পর্দা উঠেছে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ অলিম্পিক গেমসের
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৬:০৯
সারাবাংলা ডেস্ক
জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠেছে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের। প্রতিযোগিতাটি ৯-২৫ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংচ্যাঙয়ে অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ দিন ব্যাপী এই ইভেন্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন।
২০১১ সালের জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি আইওসির ১২৩তম সেশনের পর স্বাগতিক শহরের নাম ঘোষণা করা হয়। স্বাগতিকের জন্য আবেদনকৃত অন্য প্রার্থী শহর ছিল অ্যানিসে, ফ্রান্স এবং মিউনিখ, জার্মানি। পিয়ংচ্যাঙ পূর্বের দরপত্রে ভ্যাঙ্কুবার, কানাডা ও সোচি, রাশিয়া নিকট হেরে তৃতীয় দরপত্রে বিজয়ী হয়।
ঐতিহাসিক এ আসরে অংশ নেওয়ার মধ্যে দিয়ে অবসান হয়েছে দুই কোরিয়ার মধ্যে চির বৈরি সম্পর্কের। উদ্বোধনী মার্চপাস্টে সব দলের শেষে এক ছাতার নিচে হাজির হন দুই কোরিয়ার অ্যাথলেটরা। সবার পরনে ছিল শান্তির প্রতীক সাদা পোশাক।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রধান থমাস বাখ জানান, ‘একসঙ্গে আজ দুই কোরিয়ার ক্রীড়াবিদরা সব বৈরি সম্পর্ক দূর করে শান্তির বার্তা দিয়েছে। আমরা এদিনটির জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। আশা করছি আগামীদিনগুলোতে গেমসে এভাবে তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে।’
২৩তম শীতকালীন অলিম্পিক গেমসকে বলা হচ্ছে পিয়ংচ্যাঙ ২০১৮ অলিম্পিক। এটি এশিয়া মূল ভূখণ্ডে অনুষ্ঠিত প্রথম শীতকালীন অলিম্পিক। এবারের আসরে ১৫টি ডিসিপ্লিনে ১০২টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। ৯৩টি দেশের প্রায় তিন হাজার অ্যাথলেট অংশ নিচ্ছেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্দা নামবে শীতকালীন এই অলিম্পিক গেমসের।
এর আগে ১৯৮৮ সালে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক সিউলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সাপ্পোরো, জাপান ১৯৭২ ও নাগানো, জাপান ১৯৯৮ এর পরে পিয়ংচ্যাঙ তৃতীয় এশীয় শহর যারা শীতকালীন অলিম্পিকের স্বাগতিক হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করলো। এটি ১৯৯২ সালের পরে স্কী রিসোর্ট শহরে অনুষ্ঠিত প্রথম শীতকালীন অলিম্পিক।
সারাবাংলা/এমআরপি