ফিল্ডিংয়ে টাইগারদের লম্বা সেশন
২৫ আগস্ট ২০১৯ ১৮:৫২
কন্ডিশনিং ক্যাম্পে রোববার (২৫ আগস্ট) সকালের অনুশীলনের সেশনটি ছিল প্রায় দেড় ঘণ্টার। যেখানে ছিল কেবল ফিটনেস ট্রেনিং। এরপর দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয় স্কিল ট্রেনিং। ক্রিকেটীয় রীতিতে সেখানে ব্যাটিংয়ের সঙ্গে মিশেল ছিল বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের। ব্যাটিং, বোলিং থেমেছে দুপুর আড়াইটা নাগাদ। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে শুধুই ফিল্ডিং।
সময় তখন দুপুর সাড়ে বারোটার একটু বেশি। শের-ই-বাংলার সেন্টার উইকেটের ঠিক পেছনে মুশফিকুর রহিম, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, সাদমান ইসলাম অনীককে নিয়ে স্লিপ ক্যাচে ব্যস্ত টাইগার হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ও ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক। রায়ান বল ছুঁড়ছেন আর ডমিঙ্গো ব্যাটে বলে করে পাঠাচ্ছেন স্লিপে। সেখান থেকে কখনো ঝাঁপিয়ে পড়ে, উড়ে গিয়ে, ডাইভ দিয়ে কখনো বা জায়গায় দাঁড়িয়ে ক্যাচ তালুবন্দি করছেন শিষ্যরা। পালাক্রমে এভাবে চললো ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যাপী।
দুপুর দুইটা নাগাদ ড্রেসিংরুম প্রান্তে শুরু হয় শর্ট ও লং ক্যাচের অনুশীলন। সেখানে অবশ্য কুককে সঙ্গ দিয়েছেন ট্রেনার মারিও ভিল্লা ভারায়ন। মারিও বল ছুঁড়ছেন আর কুক ব্যাটে বলে পাঠিয়ে দিচ্ছেন ড্রেসিংরুমের সামনে। দৌঁড়ে এসে বল তালুবন্দির চেষ্টা করছেন শফিউল, ফরহাদ রেজা, মাহমুদউল্লাহ, সাদমান ইসলাম অনীক। চার জনের মধ্যে সেরার তকমা নিয়ে শেষ করেছেন অবশ্য শফিউল।
বাউন্ডারি সীমানার একেবারে প্রান্তে দাঁড়িয়ে আয়ত্তের অনেক বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলটি শফিউল লাফিয়ে উঠে তালুবন্দি করতেই সতীর্থরা উল্লাসে ফেটে পড়ে। সিনিয়র এই সতীর্থকে এসে জড়িয়ে ধরেন, হাই ফাইভ বিনিময় করেন। কোচের চেহারায় তখন বিজয়ীর হাসি। যেন দিনের কষ্ট স্বার্থক। সব শেষে শুরু হয় শর্ট ফিল্ডিং অনুশীলন।
শুধু ব্যাটিং, বোলিংয়ে পারদর্শী হলেই হবে না ক্রিকেটে সাফল্যের জন্য মারমার কাটকাট ফিল্ডিংও চাই। সেটা ছিল না বলেই ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের প্রথম ওভারেই নিশ্চিত উইকেট থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এবাদত হোসেন। সেদিন তার প্রথম ওভারের ডেলিভারি থেকে দ্বিতীয় স্লিপে ওঠা টম ল্যাথামের ওই ক্যাচটি সৌম্যর মুঠো গলে বেরিয়ে গেলে শূন্য রানে জীবন পেয়ে শেষ পর্যন্ত ১৬১ রানের ইনিংস খেলেন এই কিউই ওপেনার। তাতে ক্ষতিটাও হয় অপূরণীয়।
ক্যাচ মিসের এই মহড়া অব্যাহত ছিল বিশ্বকাপেও। তন্মধ্যে সবচাইতে উল্লেখযোগ্য তামিম ইকবালের তালু ফসকে বেরিয়ে যাওয়া রোহিত শর্মার ওই ক্যাচটি। যা আজীবন বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দুঃখ হিসেবে লেখা থাকবে। সেদিন সেঞ্চুরি করা রোহিতকে শুরুতেই ফেরানো গেলে হয়তো বিশ্বকাপে টাইগারদের সেমির স্বপ্ন অধরা থাকত না। তাইতো এত এত ফিল্ডিং অনুশীলন।