জাতীয় লিগে তিন ধরনের উইকেট চাইছেন রাজ্জাক
৬ অক্টোবর ২০১৯ ১৮:৫২
কোনো উইকেটে স্পিন ঘূর্ণিতে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপ লন্ডভন্ড করে দেবেন স্পিনাররা, কোনোটি হবে পুরো দস্তুর ব্যাটিং। রান বন্যায় ভাসবে দল। আবার কোনো উইকেট হবে পুরোপুরি সিমিং। বাউন্সার তোপ চালিয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের অন্তরাত্মা কাঁপিয়ে তুলবেন পেসাররা। জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ২০১৯-২০২০ মৌসুমের খেলায় এমন তিন ধরনের উইকেট চাইছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার আব্দুর রাজ্জাক।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬০০ উইকেটের মাইলস্টোনের সামনে দাঁড়িয়ে বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাক। ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে ইতোমধ্যেই ৫৮১টি উইকেট হস্তগত করেছেন। আর মাত্র ১৯টি উইকেট থলিতে পুড়তে পারলেই ছুঁয়ে ফেলবেন অনন্য সেই মাইলফলক।
লম্বা এই সময়ে দেখেছেন লঙ্গার ভার্সনের অধিকাংশ ম্যাচই ব্যাটিং উইকেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কখনওবা স্পিনিং উইকেট দেখা গেছে। সিমিং কন্ডিশনও দেখা গেছে তবে সে সংখ্যাটা খুবই নগন্য। কিন্তু স্পোর্টিং উইকেট কখনোই দেখা যায়নি। বিসিবি যদিও অসংখ্যবার স্পোর্টিং উইকেটের আশ্বাস দিয়েছে কিন্তু তার বাস্তবায়ন আজও দেখা যায়নি। অদূর ভবিষ্যতে হবে কী না সেটা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
সেই বিষয়টি হয়তো খুব ভালো করেই জানেন রাজ্জাক। সঙ্গত কারণেই স্পোর্টিং উইকেটের কথা একটিবারও উল্লেখ না করে এনসিএলে স্পিনিং, ব্যাটিং ও সিমিং উইকেটের প্রত্যাশার কথা জানালেন, ‘তিন ধরনের উইকেটে খেললে আরও ভালো হবে। এটা আমার চিন্তা। এটা করলে ভালো হবে। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেললে (ঘরের মাঠে) আমরা টার্নিং উইকেট নিয়ে থাকি। ওদের দলে যদি একটা-দুইটা স্পিনার থাকে তাহলে তাদের জন্য আমাদের ভয় পেতে না হয় এজন্য যেন আমরা জাতীয় লিগে এই ধরনের (টার্নিং উইকেটের) প্রস্তুতিটা নিতে পারি। স্পিনের উইকেটে খেলার জন্য আপনি ঘরোয়া লিগে একই উইকেটে খেলালে ওদের স্পিনার তাতে ভয় বাড়াবে না। আমাদের ব্যাটসম্যানরা স্বচ্ছন্দে পরিস্থিতি সামলাতে পারবে।’
রাজ্জাক আরও জানান, ‘আবার পুরো ব্যাটিং উইকেট করতে হবে, বিভিন্ন দলের হয়ে আমাদের পরিস্থিতি হয়তো বাধ্য করবে ব্যাটিং উইকেট বানাতে। ব্যাটসম্যানদের যেন ওই মানসিকতা থাকে যে আমাদের কীভাবে ব্যাটিং করতে হবে, যাতে লম্বা সময় ধরে খেলতে পারব। এজন্য ব্যাটিং উইকেটে খেলে প্রস্তুতি দরকার।’
‘আর সিমিং কন্ডিশন দরকার কারণ আমাদের বাইরে যেতে হয়। ইংলিশ কন্ডিশনে বা এরকম যেকোনো দেশে গেলে ওরা আমাদের জন্য ঘাসের উইকেট দেবে। সেটার জন্য প্রস্তুতি নিতে আমাদের সিমিং উইকেট তৈরি করলেই হয়। এটা যে আমার মাথায় আসছে তা না, হয়তো বিসিবির মাথায়ও আছে।’ যোগ করেন রাজ্জাক।