ঢাকা: আর দু’দিন পরেই বন্দরনগরী চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ। কয়েকটি বিদেশি দল ইতোমধ্যে রাজধানীতে পৌঁছেও গেছে। এখন শুধু দামামা বাজার অপেক্ষা। এমন মুহূর্তে তৃতীয় আসর থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ঢাকা আবাহনী।
ম্যাচের শিডিউল যখন চূড়ান্ত তখন ঢাকা আবাহনীর এমন আচরণে অবশ্য বিপাকে পড়তে হচ্ছে আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনীর। এখন নতুন করে এক দিনের মধ্যে দলের শিডিউল পাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আয়োজকদের।
খেলতে না পারার অপরাগতা প্রকাশ করে বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাতে আয়োজকদের বরাবর একটা চিঠি দিয়েছে ঢাকা আবাহনী। সেখানে না খেলতে পারার কারণ হিসেবে ‘দল গোছাতে না পারাকে’ উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে কিছুটা বিব্রত পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে আয়োজকদের। এ ব্যাপারে টুর্নামেন্টের প্রধান সমন্বয়ক তরফদার রুহুল আমিন সারাবাংলাকে জানান, ‘শিডিউল চূড়ান্ত। ঘটা করে সবকিছু করা হয়েছে। হঠাৎ নাম প্রত্যাহার করে নেয়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে আমাদের। ড্রয়ের আগেও বললে করা হতো। ’
দুদিনের মধ্যে আরেকটি দল টুর্নামেন্টে যোগ করা নিয়েও বিপাকে পড়তে হচ্ছে আয়োজকদের। প্রধান এই সমন্বয়ের কথায়, ‘এখন আমরা চেষ্টা করছি। দুটি দলকে প্রস্তাব দিয়েছি। চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি। তাদের মধ্যে কেরালার একটি দল আছে। চূড়ান্ত হলেই আমরা জানাবো।
এর আগে ১১ অক্টোবর টুর্নামেন্টের ড্র অনুষ্ঠান হয়ে গেছে। আটটি দলকে দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। গ্রুপ ‘এ’তে আয়োজক ক্লাব চট্টগ্রাম আবাহনীর অন্য প্রতিপক্ষগুলো হলো টিসি স্পোর্টস, ভারতের মোহনবাগান, লাওসের ইয়াং এলিফ্যান্টস। একটু সহজ গ্রুপই পেল প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নরা। ডেথ গ্রুপে পড়েছিল ঢাকা আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংস। গ্রুপ ‘বি’তে তাদের বাকী দুই প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়ার টেরেঙ্গানু এফসি ও ভারতের চেন্নাই সিটি এফসি। এখন আবাহনীর পরিবর্তে অন্য কোনও দল রিপ্লেস করবে টুর্নামেন্টে।
টুর্নামেন্টের এই তৃতীয় আসরে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে ১০ হাজার ডলার করে দেওয়া হবে। টুর্নামেন্টের রানার্স আপকে প্রাইজমানি হিসেবে ২৫ হাজার ডলার ও চ্যাম্পিয়ন দলকে দেয়া হবে ৫০ হাজার ডলার। প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনী, দ্বিতীয় আসরে টিসি স্পোর্টস আর তৃতীয় আসরে জমজমাট আসর আশা করছেন ফুটবল সংশ্লিষ্টরা।