ছুটিতে ক্যারামে মজেছেন মোস্তাফিজ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৯:০৮
ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে সপ্তাহ খানেকের ছুটি পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। এরপরেই ব্যস্ত হয়ে পড়বেন জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) নিয়ে। ৭ অক্টোবর থেকে অনুষ্ঠেয় লঙ্গার ভার্সনের এই টুর্নামেন্টের আগে সবাই নিজের মতো করে ছুটি কাটাচ্ছেন। ব্যতিক্রম নন মোস্তাফিজুর রহমান।
ছুটি পেয়েই ব্যস্ত নগরী ঢাকা ছেড়ে শেকড়ের কাছে সাতক্ষীরায় ছুটে গেছেন এই টাইগার বাঁহাতি পেসার। সেখানে পরিবারের সঙ্গে নির্মল আনন্দে কাটছে তার সময়। তবে দিনের সিংহভাগই নাকি তার ক্যারাম খেলে কাটছে। ছুটিতে ক্যারাম নিয়ে মজেছেন দেশসেরা এই পেসার।
ছুটি শেষে আগামী সোমবার অথবা মঙ্গলবার নাগাদ ঢাকায় ফিরতে পারেন। অবশ্য সেটা নির্ভর করছে তার ফিটনেসের ওপর। শরীরের অবস্থা বিবেচনা করে যদি তিনি মনে করেন ঢাকায় ফিটনেস নিয়ে কাজ করা প্রয়োজন তবেই আসবেন। তা না হলে সাতক্ষীরা থেকেই এনসিএলে খেলতে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। বলে রাখা ভালো, জাতীয় ক্রিকেট লিগে খুলনা বিভাগের হয়ে খেলবেন মোস্তাফিজ।
মোস্তাফিজের ঘণিষ্ঠ এক সূত্র সারাবাংলাকে এই তথ্যটি দিয়েছে। সূত্রটির দেওয়া তথ্য মতে, ‘বাড়িতে প্রায় সারা দিনই ক্যারাম খেলছেন মোস্তাফিজ। আগামী রোববার পর্যন্ত বাড়িতেই থাকবেন। সোমবার অথবা মঙ্গলবার ঢাকা ফিরলেও ফিরতে পারেন। তবে এটা নির্ভর করছে তার ফিটনেসের ওপর। যদি তিনি মনে করেন ফিটনেস নিয়ে ঘাম ঝরানো প্রয়োজন তবেই ফিরবেন। তা না হলে সাতক্ষীরা থেকে খুলনায় যাবেন এনসিএল খেলতে।’
বল হাতে সাম্প্রতিক সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশ দলের এই পেস বোলিং কান্ডারির। বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচে ২০ উইকেট ও লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নাম তুলে দেশে ফেরার পরপরই কেমন ছন্দহীন হয়ে পড়েছেন। জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে খেলা দুই ম্যাচে ২টি করে উইকেট পেলেও ছিলেন ভীষণ খরুচে। প্রথম ম্যাচে ওভার প্রতি ৭.৫০ করে আর দ্বিতীয়টিতে দিয়েছেন ৬.২৫ করে।
ঘরের মাঠে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি ফর্মেটের ত্রিদেশীয় সিরিজেও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। চার ম্যাচ থেকে তার প্রাপ্ত উইকেট সংখ্যা চারটি হলেও রান দিয়েছেন অনেক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৪ ওভার বল করে ১টি উইকেটের বিনিময়ে দিয়েছেন ৩১ রান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে সমান সংখ্যক ওভারে উইকেটশূন্য থেকে দিয়েছেন ২৫ রান। তৃতীয়টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২টি উইকেট হস্তগত করলেও ৪ ওভার থেকে মাসাকাদজারা তুলে নিয়েছেন ৩৮ রান। শেষটিতে ৩ ওভার বল করে উইকেট পেয়েছেন ১টি, কিন্তু রান দিয়েছেন ৩১টি। অর্থাৎ ওভার প্রতি ১০.৩৩ করে।