উজ্জ্বল মাহমুদউল্লাহ-তাইজুল, নিষ্প্রভ তামিম-মুমিনুল
১০ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:২৬
জাতীয় ক্রিকেট লিগের ২১তম আসরের প্রথম দিন শেষে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতেই পারেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মিরপুর শের-ই-বাংলায় দুই বার বৃষ্টি বাধায় যে ম্যাচটি ৫১ ওভারের পর আর গড়াল না, সেই ম্যাচে প্রথম দিনেই বল হাতে ভেলকি দেখিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। এদিন ১৪৭ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ যার সবক’টি একাই দখল করেছেন ঢাকা মেট্রোর এই অলরাউন্ডার।
পক্ষান্তরে তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হক ছিলেন ভীষণ নিষ্প্রভ। বিশ্বকাপ ও শ্রীলঙ্কা সফরে টানা ব্যাটিং বিপর্যয়ে নিমজ্জিত তামিম ইকবালের জন্য এটিই ছিল ব্যাটিং ছন্দে ফেরার প্রথম ম্যাচ। অথচ সেই ম্যাচেই কী না মাত্র ৩০ রান করে মাহমুদউল্লাহর শর্ট বলে ঘায়েল হলেন (কট অ্যান্ড বোল্ড)। এই রান সংগ্রহে তাকে খেলতে হয়েছে ১০৫টি বল।
তবে সবচাইতে দৃষ্টিকটু ছিল তার ব্যাটিং স্টাইল। যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন, একেবারেই স্বাচ্ছন্দে ছিলেন না। তাতে প্রশ্ন থেকেই গেল, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগে নিজেকে ফিরে পাবেন তো দেশসেরা এই ব্যাটসম্যান? যেহেতু তিনি এনসিএলে মাত্র ২টি ম্যাচ খেলবেন। প্রথম ইনিংস তো গেলই। বাকি আর তিনটি ইনিংস।
আহামরি কিছু করে দেখাতে পারেননি টেস্ট স্পেশালিস্ট মুমিনুল হকও। তামিম ফেরার পরে ক্রিজে নেমে ৩৮তম ওভারে মাহমুদউল্লার শেষ বলটি তুলে মারতে গেলে গালিতে শামসুর রহমান শুভ’র তালুতে জমে যান। তার আগে নামের পাশে যোগ করেছেন ১১ রান।
তবে ওপেনার সাদিকুর রহমানের ব্যাটিং ছিল বেশ সপ্রতিভ। যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন দারুণ ইতিবাচক ইন্টেন্ট দেখিয়েছেন। লাঞ্চ বিরতির আগে মাহমুদউল্লাহর টোপে স্ট্যাম্পড হয়ে ফিরলেও নামের পাশে যোগ করেছেন ৫১ রান। প্রথম দিন শেষে ৩০ রানে অপরাজিত আছেন পিনাক ঘোষ ও তাসামুল হক ১৭ রানে।
এদিকে ফতুল্লায় দিনের অপর বৃষ্টি বৃঘ্নিত ম্যাচে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে বল হাতে ঘূর্ণি যাদু চালিয়েছেন রাজশাহী বিভাগের তাইজুল ইসলাম। ৫১.৫ ওভারে ঢাকা বিভাগ ১৪৩ রান তুলতে হারিয়েছে ৭ উইকেট। যার চারটিই তুলে নিয়েছেন তাইজুল। অপর ৩টির ২টি শফিউল ইসলাম ও ১টি ছিল শফিকুলের দখলে।
ফতুল্লায় ব্যাট হাতে ঢাকা বিভাগের হয়ে দাপট দেখিয়েছেন রনি তালুকদার। ১১৪ বল খেলে সংগ্রহ করেছেন ৬৩ রান। যেখানে চারের মার ছিল ৫টি ও ছয়ের মার ২টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান এসেছে জয়রাজ শেখের ব্যাট থেকে। বাদ বাকি ৫ ব্যাটসম্যানের আর কেউই ব্যক্তিগত ১৫ রানের বেশি স্পর্শ করতে পারেননি।
এদিকে খুলনা ও রাজশাহীতে দিনের বাকি ২ ম্যাচের একটিতেও বৃষ্টি বাধায় বল গড়ায়নি।