ভঙ্গুর দল নিয়েও ভীত নয় আবাহনী
২০ আগস্ট ২০১৯ ২০:৪০
এএফসি কাপে প্রথম বাংলাদেশি ক্লাব হিসেবে নকআউটে খেলতে নামবে আবাহনী লিমিটেড। ইন্টার জোন প্লে অফ সেমি ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ (৪.২৫ স্পোর্টস ক্লাব নামে পরিচিত)। ইনজুরি ও কার্ড সমস্যায় আবাহনী এই ম্যাচে পাচ্ছে না পূর্ণ শক্তির দল। তবে, তাতে ভীত নন কোচ মারিও লেমস। চোট জর্জর দল নিয়ে গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে আসাটাও আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে পর্তুগিজ এই কোচকে।
বুধবার (২১ আগস্ট) প্রথম লেগে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আবাহনী মাঠে নামবে। সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় ইন্টার জোনাল প্লে-অফ সেমি-ফাইনালসের প্রথম লেগে মুখোমুখি হবে দুই দল। দুই দলই প্রথম পর্বে নিজ নিজ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট পর্বে উঠেছে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে জয়ী দলটি উঠবে জোন ফাইনালে।
কদিন আগে আবাহনী থেকে চলে গেছেন ডিফেন্ডার মাসিহ সাইঘানি। কার্ডের নিষেধাজ্ঞায় মিশরের ডিফেন্ডার আলা নাস ইসাকেও পাচ্ছে না আবাহনী। নিয়মিত তিন খেলোয়াড়কে এই ম্যাচে পাচ্ছে না আবাহনী। লিগামেন্টের অস্ত্রোপচার করানোয় দীর্ঘদিন ধরে মাঠের বাইরে দুই ডিফেন্ডার তপু বর্মণ ও আতিকুর রহমান ফাহাদ। এক সপ্তাহ আগে অনুশীলনের সময় পায়ে চোট পান মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম।
এদিকে, আবাহনীতে যোগ দিলেও অভিষেক পিছিয়ে যাচ্ছে মিশরের আলা এলদিন নাসেরের। গত টুর্নামেন্টে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসের হয়ে খেলার সময় তিনি লাল কার্ড পেয়েছিলেন।
আবাহনীর কোচ মারিও লেমস জানালেন, আমাদের উন্নতির দিকটি মনে আছে। আগামীকাল আমরা টেকনিকে ভিন্ন কিছু রাখবো। মাসিহ, ইসারা নেই। মামুনুলের চোট আছে। তারা আমার গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে গ্রুপ পর্বে আমরা সানডে চিজোবা, ওয়েলিংটন সেরিনো প্রিওরির মতো খেলোয়াড় ছাড়াই সেরা হয়েছি। নতুন যারা সুযোগ পাবে তাদের সুযোগটা কাজে লাগাতে হবে। আমার বিশ্বাস ছেলেরা শুধু আবাহনী নয়, দেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য অনুপ্রাণিত থাকবে। তাদের দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে।
আবাহনীর কোচ আরও যোগ করেন, আমাদের লড়াই করতে হবে। যদি আমরা ভালোভাবে রক্ষণ সামলাতে পারি, তাহলে আমার বিশ্বাস আমরা গোলও করতে পারব। দলে স্কোর করার মতো অনেকেই আছে। আসলে গ্রুপ পর্ব থেকেই ইনজুরি সমস্যা নিয়ে আমরা লড়াই করে যাচ্ছি। ফুটবলে এমনটা হতেই পারে। অবশ্য এতে করে বেঞ্চে থাকা খেলোয়াড়দের সামনে সুযোগ আসে। যারা একাদশে সুযোগ পাবে, আশা করি তারা দায়িত্ব নিয়ে খেলবে। এখানে ভুল করার সুযোগ নেই।
প্রতিপক্ষকে নিয়ে তিনি যোগ করেন, যেহেতু প্রতিপক্ষ দলটি কৃত্রিম ঘাসে খেলে অভ্যস্ত তাই এখানে তাদের মেলে ধরতে কষ্ট হবে। কোনো অজুহাত নয়, আমরা জিততে চাই। অবশ্যই আমাদের এই ম্যাচ জিততে হবে। আমরা জানি প্রতিপক্ষ শক্তিশালী দল, কিন্তু আমরাও ভীত নই। আমরা প্রায় তিন সপ্তাহের প্রস্তুতি নিয়ে এই ম্যাচ খেলবো। এটা যে আমাদের জন্য বেশ কঠিন ম্যাচ হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সবাই লড়াই করে জেতার জন্য প্রস্তুত।
এই প্রথম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ৬ বারের চ্যাম্পিয়নরা এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের বাধা টপকে উঠেছে নকআউট পর্বে। সব মিলিয়ে অনেকটা ভঙ্গুর দল নিয়ে কঠিন পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে আবাহনী। ওদিকে, গতবার ইন্টার জোন প্লে-অফ ফাইনালে হেরেছিল এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ। এবার সেই আক্ষেপ কাটাতে চায় সেনাবাহিনীর খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া দলটি। যা আবাহনীর জন্য সম্পূর্ণ একটি নতুন অভিজ্ঞতা। দুই দলের ফিরতি ম্যাচ আগামী ২৮ আগস্ট উত্তর কোরিয়ার পিয়ং ইয়ংয়ে।