Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘দরকার হলে ৫ বার সুযোগ দেওয়া হবে’


১ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:৪১

ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ এনসিএল মাঠে গড়াচ্ছে আর কিছু দিনের মধ্যে। আর এর আগেই ক্রিকেট পাড়া সরগরম ফিটনেস টেস্ট নিয়ে। ক্রিকেট বোর্ড থেকে শুরু করে ক্রিকেটার সবাইই এই টেস্টকে দেখছেন বেশ গুরুত্বের সাথেই। এর মধ্যেই অবশ্য বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ফিটনেস টেস্ট উৎরাতে না পেরে বাদ পড়েছেন। তবে তাদের সামনে আবারও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকছে বললেন হাবিবুল বাশার সুমন।

গেল বছরেও এই টেস্ট করা হয়েছিল ক্রিকেটারদের। আর সেই টেস্টের সাথে তুলনা করলে এবারের টেস্ট যে ঢের এগিয়ে তা নিজেই বলে দিলেন সুমন। তিনি বলেন, ‘গতবার যে স্কোরটা ছিল এবার তার চেয়ে একটু বেশি। এটা খেলোয়াড়রা সবাই জানত। নতুন কিছু না। আলোচনা একটু বেশি হয়েছে হয়ত যেহেতু লেভেলটা একটু বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয় যে যাই বলুক খেলোয়াড়রা কিন্তু এটি খুব ইতিবাচকভাবে নিয়েছে।‘

বিজ্ঞাপন

প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ক্রিকেট বিশ্বে দীর্ঘ সময় ধরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ক্রিকেট খেলার জন্য প্রয়োজন সর্বোচ্চ ফিটনেস। আর এই ফিটনেস নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাথে সাথে যে খেলোয়াড়েরাও গুরুত্ব দিচ্ছে সে বিষয়টা বেশ ভাল ভাবেই পরিষ্কার করলেন হাবিবুল বাশার। তিনি বলেন, ‘এই টেস্টটা যে খেলোয়াড়দের জন্যই ভালো তা কিন্তু সবাই উপলব্ধি করতে পেরেছে। আর এই কারণে আমি খুবই খুশি। যতদূর দেখলাম এখন পর্যন্ত ঢাকাতে ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে আমি বেশ সন্তুষ্ট। তবে ঢাকার বাইরের ফলাফল আমরা এখনও হাতে পাইনি।‘

প্রথম ধাপে ঢাকায় ফিটনেস টেস্টে পাশ করেছে প্রায় ৯৬ শতাংশ। যে লক্ষ্যটা বিসিবির সামনে ছিল, সে লক্ষ্য পূর্ণ হয়েছে। যারা এই টেস্টে প্রথমবার পাশ করতে পারেনি তাদের হতাশ হওয়ার কিছুই নেই। তাদের সামনে আবারও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকছে। আর এই বিষয়ে হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘আমরা কিন্তু এটা বলেছি যে যদি কেউ ফিটনেস টেস্ট ফুলফিল করতে না পারে আমরা দ্বিতীয়বার, তৃতীয়বার তাদের পরীক্ষা নেব, এমনকি ফোর্থটাইমও নেব। সুযোগটা থাকবে ওই লেভেলে আসার। আমরা একটা স্ট্যান্ডার্ড ফলো করার চেষ্টা করছি কালচার তৈরি করার চেষ্টা করছি। আমি আশা করছি সবাই এটা বুঝতে পারবে। আমার খেলোয়াড়রা বুঝতে পেরেছে তো আমি খুবই খুশি।‘

বিজ্ঞাপন

গেল বার ফিটনেস টেস্টে পাশ করতে ব্যর্থ হয়েছিল ৪/৫ জন ক্রিকেটার। তবে তাদের সামনে সুযোগ ছিল নিজেদের তৈরি করে আবারও পরীক্ষা দেওয়ার। এবং তারা শেষ পর্যন্তও সুযোগও পেয়েছিল। টেস্টে ফেল করা ক্রিকেটারদের সম্পর্কে সুমন বলেন, ‘দরকার হলে ৫ বার পরীক্ষার সুযোগ দেব। গতবারও দিয়েছি। ৪-৫ জন পারেনি লেভেল ছুঁতে। তাদেরকে রাখা হয়নি এবং সময় দেওয়া হয়েছিল বলা হয়েছিল, তোমরা যখনই পারবা এটা করলেই পরদিন টিমে ঢুকে যাবা। গতবার এভাবে কিন্তু ৩-৪ জন ঢুকেও গিয়েছিল।‘

আধুনিক ক্রিকেটে কেবল ব্যাটিং কিংবা বোলিং জানলেই দলে সুযোগ পাওয়া যাবে না। সেই সাথে চাই ফিটনেস এবং ফিল্ডিং করার সক্ষমতাও। আর এই সিদ্ধান্তটাও নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছেন সুমন।

এনসিএল ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ ফিটনেস টেস্ট হাবিবুল বাশার সুমন

বিজ্ঞাপন

খুলনায় যুবকের পেটে মিলল ইয়াবা
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০২

আরো

সম্পর্কিত খবর