লেংথ বলের টোটকা ল্যাঙ্গাভেল্টের
২৬ আগস্ট ২০১৯ ১৯:৩৭
বাংলাদেশ ক্রিকেটের নতুন পেস বোলিং কোচ শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট শিষ্যদের টোটকা দিচ্ছেন লেংথ বলের। আরও পরিষ্কার করে বললে, সঠিক জায়গায় ধারাবাহিকভাবে বল ডেলিভারির। কেন দিচ্ছেন? যে কোনো ফরম্যাটের ক্রিকেটেই ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করতে প্রভাব বিস্তার করে এই লেংথ বল।
লেংথ বলের প্রধানতম সুবিধা হলো, অধিকাংশ বলই ব্যাটসম্যানকে ছেড়ে দিতে হয়। ক্রমাগত বল ছেড়ে দেওয়ায় এক সময় রান তোলার তাড়ায় তার ওপর সৃষ্টি হয় চাপ। সেই চাপ কাটিয়ে উঠতে এক পর্যায়ে এসে তাকে ভুল শট খেলতেই হয়। সেই শটে এজ বা প্লেড অন হয়ে ধরতে হয় ড্রেসিং রুমের পথ।
সোমবার (২৬ আগস্ট) সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কোচের সেই টোটকার কথাই সংবাদ মাধ্যমকে জানালেন সুইং বিশেষজ্ঞ শফিউল ইসলাম। তিনি জানালেন, ‘ভালো জায়গায় বল করলে যেকোনো জায়গায় সফল হওয়ায় সম্ভব। বিশ্বের সব বোলাররাই এভাবে সফল হয়েছে। জায়গাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কোচ এগুলো নিয়ে কাজ করছেন। উইকেট যে রকমই হোক আমি যদি সুযোগ পাই, আমি চাইবো যে উইকেটের সাহায্য থাকুক। এটা হলে নিজের কাছেই ভালো লাগবে। উইকেটের আচরণ এবং কন্ডিশন অনুযায়ী বল করার চেষ্টা করবো।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৯ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন শফিউল। নতুন বলে তার মতো আউট সুইঙ্গার এদেশে খুব একটা নেই। সেরা পেসার বিবেচনায় মাশরাফির পরেই তিনি। সেই মাশরাফি আজ দেশসেরা পেসার। পক্ষান্তরে শফিউল পড়ে আছেন তীরেই। পুরোপুরি নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। প্রথম তিন বছর উড়ন্ত ছন্দে থাকলেও পরের সময়গুলোতে ইনজুরি তাকে ঠেলে দিয়েছে মাঠের বাইরে।
এমনও হয়েছে, প্রাথমিক স্কোয়াডে জায়গা পেয়ে ক্যাম্পে অনুশীলন করছেন, আৎকা চোটে পড়ে ছিটকে গেছেন একাদশ থেকে। কখনো বা একাদশে ডাক পেয়েও ম্যাচে চোট নিয়ে কাটিয়েছেন ড্রেসিংরুমে। সঙ্গত কারণেই নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে খুশি হতে পারেননি অভিজ্ঞ এই টাইগার।
শফিউল আরও জানান, ‘৯ বছর আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি। নিজের দিক থেকে আমি খুশি না। যখন জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছি প্রথমবার, তারপর তিন বছর নিয়মিত খেলতাম। মাঝখানে হয়তো খেলতে পারিনি। ইনজুরি বা অন্যান্য কারণে। এখনও ক্যারিয়ার শেষ হয়নি। যদি সুযোগ পাই, যেটুকু সুযোগ পাই একটা লক্ষ্য দাঁড় করাতে পারব।’
আপনার কোনো সমস্যা আছে? সংবাদ মাধ্যমের করা এমন প্রশ্নে শফিউল জানালেন, ‘আমার নিজের ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। আসলে দুর্ভাগ্য বলব। যা হয়েছে কোনো কারণে, আল্লাহ্ যা লিখে রেখেছেন সেটাই হয়েছে। আমি আমার কাজ সবসময় করার চেষ্টা করেছি। যখনই জাতীয় দলে ফিরে যাই, নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করি। হয়তোবা ডাক পাওয়ার পর ইনজুরিতে পড়েছি, এটাকে দুর্ভাগ্যই বলব। আসলে এটা নিয়ে বলার কিছু নেই।’