ফিফা থেকে স্বীকৃতি মেলার অপেক্ষায় জয়া-সালমা
২৫ আগস্ট ২০১৯ ১৩:০৫
দক্ষিণ এশিয়ায় চারজন নারী ফিফা রেফারির দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মধ্যে দুজন ভারতের আর একজন করে আছেন নেপাল ও ভুটানের। ফিফার পঞ্চম নারী রেফারি হতে অপেক্ষায় আছেন বাংলাদেশের জয়া চাকমা। আর তার সহকারী হিসেবে ফিফা থেকে স্বীকৃতি মেলার অপেক্ষায় আছেন বাংলাদেশের সালমা আক্তার মনি।
দুদিন আগেই বাংলাদেশের নারী রেফারিদের ইতিহাসে মাইলফলক গড়েছেন এই দুজন। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফিফার নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা দিয়ে ফিফা রেফারি হওয়ার যোগ্যতা প্রমাণের সর্বশেষ হার্ডলটা পার হতে পেরেছেন দুজনই।
খেলোয়াড়ী জীবনের পর ২০১০ সালে রেফারিংয়ে মনোনিবেশ করেন রাঙামাটির মেয়ে জয়া। এর আগে লেভেল ৩, ২ ও ১ কোর্স শেষ করে জাতীয় পর্যায়ের রেফারি হয়েছেন। এবার বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা রেফারি হওয়ার ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এখন শুধু ফিফা থেকে স্বীকৃতি মেলার অপেক্ষা। সেটি হলেই বাংলাদেশের প্রথম নারী ফিফা রেফারি হবেন তিনি। বর্তমানে বিকেএসপির নারী ফুটবলের কোচ হিসেবে কাজ করছেন জয়া চাকমা।
রাঙ্গামাটির জয়া চাকমা ফুটবলে পরিচিত মুখ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার পাশাপাশি জাতীয় দলে খেলেছেন জয়া। পাহাড়ি কন্যার খ্যাতি পাওয়া জয়া প্রায় ১০ বছর ধরে রেফারিং করছেন ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচে। ভারতের সুব্রত কাপে, নেপাল-ভুটান এমনকি এশিয়ার বাইরে ইউরোপে গিয়েও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
সহকারী রেফারি হিসেবে নেত্রকোনার মেয়ে ইডেন কলেজের ছাত্রী সালমা আছেন অপেক্ষমানদের এই তালিকায়। ফিফার কোটা অনুযায়ী একজন রেফারি আর একজন সকহারী রেফারির দায়িত্ব পাবেন। ২০১০ সাল থেকে ফুটবল মাঠে বাঁশি বাজাচ্ছেন জয়া, সালমার শুরু ২০১৩ সালে। জয়া চাকমা ৩৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন আর ১৫টি ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন সালমা। জাতীয় দলে অবশ্য খেলা হয়নি সালমার। সেক্ষেত্রে সবকিছু ঠিক থাকলে জয়াকে দেখা যেতে পারে ফিফা রেফারির ভূমিকায়। এখন বাফুফের রেফারিজ কমিটি যেভাবে ফিফায় নাম পাঠাবে সেভাবেই তাদের একজন রেফারি হবেন, আরেকজন সহকারী।
ফিফার স্বীকৃতি মিললে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ফিফার তালিকাভুক্ত রেফারি হয়ে যাবেন জয়া ও সালমা। এরপর এই দুজন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাতীয় দলের ম্যাচ পরিচালনা করতে পারবেন দেশ-বিদেশের ভেন্যুতে। তাদের স্বপ্নটাও বেশ বড়, বাংলাদেশের হয়ে একদিন বিশ্বকাপের ম্যাচে বাঁশি বাজানোর।