কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ
৭ আগস্ট ২০১৯ ০৪:২৮
ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, আইসিসির সদস্যপদ স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড বেশ বড় ক্ষতির মুখেই পড়েছে। সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপের দায়ে আইসিসির সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে জিম্বাবুয়ের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। এ কারণে বাংলাদেশে আয়োজিত ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে না আসার সম্ভাবনা বেশি।
শুধু তাই নয়, আইসিসির কোনো ইভেন্টেও অংশ নিতে পারবে না জিম্বাবুয়ের কোনো দল। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বেও অংশ নিতে পারবে না জিম্বাবুয়ের পুরুষ ও নারী দল।
চলতি বছরের অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব। আইসিসির নিষেধাজ্ঞা থাকায় জিম্বাবুয়ে অংশ নিতে পারবে না। তাতে কপাল খুলেছে নাইজেরিয়ার। আফ্রিকা অঞ্চল থেকে তৃতীয় দল হিসেবে নাইজেরিয়া অংশ নেবে ১৩ দলের বাছাইপর্বে। এই অঞ্চল থেকে বাকি দুই দল কেনিয়া এবং নামিবিয়া।
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের জন্য আইসিসির অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দেশটির ঘরোয়া ক্রিকেটের পাশাপাশি এফটিপি (ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম) বাস্তবায়নও এখন সম্ভব নয়। ফলে সেপ্টেম্বরে জিম্বাবুয়ের বাংলাদেশ সফর বাতিল করতে হচ্ছে। ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ভবিষ্যতও এখন অনিশ্চিত।
যদিও জিম্বাবুয়েকে পরবর্তীতে অন্য একটি আন্তর্জাতিক বাছাইপর্ব আয়োজনের অধিকার দিয়েছিল আইসিসি সেটা এখন অনিশ্চিত। অথচ আইসিসি বৈশ্বিক বাছাইপর্বের জন্য জিম্বাবুয়েকে বেছে নিয়েছিল। বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিভুক্ত সকল খেলোয়াড় এবং স্টাফদের হয়তো মাসের পর মাস কিংবা আজীবনের জন্য বেতন ও ম্যাচ ফি ছাড়াই কাটাতে হবে।
জিম্বাবুয়ের ধকল এখানেই শেষ নয়। ২০২০ সালের বিশ্বকাপের মূল আসরে নারীদের ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের জায়গায় সুযোগ পাচ্ছে নামিবিয়া। যারা দ্বিতীয় স্থানে ছিল। স্কটল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় বাছাইপর্বে স্বাগতিক দল ও নামিবিয়া ছাড়াও থাকছে বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পাপুয়া নিউ গিনি, থাইল্যান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।