যদি ভারত পারে আমরাও পারবো: জামাল ভূঁইয়া
৯ অক্টোবর ২০১৯ ১৯:০৬
ঢাকা: দোহায় গিয়ে অ্যাওয়ে ম্যাচে কাতারকে চমকে দিয়ে পয়েন্ট নিয়ে ফিরেছে ভারত। সেই কাতারের সামনে এখন বাংলাদেশ। র্যাঙ্কিংয়ে বিশদ ব্যবধান। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের রুখে দিয়েছে প্রতিবেশি দেশ ভারত। সেই ম্যাচটা বাংলাদেশকেও খানিকটা আশা যোগাবে বলে মনে করেন লাল-সবুজদের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া।
অধিনায়কের কথায়, ‘ভারতের গোলবারে কাতার ২৯টা শট নিয়েছে। তাদের মাটিতেই ভারত ড্র করে এসেছে। ভারত পারলে আমরাও পারবো। ওরা আক্রমাণত্মক খেলবে। আমাদের কাউন্টার অ্যাটাক খেলে রেজাল্ট আনতে হবে। আমাদের একটা মোটিভেশন আছে যদি ভারত পারে তাহলে আমরাও পারবো।’
খেলার জবাবটা মাঠেই দিতে হয়। তবে তার আগে কৌশলগত পার্থক্য গড়ে দেয় ম্যাচ। সেটাই করে ভারত পয়েন্ট নিয়ে ফিরেছে। এবার বাংলাদেশের পালা। কতটা প্রস্তুত জামাল ভূঁইয়ারা? অধিনায়কের কথায় পুরো প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামছে ফুটবলাররা, ‘সেট পিসের জন্য অনেক কাজ করছে। তাদের শক্তি-দুর্বলতা নিয়ে কাজ করেছে। আশা করছি আমরা সেটা মাঠে দেখানোর চেষ্টা করবো।‘
এই ম্যাচে একেবারে কম সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। রক্ষণ দুর্গ সাজিয়ে কাউন্টার অ্যাটাকে মনোযোগ দিবে বাংলাদেশ। জামালের কণ্ঠে সেরাটা দেয়ার আশ্বাস, ‘কালকের ম্যাচটা আরও কঠিন হবে। কারণ দুইটা দলে অনেক পরিবর্তন আছে। অবশ্যই আমাদের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। নাহলে তারা আমাদের শাস্তি দিবে।’
আফগানদের সঙ্গে ১-০ ব্যবধানে হেরে বাছাইপর্ব শুরু করেছে বাংলাদেশ। এবার কাতারের সঙ্গে সুযোগ নষ্ট করতে চায় না জামালরা, ‘আমরা আফগানিস্তানের সঙ্গে মিস করেছি। কিন্তু এই ম্যাচে সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে।’ সেজন্য ফুটবলারদেরও সেরাটা জাহির করতে হবে মাঠে, ‘যদি সবাই তাদের শতভাগ দেয়। তাহলে সম্ভব। আমরা সবাই জানি কাতারের ফুটবলাররা ভালো লিগে খেলে। এ ম্যাচে কিছু করতে চাইলে আমাদের কিছু করতে হবে।’
গেল এশিয়ান গেমসে কাতার বধ করে ইতিহাস লিখেছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে গোল করেছিলেন অধিনায়ক নিজেই। এবারও তেমন স্বপ্ন আকছেন তিনি, ‘আমি যদি সুযোগ পাই অবশ্যই গোল করার চেষ্টা করবো।‘
এ ম্যাচে জাতীয় দলের স্কোয়াডে বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই তরুণ। বিপলু-রবিউল-সুফিলদের উদ্দেশ্যে জামাল ভূঁইয়ার বার্তা, ‘আমি নতুনদের বলবো, আমরা সবসময় সুযোগ পাই না এই ধরনের ম্যাচ খেলতে। প্রথমত এটা গুরুত্বপূর্ণ খেলাটাকে ইনজয় করো। খেলতে থাকো। নার্ভাস হইও না। মিসটেক করলে নার্ভাস হওয়ার প্রয়োজন নেই। সবাই মিসটেক করে। দেশের জন্য খেলো। এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।’
জেমির অধীনে সেরা দলটাই এবার খেলতে নামছে বলে জানান জামাল, ‘ডিফারেন্সটা হলো জেমির আওতাধীনে বাংলাদেশ দল অনেক সংগঠিত। আমরা অনেক কম গোল খাই এখন। এর আগে আমরা গোল করলেও অন্য দলগুলো অনেক গোল দিতো। আমরা এখন একটা গ্রুপ হয়ে খেলতে পারি। অ্যাপ্রোচ হচ্ছে আমরা তিন পয়েন্টের জন্য খেলবো। সেরাটা দিবো।‘