‘ওরা ভারত সফরটা নষ্ট করার চেষ্টা করছে’
২২ অক্টোবর ২০১৯ ১৬:৩০
ভারত সফরকে নষ্ট করতেই এসব করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, ‘দেখতে চাই কে ক্যাম্পে যাবে, কে যাবে না। কে ইন্ডিয়া ট্যুরে যাবে, কে যাবে না। এগুলো বের করতে তো হবে। আমি আশা করি ভারত সফর হবে। আমার বিশ্বাস বেশিরভাগ ক্রিকেটারই খেলতে চায়। একটু টাকার জন্য ওরা দেশের ক্রিকেটের এত বড় ক্ষতি হয় এমন কাজ করবে এটা আমার বিশ্বাস হয় না।’
সোমবার (২০ অক্টোবর) দেশের ক্রিকেটাররা অপ্রত্যাশিতভাবে বোর্ডের কাছে ১১ দফা দাবি তোলে। একদিন পরেই সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয়ে বলেন বোর্ড সভাপতি। এ সময় তিনি সাকিব-তামিমদের দাবি নিয়ে বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ক্রিকেটারদের বেতন-ভাতা, পারিশ্রমিক, আম্পায়ারদের বেতন, ভারত সফর নিয়ে কথা বলেন বিসিবি সভাপতি।
বিসিবির কাছে না গিয়ে ক্রিকেটারদের সংবাদ সম্মেলন করাটা মেনে নিতে পারছেন না পাপন। তিনি যোগ করেন, কেন আমাদের কাছে আসেনি সেটার কারণ বের করে ফেলেছি। ওরা ভারত সফরটা নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এটাতে ক্রিকেটের ডেভেলপমেন্ট কি হবে এটা ওদের জিজ্ঞাসা করেন। ওরা আসলে এটার সমাধান চায় না। এখানে এমন কোনো দাবি আছে যেটা বিসিবি মানবে না বা মানতে চায় না? আমার কথাটা ভেরি সিম্পল। ওদের জন্য আমাদের দরজা সব সময় খোলা। টাকা আর ফ্যাসিলিটিস নিয়ে আমরা সব সময় ওদের সাথে একমত।
পাপন তার বক্তব্যে বলেন, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ চালায় ক্লাবগুলো। ক্লাবগুলো দাবি জানিয়েছে যে প্লেয়ার ১২ লাখ পেত তারা ৬০ লাখ চায়। টাকা আদায় করে দিতে পারবে না আর বিসিবি। এই দাবিগুলো আমাদের কখনোই তারা বলেনি, এটা ডাহা মিথ্যা কথা। নেক্সট বিপিএল শুরু হওয়ার আগেই আমরা টাকা দিয়ে দিয়েছি। ফ্রাঞ্চাইজিরা টাকা না দিলে বিসিবি দেবে। এখনও ৩ মাস সময় বাকি আছে।
ক্রিকেটারদের একটা দাবি ছিল কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের সংখ্যা ৩০ করতে হবে। এ ব্যাপারে পাপন বলেন, থার্ড ডিভিশনে কন্ট্রোভার্সাল আম্পায়ারদের মধ্যেই ৩/৪ জন আজকে আম্পায়ারিং করছে। ক্যামেরা বসেছে, আমরা দেখছি যদি কিছু খুঁজে পাই তখন ব্যবস্থা নেব। ফার্স্ট ডিভিশনে আছে ৭৯ ক্রিকেটার, প্রথমে ছিল ১০৬ জন, ১৮ জন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছে। আগে আরও বেশি ছিল। যারা ভালো খেলবে তাদের এই চুক্তিতে আনা হবে। ভালো না খেললে কেন চুক্তিতে আনব?
বিসিবি সভাপতি বলেন, আমরা কোনো পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেব না। ওরা যা চাচ্ছে তার বেশিরভাগই দিয়ে দেওয়া হয়েছে আর কিছু এখন প্রক্রিয়াধীন আছে। যখন যাতায়াত খরচ ১ হাজার ছিল তখন তারা ধর্মঘটে যায়নি, সেটা ২৫০০ করার পর অভিযোগ করলো। কম হলে বলুক আমরা বাড়িয়ে দেব। ওরা বললে টাকা বাড়িয়ে দেব। কিন্তু খেলবো না এটা কেন বলবে? না খেললে প্লেয়ারদের আর ক্রিকেটের ক্ষতি। এটার পেছনে যারা কাজ করছে তাদের লাভ হবে এতে।