মুহূর্তেই ফাঁকা সাগরিকার গ্যালারি
৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৬:১৩
চট্টগ্রাম থেকে: শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকেই দর্শক সমাগম দেখা গিয়েছিল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে। লাল সবুজের জার্সি পরে, পতাকা হাতে ঢাকঢোল বাজিয়ে ভক্তরা এসেছিলেন প্রিয় টাইগারদের শ্রেষ্ঠত্ব দেখতে। সংখ্যাটি যদিও আহামরি ছিল না। কিন্তু তারপরেও টেস্ট ক্রিকেট বিবেচনায় নেহায়াৎ কম নয়। হাজার দুয়েক দর্শক স্টেডিয়ামের পূর্ব ও পশ্চিম দিকের দিকের গ্যালারিটা ভরে তুলেছিলেন। সাদা পোষাকে এমন উপস্থিতি মিরপুর শের-ই-বাংলায়ও খুব একটা দেখা যায় না। বাংলাদেশ! বাংলাদেশ! স্লোগানে মুখর করে রেখেছিলেন গোটা স্টেডিয়াম।
তাদের আসাটাও স্বার্থক হয়েছিল। মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই তাইজুল, সাকিবরা আফগানদের গুটিয়ে দিলেন ৩৪২ রানে। অর্থাৎ প্রথম দিনের ২৭১ রানের সঙ্গে রশিদ খানদের ৭১ রান যোগ করার সুযোগ দিয়েছিলেন সাকিবরা। বাকি ছিল দিনের দুটি সেশনেরও বেশি। বলতে গেলে প্রায় পুরো দিনই। যেখানে সাকিব, মুশফিকদের ব্যাটিং শৈলী দেখার দারুণ সুযোগ ছিল। তাতে তাদের পয়সাও উসুল হত। কিন্তু হায়! সেটা আর হল কোথায়? দ্বিতীয় সেশেনে চা বিরতির আগে বাংলাদেশের পাঁচ ব্যাটসম্যান ড্রেসিংরুমে ফেরায় তারা খেলা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। চলে গেলেন মাঠ ছেড়ে!
কেনই বা যাবে না? টেস্টে মাত্রই জন্ম নেওয়া আফগানিস্তানের সঙ্গে যে ব্যাটিং বাংলাদেশ উপহার দিল তাতে মুখ ফিরিয়ে না নেওয়ার কোন কারণই নেই। দলীয় ১০৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিক শিবির পড়েছিল ফলোঅনের শঙ্কায়। তবে ত্রাতার ভুমিকায় মুমিনুল উপনীত হওয়ায় সেই শঙ্কা অনেকটাই দুরীভুত হয়।
কী অদূরদর্শী ব্যাটিংটাই করল রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা! সাদমান ইসলাম অনিক ফিরে গেলেন রানের খাতা না খুলেই। আফগানদের একমাত্র পেসার ইয়ামিন আহমেদজাইয়ের সুইংয়ে পরাস্ত হলেন। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকাকে ১৭ রানে এলবির ফাঁদে ফেললেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবী।
এরপর শুরু হল রশিদ তান্ডব যা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল সাকিব আল হাসান ও তার দল। রশিদ ঘূর্ণিতে একে একে ক্রিজ ছাড়া হলেন বাংলাদেশের তিন ডাকসাইটে ব্যাটসম্যান, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমকে। দারুণ কৌশলের বলে লিটন দাসকে ব্যক্তিগত ৩৩ রানে করলেন বোল্ড। শর্ট বল ভেবে লিটন ব্যাট চালালে বল গিয়ে আঘাত স্ট্যাম্পে। সাকিব আল হাসানকে ব্যক্তিগত ১১ রানে ফেলেছেন এলবি’র ফাঁদে। মুশফিককেও (০) তাই করেছেন।
তাদের বিদায়ের পর মৃদু ঝড়ো মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে সঙ্গে নিয়ে ক্যারিয়ারের ১৩তম ফিফটি তুলে নেওয়ার পরই নবীর শিকার হয়ে লিখেছেন নিজের ইনিংসের এপিটাফ। ৭১ বলে ৮টি চারের মারে নামের পাশে যোগ করেছেন ৫২ রান।
আরও পড়ুন: অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে বড় জয় টাইগারদের
২য় দিন গ্যালারি ফাকা চট্টগ্রাম টেস্ট টপ নিউজ বাংলাদেশ-আফগানিস্তান