ওয়ানডেতে নিজেদের টেক্কা দিচ্ছেন ফিজ-রাবাদা-বুমরাহ
২২ আগস্ট ২০১৯ ১৫:২৬
ওয়ানডেতে প্রায় একই সময়ে ক্রিকেট বিশ্ব পেয়েছিল তিন তরুণ পেসারকে। যারা শুরু থেকে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করে চলেছেন। বাংলাদেশের কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ, ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কেগিসো রাবাদা। তিন পেসারই নিজেদের প্রমাণ করে জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য। কাছাকাছি পারফরম্যান্সে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দলের সেরা পেসার তারা।
২০১৫ সালের ১৮ জুন ভারতের বিপক্ষে মিরপুরে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় মোস্তাফিজের। তার ঠিক কদিন পরেই (২০১৫ সালের ১০ জুলাই) বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই মিরপুরেই অভিষেক হয় প্রোটিয়া পেসার রাবাদার। আর ২০১৬ সালের ২৩ জানুয়ারি সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষেক হয় ভারতীয় পেসার বুমরাহর।
মোস্তাফিজ তার অভিষেক ম্যাচেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে বাংলাদেশকে জিতিয়েছিলেন। ভারতের বিপক্ষে ৭৯ রানের জয়ের ম্যাচে সেরার পুরস্কারটাও গেছে তার হাতে। বল হাতে অভিষেক ম্যাচে ৯.২ ওভারে ৫০ রান দিয়ে তুলে নিয়েছিলেন ৫টি উইকেট। ফিজের মতো নিজের অভিষেক ম্যাচেই আলো ছড়িয়েছিলেন রাবাদা। প্রোটিয়াদের ৮ উইকেটে জেতার ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৬০ রানে গুটিয়ে দিতে বল হাতে রাবাদা ৮ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচায় তুলে নিয়েছিলেন ৬টি উইকেট। সেই ম্যাচে মোস্তাফিজের বোলিং ফিগার ছিল ৬-২-১৫-০।
মোস্তাফিজ-রাবাদার মতো মনে রাখার ম্যাচ হয়নি ভারতের পেসার বুমরাহর। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দল ৬ উইকেটে জিতলেও অভিষেক ম্যাচে বল হাতে ১০ ওভারে ৪০ রান খরচায় বুমরাহ নেন দুটি উইকেট। অপরাজিত সেঞ্চুরি করে দলকে জেতানো মনিষ পান্ডে ম্যাচ সেরা হন।
ওয়ানডেতে অভিষেকের পর মোস্তাফিজ খেলেছেন ৫৬ ম্যাচ, রাবাদা খেলেছেন ৭৫ ম্যাচ আর বুমরাহ খেলেছেন ৫৮ ম্যাচ। ফিজ উইকেট নিয়েছেন ১০৭টি, রাবাদা উইকেট নিয়েছেন ১১৭টি আর বুমরাহ উইকেট নিয়েছেন ১০৩টি। এর মধ্যে রাবাদা-বুমরাহ এক ইনিংসে ৫ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন একবার করে। সেদিক দিয়ে ফিজ অনেকটাই এগিয়ে। এক ইনিংসে ৫ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন ৫ বার। ফিজের বেস্ট বোলিং ফিগার ৬/৪৩, রাবাদার ৬/১৬ আর বুমরাহর ৫/২৭।
৫৬ ম্যাচের ৫৫ ইনিংসে মোস্তাফিজ ২৮১৩ ডেলিভারিতে রান দিয়েছেন ২৪৫৮, যেখানে ইকোনমি রেট ৫.২৪। রাবাদা ৭৫ ম্যাচের ৭৩ ইনিংসে ৩৮৪২ ডেলিভারিতে রান দিয়েছেন ৩১৯৯, যেখানে ইকোনমি রেট ৪.৯৯। আর বুমরাহ ৫৮ ম্যাচের ৫৮ ইনিংসে ৩০০৯ ডেলিভারিতে রান দিয়েছেন ২২৫৪, যেখানে ইকোনমি রেট ৪.৪৯।