‘ফেরা’ হলো না তামিমের
১০ অক্টোবর ২০১৯ ১৪:০০
বিশ্বকাপ ভালো যায়নি। শ্রীলঙ্কা সিরিজেও ব্যাটে ছিল নিদারুণ রান খরা। ব্যাট হাতে করতে চেয়েছেন অনেক কিছুই। কিন্তু কিছুই যেন হচ্ছিল না! উপায়ন্ত না পেয়ে সতীর্থ সাকিব আল হাসানের পরামর্শ আমলে নিয়ে নিজেকে ফিরে পেতে গেলেন ছুটিতে। তার ছুটির সময় ঘরের মাঠে গড়াল আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ও তিন জাতির টুর্নামেন্ট-ত্রিদেশীয় সিরিজ। দুটি আসর শেষ হতেই তার ছুটিও শেষ হলো। নেমে পড়লেন অনুশীলনে। পাছে ভাবনা একটিই, নভেম্বরে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, তার আগেই জাতীয় ক্রিকেট লিগ দিয়ে রানে ফিরতে হবে।
সেই ভাবনাকে পাথেয় করে কখনও মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির মাঠে, কখনা বা শের-ই-বাংলার সেন্টার উইকেটে দিনের পর দিন ব্যক্তিগত অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছেন। কিন্তু হায়! জাতীয় ক্রিকেট লিগেও তার ব্যাট হাসল না!
বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই কার কথা বলছি। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালের কথাই বলছি।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের ২১তম আসরে যিনি চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৩০ রানেই নিজের ইনিংসের এপিটাফ লিখে দিয়েছেন। এই রান সংগ্রহে তিনি খেলেছেন ১০৫টি বল। দিনের ৩৭তম ওভারে জাতীয় দলের সতীর্থ ও এই ম্যাচের প্রতিটপক্ষ ঢাকা মেট্রোর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের শর্ট এক ডেলিভারিতে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। মাত্রই তখন মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরেছে দুই দল।
১ উইকেটের বিনিময়ে ৮৮ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছিল তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হকের চট্টগ্রাম বিভাগ। দলের প্রথম উইকেটের পতন হয়েছে দলীয় ৮০ রানে। ২২তম ওভারে ওপেনার সাদেকুর রহমান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বল ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে এলে তার স্ট্যাম্প ভেঙে দেন উইকেটরক্ষক জাবিদ হোসেন। ফেরার আগে সাদেক নামের পাশে যোগ করেছেন ৫১ রান।
তামিম ফিরে যাওয়ার পর উইকেটে এসে থিতু হতে পারেননি অধিনায়ক মুমিনুল হকও। মাত্র ১১ রান করে মাহমুদউল্লাহর তৃতীয় শিকার হয়ে নিজের ইনিংসের ফুলস্টপ টেনে দিয়েছেন। মুমিনুল ফেরার পর ৪০.৩ ওভার শেষে বৃষ্টি হানা দিলে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। তার আগে ৩ উইকেটে ১১৪ রান সংগ্রহ করেছে চট্টগ্রাম বিভাগ। এ রিপোর্ট লেখা অবধি, উইকেটে আছেন দুই ব্যাটসম্যানর পিনাক ঘোষ ও তাসামুল হক। পিনাক অপরাজিত ১৪ রানে ও তাসামুল ১ রানে।