নিজেকে মেসির থেকে যে কারণে এগিয়ে রাখেন রোনালদো
১৪ আগস্ট ২০১৯ ২১:২৫
পেলে-ম্যারাডোনা বিতর্কের পর বর্তমান ফুটবল বিশ্বে শ্রেষ্ঠত্বের সবচেয়ে বড় বিতর্কের নাম রোনালদো-মেসি। সেরা কে এই বিতর্ক প্রায় এক দশক ধরে হয়ে আসছে। মাঝে কত ফুটবলার এলো-গেলো কিন্তু এই বিতর্ক রয়েই গেলো। এবং যুদ্ধটা হয়তো আরও অনেক বছর থেকেই যাবে সমর্থকদের মাঝে। এ নিয়ে কত শব্দ যে ব্যয় হয়ে যার কোনও ইন্তেহা নেই।
তারপরেও থেমে নেই বিতর্ক। খোদ ফুটবলার-কোচ-কর্মকর্তারাও সরব এ বিতর্কে। এই বিতর্কের আগুণ আরও ফুসে উঠে যখন এ নিয়ে খোদ রোনালদো বা মেসি কিছু বলেন। দু’জনই দু’জনকে যে প্রচণ্ড শ্রদ্ধা করে সেটা বলার অপেক্ষাই রাখে। মাঠে ও মাঠের বাইরে সেটা অনেকবারই প্রকাশ পেয়েছে।
লিওনেল মেসি খোদ রোনালদোর খেলায় অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হোন বলে জানিয়ে দিয়েছেন আগেই। এবং তাকেই সেরা মানেন। এটা সম্মানের জায়গা থেকে বলে থাকতে পারেন। তবে, বিষয়টা নিয়ে বেশ সিরিয়াস দেখা যায় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। ব্যালন ডি ওর হোক বা অন্য কোনও বিষয় নিজেকে মেসির উপরেই রাখেন বা রাখতে চান পর্তুগিজ কিংবদন্তি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মেসিকে প্রশংসা করে রোনালদো জানান, ‘ও অসাধারণ ফুটবলার। পাঁচ বার ব্যালন ডি’ওর পাওয়ার জন্য লোকে ওকে মনে রাখবে না। মনে রাখবে ঠিক আমার মতো বছরের পর বছর নিজের খেলায় উন্নতি করার জন্য।’
রোনালদোর আরও কথা, ‘রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে আরও ভাল কিছু করার শপথ নিই। শুধু অর্থ উপার্জনের জন্য ফুটবলটা খেলি না। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে আমার অর্থের অভাব নেই। তাই যা করি তা ফুটবল ইতিহাসে জায়গা স্থায়ী করতে।’
সাক্ষাৎকারে নিজেকে মেসির থেকে এগিয়ে রাখার কারণও জানালেন রোনালদো, ‘মেসির সঙ্গে আমার ফারাকটা হচ্ছে আমি একাধিক ক্লাবে খেলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছি। ছ’টি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছি। মনে হয় না খুব বেশি ফুটবলার পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী দলে ছিল। তাই এই জায়গাটাতে নিজেকে আমি আলাদা ভাবতেই পারি।’
পরিসংখ্যান বলছে রোনালাদোর কথা সত্য। মেসি চার বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন। রোনাল্ডো পাঁচ বার। একবার জিতেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চার বার। মেসির যাবতীয় সাফল্য বার্সেলোনাতেই। ইউরোপের সেরা টুর্নামেন্টে সব চেয়ে বেশি গোলও রোনালদোর। ১৬২ ম্যাচে ১২৬টি। মেসির ১১২ টি। ১৩৫ ম্যাচে।
সাক্ষাৎকারে তার সাবেক কোচ জিনেদিন জিদানকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন রোনালদো, ‘জিদান আমাকে প্রচুর সাহায্য করেছেন। এমনিতেই ফুটবলার হিসেবে ওকে অসম্ভব শ্রদ্ধা করতাম। কিন্তু একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ওর প্রতি শ্রদ্ধা অনেক বেড়ে যায় আমার। উনি যে ভাবে ফুটবলারদের সঙ্গে মিশতেন, যে ভাবে কথা বলতেন, বিশেষ করে আমার সঙ্গে যে ব্যবহার করতেন, তা সব সময়ই মুগ্ধ করত।’