এক দশক পর ফেরা ক্রিকেটে জয় পাকিস্তানের
১ অক্টোবর ২০১৯ ১২:৫৫
সন্ত্রাসীদের শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের ওপর হামলার পর থেকে দীর্ঘ ১০ বছর পাকিস্তানের ক্রিকেট চলে যায় নির্বাসনে। শেষ ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দল পাকিস্তান সফরে গিয়ে এই হামলার শিকার হয়েছিলে। আর ১০ বছর পর সেই শ্রীলঙ্কায় আবারও পাকিস্তানে ক্রিকেটের সঞ্চারক হিসেবে উপস্থিত। আর দ্বিতীয় ম্যাচেই স্বাগতিক পাকিস্তানের ৬৭ রানের দাপুটে জয়, সেই সাথে ওডিআই সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। বৃষ্টির কারণে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছিল।
করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মুখোমুখি হয় দু’দল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাবর আজমের রেকর্ড গড়া শতকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে পাকিস্তান করে ৩০৫ রান। ৩০৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৯ বল বাকি থেকতেই ২৩৮ রানে অল আউট হয়ে যায় লঙ্কানরা।
টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বাবরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ১০৫ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ১১৫ করেন। আর বাবর আজমের সাথে ৫৪ রান করেন ওপেনার ফখর জামান, ৪০ রান আসে হারিস সোহেলের ব্যাট থেকে। শেষ দিকে ইফতিখার আহমেদ ২০ বলে ঝড়ো ৩২ করলে বড় স্কোর গড়ে স্বাগতিকরা।
বাবর আজমের দুর্দান্ত শতকের পর করাচিতে তাণ্ডব চালায় পাকিস্তানি বোলাররা। মাত্র ২৮ রানেই লঙ্কান টপঅর্ডারের ৫ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরত পাঠায়। আর পাকিস্তানকে এমন শুরু এনে দেন দুর্দান্ত বল করে উসমান শিনওয়ারি। প্রথমেই তিন উইকেট তুলে নেন তিনি।
তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় শ্রীলঙ্কা। এই উইকেট জুটিতে ১৭৭ রানের জুটিতে দলকে জয়ের পথেই রেখেছিলেন শেহান জয়সুরিয়া এবং দাসুন শানাকা। তবে দারুণ ব্যাট করতে থাকা এই দুই ব্যাটসম্যান মাতে দুই ওভারের ব্যবধানে বিদায় নিলে হারটা কেবল সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় লঙ্কানদের। চার রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত জয়সুরিয়া ১০৯ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৯৬ রান করে সেই শিনওয়ারির কাছে উইকেট দিয়েই মাঠ ছাড়েন। শানাকা করেন ৮০ বলে ৬৮ রান। শিনওয়ারি পাঁচ উইকেট তুলে নেন আর শাদাব খান নেন ২টি উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৪৬.৫ ওভারে ২৩৮ রানে থামে লঙ্কানদের ইনিংস।