ তামিম। বিশ্বমঞ্চে নিজেকে চেনাতে পারেননি লাল সবুজের এই দেশ সেরা ব্যাটসম্যান। ৮ ইনিংসে ২৯.৩৭ গড়ে মাত্র ২৩৫ রান এই ওপেনারের! অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি ফিফটি ছাড়া বলার মতো একটি ইনিংসও নেই। অনেকেই ভেবেছিলেন বিশ্বকাপে হারানো আত্মবিশ্বাস শ্রীলঙ্কা সফরে ফিরে পাবেন। কিন্তু হলো তার বিপরীত। এখানে তিনি যেন আরও ম্লান।
প্রথম ম্যাচে ৫ বলে ০ রানে ভুপাতিত হয়েছেন মালিঙ্গার ইয়র্কারে। দ্বিতীয় ম্যাচে উদানার বলে ১৯ রানে হয়েছেন প্লেড অন। আর সিরিজের শেষ ম্যাচে ব্যক্তিগত ২ রানের মাথায় রাজিথার বলে উইকেটের পেছনে যেভাবে ক্যাচ দিয়েছেন তাতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে তার এক যুগের ক্যারিয়ার। বলার অপেক্ষাই রাখে না প্রতিটি ম্যাচই তার আউট দলকে ঠেলে দিয়েছে ব্যাকফুটে।
বিশ্বকাপ শেষে ঢাকায় ফিরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাটিং অনুশীলনে নিজেকে ফিরে পেতে চেষ্টা করেছেন। তাতে ৭ হাজার ওয়ানডে রান থেকে ১২৯ রান দূরে থেকে তামিম সফরটি শুরু করছেন বলে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই সফরেই ল্যান্ডমার্ক ছুঁয়ে ফেলবেন, এমন স্বপ্নই দেখেছিল তামিম ভক্তরা। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেছে।
তবে তামিমের এমন দৈন্য পারফরম্যান্সে অবাক হননি সতীর্থ সাকিব আল হাসান। বরং বিষয়টিকে নিয়েছেন স্পোর্টিংলি। তামিম একটু বিশ্রাম পেলেই আবার প্রবল বিক্রমে ফিরবেন বলে অগাধ বিশ্বাস তার। তাই আপাতত বিশ্রামের পরামর্শ দিলেন এই টাইগার সুপার ম্যান।
সাকিব জানালেন, ‘দেখুন একজন প্লেয়ারের এরকম সময় যেতেই পারে। আমার কাছে এখন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় ওর খুব ভালো একটা বিশ্রাম নেওয়া, সেরে ওঠা, ফ্রেশ হওয়া এবং প্রবল বিক্রমে ফিরে আসা। আমি নিশ্চিত সে এটা করবে।’
শুধু তামিম ইকবালই নন, টানা খেলায় অবসাদগ্রস্থ এমন প্লেয়ারদের জন্য বিশ্রাম প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করলেন এই টাইগার অলরাউন্ডার। নূন্যতম ফিটনেস না থাকলে ক্রিকেট থেকে দূরে থাকার পরামর্শও দিয়ে রাখলেন, `আমি মনে করি (আমার ব্যক্তিগত ধারণা) যখন একজন প্লেয়ার প্রস্তুত থাকে তখনই তার খেলা উচিত। যখন সে প্রস্তুত না, খেলাটা উচিত না। কিংবা পুরো ফিট না থেকে খেলাটা কঠিন হয়ে যায়। পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে এটা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে যে আপনি কতটা ফিট, কতটা আনফিট। সেটা মানসিক হতে পারে, শারীরিকও হতে পারে। এই জিনিগুলো আমাদের বুঝতে হবে।’
‘আধুনিক ক্রিকেট যে অবস্থায় এসেছে এত পরিমানে ম্যাচ থাকে এই জিনিসগুলো ম্যানেজ করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি অন্যান্য দলের দিকে তাকিয়ে দেখেন এই জিনিসিগুলো কিন্ত কোচিং স্টাফ বলেন, ফিজিও বলেন, ট্রেনাররা বলেন; ওদের মাধ্যমে প্লেয়ারদের সঙ্গে আলোচনা করে। তাদের ম্যানেজমেন্ট জিনিসগুলো চালু করেছে। কারণ একটা প্লেয়ারের পক্ষে টানা খেলা কখনোই সম্ভব না। তাই এই বিরতিগুলো গুরুত্বপূর্ণ, এই বিরতিগুলো যখন থাকবে অনেক প্লেয়ারের সুযোগ আসবে। পাইপ লাইনের প্লেয়ারও তৈরি হবে বলে আমি মনে করি। তাই এই জিনিসগুলো অনেক বিস্তর আকারে পরিকল্পনা করতে করতে হবে।’