‘ভারতীয় দল কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়’
২২ আগস্ট ২০১৯ ১৪:১৪
ভারতের সাবেক দলপতি মহেন্দ্র সিং ধোনি কবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন কেউ জানেন না। আর এটা নিয়ে মাথা ব্যথার শেষ নেই। সাম্প্রতিক সময়ে আহামরি কোনো পারফরম্যান্স দেখাতে না পারা ধোনির জাতীয় দলের জায়গা ধরে রাখাটা অনেকের কাছেই বাড়াবাড়ি বলে মনে হচ্ছে।
২০১৯ বিশ্বকাপের পর জাতীয় দল থেকে সরে দাঁড়াবেন ধোনি-এমনটি অনেকেই আশা করেছিলেন। বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলার ধরণটা বেশ সমালোচিত হয়। ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররাও সমালোচনা করেন। ভারতের কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারও বলেছিলেন, এবার ধোনির সরে দাঁড়ানো দরকার। সমালোচনায় এবার নতুন করে নাম লেখালেন ভারতের ডানহাতি ব্যাটসম্যান মনোজ তিওয়ারি।
তিওয়ারি জানান, কোনো সন্দেহ নেই ধোনি আমাদের দেশকে অনেক কিছুই দিয়েছে। জাতীয় দলের জন্য সম্ভাব্য প্রায় সবকিছুই করেছে। শচীনের মতো গ্রেটরা সময়মতো সরে দাঁড়িয়েছিলেন। আমরা তার সরে দাঁড়ানোর জন্য যতই বলি না কেন, কোহলি (ভারতের দলপতি) কিন্তু ধোনিকে দলেই রাখতে চাইছে। তাই আমি মনে করি ভারতের নির্বাচকদের জন্য এটা খুব কঠিন একটা কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা নিয়ে তাদের ভাবা দরকার, একটা সমাধান বের করা প্রয়োজন।
তিওয়ারি আরও জানান, সাম্প্রতিক সময়ে ধোনির পারফরম্যান্স পড়ন্ত। একজন সেরা খেলোয়াড়ের সময়টা বাজে যেতে পারে। এক কিংবা দুই ইনিংসে খারাপ করতে পারে। কিন্তু টানা পারফর্ম করেই বিশ্বের সেরা দলে টিকে থাকতে হয়। আমি জানি না দলের নির্বাচকরা ধোনির কোন পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে তাকে দলে রাখতে চায়। ভারতে অনেক ট্যালেন্ট ক্রিকেটার আছে, তাদের সুযোগ দেওয়া দরকার। কারণ ভারতীয় দল কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটা পুরো জাতীর দল। এখানে পারফর্ম করা সবাইকে সুযোগ দিতে হবে, এটা আপনার মাথায় রাখা দরকার।
এদিকে, বিশ্বকাপ থেকে ফেরার পর প্রথম বিদেশ সফরে ভারতের সঙ্গী হননি ধোনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলেননি। ১৪ দিনের ছুটি নিয়ে টেরিটোরিয়াল আর্মি শিবিরে যোগ দিতে কাশ্মীর উড়ে যান ধোনি। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে খেলতে পারেননি ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাম্মানিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে থাকা ধোনি ১০৬ টিএ ব্যাটালিয়নে (প্যারা) থেকে ১৫ আগস্ট তার মেয়াদ শেষ করেন।