অতীত থেকে প্রেরণা নিতেই পারে বাংলাদেশ
৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২:৩৫
চট্টগ্রাম থেকে: চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত স্বাগতিক বাংলাদেশের চাইতে সব বিবেচনাতেই এগিয়ে সফরকারী আফগানিস্তান। দলীয় সংগ্রহ, ব্যক্তিগত সংগ্রহ, স্পিন শ্রেষ্ঠত্ব এমনকি উইকেটে স্থায়ীত্বের দিক থেকেও। প্রথম ইনিংসে আফগানরা যেখানে ৩৪২ রান করেছে সেখানে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২০৫। ব্যক্তিগত সংগ্রহের শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়ে দলটির এক ব্যাটসম্যান করেছেন সেঞ্চুরি (রহমত শাহ ১০২), আরেকজন গিয়েছিলেন সেঞ্চুরির একেবারে নিঃশ্বাস দূরত্বে (আসগর আফগান ৯২ ) সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৫২ (মুমিনুল হক)। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৮ এসেছে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যাট থেকে।
বোলিংয়ে টার্নিং, অ্যাকুরিসি ও অ্যাপ্লিকেশনেও স্বাগতিকদের চাইতে যোজন যোজন এগিয়ে সফরকারীরা। এতে করে ৩শ মিনিটেই বাংলাদেশ দলের প্রথম ইনিংসের এপিটাফ লিখে দিয়েছে। পক্ষান্তরে রশিদ খানরা উইকেটে থেকেছে ৪৫৪ মিনিট। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে আফগানরা ১৯৩ রানে এগিয়ে।
কিন্তু তাই বলে বিমর্ষ বা হতাশ হওয়ার কারণ ডমিঙ্গো শিষ্যদের নেই। কেননা পিছিয়ে থেকেও ম্যাচ জয়ের অতীত টাইগারদের আছে। সেটা ২০০৯ সালের কথা। সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সেইন্ট ভিনসেন্টে প্রথম ইনিংসে ৬৯ রানে পিছিয়ে থেকেও ম্যাচটি ৯৫ রানে জিতে নিজেদের করে নিয়েছিল সফরকারী বাংলাদেশ।
ঠিক তার পরের টেস্টেই গ্রেনেডায় প্রথম ইনিংসে ৫ রানে পিছিয়ে থেকে ৪ রানে ম্যাচ জয়ের সুখস্মৃতি আছে। ২০১৬ সালেও সেই সুখস্মৃতি ফিরিয়েছিলেন সাকিবরা। ক্রিকেট কুলিন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ২৪ রানে পিছিয়ে পড়েও ১০৮ রানে করেছিল ইংলিশ বধ।
ছবি: শ্যামল নন্দী