এমন ম্যাচ জিতিয়েও আফিফের আক্ষেপ
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:০৯
ঢাকা: বয়স মাত্র ১৯ বছর ৩৫৬ দিন। কিন্তু কাজটি করেছেন অনেক বড়। দলের এক যুগেরও বেশি অভিজ্ঞরা যেখানে জিম্বাবুয়ান বোলারদের তোপে থরহরিকম্প হয়ে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন সেখানে উইকেট আঁকড়ে দেশের জন্য একাই মাঠে লড়েছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। দলীয় ৬০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ডমিঙ্গো শিষ্যরা যখন পুরোপুরি ব্যাক ফুটে ঠিক তখনই ব্যাটিংয়ে নেমে ২শ স্ট্রাইক রেটে ২৬ বলে খেলেছেন ৫২ রানের দাপুটে ইনিংস।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই তুলে নিয়েছেন ফিফটি। তার ব্যাটের এই চওড়া হাসিতেই তিন ফরম্যাটে টানা ৬ ম্যাচ হারের পর জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ।
১৪৫ রানের লক্ষ্য সাকিবরা ছুঁয়ে ফেলেছেন ৭ উইকেটের খরচায়, ২ বল বাকি থাকতেই।
১৮ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মাদজিভার বলে যখন এক্সট্রা কাভারে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার তালুতে বন্দি হলেন তখন জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন মাত্র ৩ রান। কিন্তু তার আগেই ফিরতে হয়েছে তরুণ এই ব্যাটিং অলরাউন্ডারকে। আক্ষেপটি তার এখানেই। দলকে জয় উপহার দিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলে তার আরও ভাল লাগতো।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কাঙ্খিত জয় তুলে নেওয়ার পরে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি একথা বলেন।
আফিফ বললেন, ‘নিজের ব্যাটিং নিয়ে অবশ্যই সন্তুষ্ট কারণ ম্যাচ জেতানোর মতো একটি ইনিংস খেলেছি। নট আউট থাকতে পারলে নিজের কাছে আরও ভালো লাগতো। আমার ইচ্ছে ছিল আমার মতো করে খেলব, অবস্থানুযায়ী ব্যাটিং করার চেষ্টা করব।’
দলের বহু কাঙ্খিত জয়ের পরে ফোন দিয়েছিলেন দেশের ক্রীড়া বান্ধব প্রধানমন্ত্রী। তার সঙ্গে এবং দলের অন্যান্য সদস্যদের কথা বলেছেন, শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ম্যাচ জয়ের পরে দেশ প্রধানের ফোন উদ্বেলিত করেছে তার ক্রিকেটীয় সত্বাকে। ‘ম্যাচ জেতা উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দল ও আমাকে শুভেচ্ছা জানালেন।’
অথচ এই আফিফকেই ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। গেল বছর ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অভিষিক্ত ম্যাচে শূণ্য রানে আউট হলে টানা এক বছর জাতীয় দল থেকে ‘এ’ দল ও হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল। প্রতিভা থাকলে আসলে দমিয়ে রাখা কঠিন। অনন্য প্রতিভাধর আফিফ ঘুরে দাঁড়াতে মঞ্চ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন ওই ‘এ’ দল ও এইচপি দলকেই।
‘গত এক বছর আমি এইচপি দল ও ‘এ’ দলে প্রস্তুতি নিয়েছি। ওখানেই চেয়েছি ভালো পারফর্ম করে ঘুরে দাঁড়াতে।’