আফ্রিদিকে ছাড়িয়ে মালিঙ্গা, ঘাড়ে নি:শ্বাস ফেলছেন সাকিব
২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২:৪৫
শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলেতে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি দারুণ ভাবে জিতে নিয়েছে সফরকারী নিউজিল্যান্ড। কলিন ডি গ্রান্ডহোম আর রস টেইলরের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে কিউইরা। তবে এই ম্যাচেও অর্জন আছে লঙ্কান অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গার।
১৭৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে বেশ লড়াই করছে নিউজিল্যান্ড। উইকেটে তখন ছিলেন কলিন ডি গ্রান্ডহোম আর রস টেলর। কিউইদের থামাতে বল হাতে তুলে নিলেন লঙ্কান অধিনায়ক এবং তারকা পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। ক্রিকেটীয় ক্যারিয়ার জুড়ে জমে যাওয়া জুটি ভেঙে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দেওয়াটাই ছিল তার শখ। আর কিউইদের বিপক্ষেও সেই কাজটিই করলেন মালিঙ্গা।
কলিন ডি গ্রান্ডহোমকে ইনিংসের ১৩.৩ তম বলে নিজের শিকার বানান মালিঙ্গা। আর এই উইকেটটি সাধারণ কোনো উইকেট নয়, এই উইকেটটি তুলে নিয়েই বনে গেলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। কিউইদের বিপক্ষে ম্যাচ শুরু আগে ৯৭ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানি অল রাউন্ডার শহীদ আফ্রিদির পরে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছিলেন এই তালিকার।
কিউইদের ব্যাটিং ইনিংসের প্রথম ওভারেই বল হাতে তুলে নেন লঙ্কান অধিনায়ক মালিঙ্গা। আর প্রথম ওভারের ৪র্থ বলে কলিন মুনরোকে তুলে নিয়ে স্পর্শ করেন শহীদ আফ্রিদির ৯৮ উইকেটের মাইলফলক। আর ইনিংসের ১৪তম ওভারে কলিন ডি গ্রান্ডহোমকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করে বনে যান একক ভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ৭৪টি ম্যাচ খেলেছেন লাসিথ মালিঙ্গা। আর ৭৪ ইনিংসে বল হাতে নিয়ে নিয়েছেন ৯৯টি উইকেট। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার ৩১ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট, আর বোলিং গড় ১৯.৫৩, সেই সাথে ইকোনমি রেট ৭.২৭। সাবেক পাকিস্তানি তারকা অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদিকে পেছনে ফেলে এই রেকর্ড গড়েন মালিঙ্গা। আফ্রিদি ৯৯ ম্যাচ খেলে ৯৮টি উইকেট তুলে নিয়েছেন। এই তারকার বোলিং ক্যারিয়ারের ইকোনমি রেট ছিল ৬.৬৩ আর ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার ১১ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকার তৃতীয় স্থানে আছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ক্যারিয়ারে ৬.৭৭ ইকোনমি রেট আর ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার ২০ রানে ৫ উইকেট নেওয়া সাকিব খেলেছেন ৭২টি ম্যাচ। নামের পাশে আছে ৮৮ উইকেট। মালিঙ্গা ছুঁতে সাকিবের যে খুব বেশি সময় লাগবে তা বলা কঠিন।
আফগানিস্তান, জিম্বাবুয়ে আর বাংলাদেশের মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজটি হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। এই সিরিজে সাকিবের সামনে কমপক্ষে চারটি ম্যাচ। মালিঙ্গা জানিয়ে দিয়েছেন সামনের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষেই ক্রিকেট থেকে অবসরে যাবেন তিনি। এই হিসাবে সাকিবের সামনে সুযোগ থাকছে একক ভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় নিজের নাম পাকাপোক্ত করার।
তবে পুরুষ ও নারী ক্রিকেট মিলিয়ে এই রেকর্ডটা উইন্ডিজ মহিলা দলের অফ স্পিনার আনিসা মোহাম্মদের। তাঁকে ধরতে মালিঙ্গা বা সাকিবকে আরও বেশ কষ্ট করতে হবে। আনিসা উইন্ডিজের হয়ে ১০২ ম্যাচে ১১৫ উইকেট নিয়েছেন। আর তারপরেই দ্বিতীয় স্থানে আছেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার এলিস পেরি। অজিদের জার্সিতে ১০৫ ম্যাচে খেলে ১০৩ উইকেট আছে তার ঝুলিতে। নারী-পুরুষ উভয় তালিকা মিলিয়ে মালিঙ্গা অবস্থান করছেন আনিসা আর পেরির পরে তৃতীয় স্থানে।
আরও পড়ুন: পাহাড় সমান জয়ের লক্ষ্য উইন্ডিজকে দিয়েছে ভারত
টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ত্রিদেশীয় সিরিজ লাসিথ মালিঙ্গা শহীদ আফ্রিদি শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড সাকিব আল হসান