এমসিসির বৈঠকে ‘ইংল্যান্ডের সেই ওভারথ্রো’
১৩ আগস্ট ২০১৯ ২১:০৪
লর্ডসে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটে প্রথমবার বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে ইংল্যান্ড। নির্ধারিত ম্যাচে শাসরুদ্ধকর উত্তেজনার পর সুপার ওভারেও ব্যাপক উত্তেজনায় ভরপুর ম্যাচটা বাউন্ডারি নিয়মে জিতে নেয় ইংল্যান্ড। অবশ্য এটা নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও বিশ্বকাপের পরে নির্ধারিত ম্যাচে একটা ওভারথ্রো নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়েছে। ভার্চুয়াল জগতের এই প্রশ্ন এখন পৌঁছে গেছে এমসিসির বৈঠকে।
এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে ওভার থ্রো-র নিয়ম নিয়ে। বিশ্বকাপ ফাইনালে বিতর্কিত ওভার থ্রো-র জেরে ছয় রান পেয়েছিলেন বেন স্টোকস। যেখানে নিয়মমতো পাঁচ রান হয়। এর পরে এই আইন নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে।
সোমবার এক বিবৃতিতে এমসিসি বলেছে, ‘বিশ্বকাপ ফাইনালের ওভার থ্রোর কথা মাথায় রেখে ক্রিকেট কমিটির বৈঠকে ১৯.৮ আইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ক্রিকেট কমিটি মনে করে, এই ব্যাপারে আইন স্বচ্ছই আছে। তার পরেও ঠিক হয়েছে, সেপ্টেম্বরে আইন সংক্রান্ত সাব কমিটির সভায় এই নিয়ে পর্যালোচনা হবে।’
ওভারথ্রো নিয়ে বিতর্কের কারণ:
পুরো ম্যাচ জুড়ে দুই আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা এবং মারাইস ইরাসমাস বেশ কিছু ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আর শেষ পর্যন্ত কিউইরা যদি বলে তাদের সাথে অনিয়ম করা হয়েছে সেটাও অসত্য নয়।
দ্বিতীয় ইনিংসের ৪৯.৪ ওভারের বল করলেন ট্রেন্ট বোল্ট, ব্যাট হাতে বেন স্টোকস সজোরে বল ঠেলে দিলেন ডিপ মিড উইকেটে। এই বল থেকে ২ রান চেয়েছিলেন বেন স্টোকস। মিড উইকেট থেকে মার্টিন গাপটিল বেশ ভালো থ্রো করেছিলেন। স্টাম্পে সরাসরি লাগলে রান আউট হওয়ার সম্ভাবনা ছিল স্টোকসের। রান আউট থেকে বাঁচতে ডাইভ দিয়েছিলেন স্টোকস। আর ডাইভ দেওয়ার পর গাপটিলের থ্রো করা বলটি তার ব্যাটে লেগে থার্ড ম্যান দিয়ে পার হয় সীমানা! পুরো ঘটনা এবং স্টোকসের ক্ষমা প্রার্থনা সুলভ চাহনি দেখে তখনই বোঝা গেছে, এ বাউন্ডারি হওয়ায় তার ইচ্ছাকৃত কোনো হাত ছিল না। স্টোকসের অনিচ্ছাকৃত ভাবেই ঘটে গেছে এই ঘটনাটি।
স্টোকসের ইচ্ছাকৃত কিংবা অনিচ্ছাকৃত ভুল যাই হোক, মাঠে দায়িত্বরত দুই আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা এবং মারাইস ইরাসমাস আলোচনা করে ইংলিশদের স্কোরবোর্ডে যোগ করলেন ৬ রান (দৌড়ে ২ রান ও ওভারথ্রোতে ৪ রান)। আর এতেই ৩ বলে ৯ রান থেকে সমীকরণ নেমে আসে ২ বলে ৩ রানে। এরপর? এরপর বাকিটা ইতিহাস।
এরপর বিশ্বকাপের ইতিহাসের প্রথমবারের মতো ফাইনালে সুপার ওভার। তবে শেষ পর্যন্ত তাতেও ফলাফল নির্ধারিত হয়নি। শিরোপার নিষ্পত্তি হয়েছে বাউন্ডারিসংখ্যার ওপর ভিত্তি করে। যেখানে এগিয়ে থেকে শিরোপা জিতেছে ইংল্যান্ড।
আইন সংক্রান্ত সাব কমিটির সভা বসবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে। এই বিষয় নিয়ে সেখানে পর্যালোচনা করা হবে বলে জানানো হয় বিবৃতিতে।