উজ্জ্বল মাহমুদউল্লাহ নিষ্প্রভ সাকিব
৩১ আগস্ট ২০১৯ ১৯:৫৬
দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি লাল দলের হয়ে আলো ছড়িয়েছেন ‘মিস্টার কুল’ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সবুজ দলের বিপক্ষে ব্যাট হাতে করেছেন ১০৭ রান। আর বল হাতে শিকার করেছেন তিন ব্যাটসম্যানকে। পক্ষান্তরে টাইগার টেস্ট দলপতি সাকিব আল হাসান ছিলেন ভীষণ নিষ্প্রভ। বোলিংয়ে ১০ ওভারে ৪১ রানের বিনিময়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। আর দু’বার ব্যাটিংয়ে নেমে সাকুল্যে সংগ্রহ করেছেন ০ ও ৯ রান।
লাল দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান এসেছে আবু হায়দার রনির ব্যাট থেকে। আর সাব্বির রহমান করেছেন ৩৪ রান। তাতে প্রথম ইনিংসে ৮৪.১ ওভারে লাল দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় সবক’টি উইকেটের বিনিময়ে ২৬৮ রান।
সবুজ দলের হয়ে বল হাতে তোপ চালিয়েছেন চোট কাটিয়ে দলে ফেরা তাসকিন আহমেদ। ১২.১ ওভার বল করে ৪৫ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। আর এবাদত হোসেনের শিকার ছিল ৩টি।
শনিবার (৩১ আগস্ট) দ্বিতীয় ও শেষ দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে লাল দলের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে মুশফিকুর রহিমের সবুজ দল। ৫২.৩ ওভারে প্রথম ইনিংসে তারা গুটিয়ে যায় মাত্র ১২৫ রানে। এরপর আর খেলা হয়নি।
লাল দলের হয়ে বোলিংয়ে রীতিমত ভেলকিই দেখিয়েছেন অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৭.৩ ওভারের ৪টিই ছিল মেডেন। তিন শিকারের তালিকায় আছেন; সাদমান ইসলাম অনিক, ফরহাদ রেজা ও তাইজুল ইসলাম।
তার আগে মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে ড্রেসিংরুমের পথ দেখিয়ে সবুজ দলকে আউট অব ট্র্যাক করে দেন তরুণ আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি। উইকেটগুলো তুলে নিতে তরুণ এই পেসার ১০ ওভারে খরচ করেছেন মাত্র ২২ রান।
সবুজ দলের হয়ে ব্যাট হাতে দুই অঙ্কে পৌঁছেছেন মাত্র তিন ব্যাটসম্যান। তিনে নামা মুমিনুল হক ৭৩ বলে ৩৫, পাঁচে নামা মোসাদ্দেক ৬২ বলে ৫১ (সর্বোচ্চ) ও সাদমান ইসলাম অনিক সমান সংখ্যক বল খেলে করেছেন ১৩ রান। অধিনায়ক মুশফিক মাঠ ছেড়েছেন ৬ রানে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে দুই দিনের এই প্রস্তুতি ম্যাচে সন্দেহাতীতভাবেই সেরা প্রস্তুতি দেখিয়েছেন পেসাররা। মূল স্কোয়োডে ডাত পাওয়া তিন পেসারই উইকেটের দেখা পেয়েছেন। প্রথম দিন তাসকিন আহমেদ ৪টি ও ইবাদত হোসেন ৩টি উইকেট নিয়েছিলেন। আর দ্বিতীয় দিন রাহি নিলেন ৩ উইকেট।
তবে ওপেনারদের নিয়ে দুঃশিন্তা থেকেই গেল। সাদমান ইসলাম অনিকের দৈন্য ব্যাটিংয়ের ম্যাচে সৌম্য সরকার ৬ বল খেলে ফিরেছেন শূন্য রানে। প্রথমবার ব্যাটিংয়ে নেমে সাদমানও অবশ্য শূন্য হাতেই ফিরেছিলেন। দ্বিতীয়বার সাতে নেমে ১৩ রান সংগ্রহ করতে খেললেন ৬২ বল!