খুলনা এবং বরিশালের সঙ্গে দুই ঢাকার ম্যাচ ড্র
২৯ অক্টোবর ২০১৯ ১৬:৫৩
জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ডে কক্সবাজারে মুখোমুখি হয় খুলনা বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগ। এনামুল হক বিজয়ের দুই সেঞ্চুরির পরেও ঢাকা বিভাগের সঙ্গে ম্যাচ ড্র করেছে খুলনা বিভাগ। অন্যদিকে তিনদিন খেলা বন্ধ থাকার পর চতুর্থ দিনে ম্যাচ মাঠে গড়ানোর পর ঢাকা মেট্রোর সঙ্গে ম্যাচ ড্র করেছে বরিশাল বিভাগ।
কক্সবাজারে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন খুলনার অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক। ব্যাট করতে নেমে এনামুল হক বিজয়ের ১২৬ আর তুষার ইমরানের ৫৫ রানে ৩৭১ রানে থামে খুলনার ইনিংস। ঢাকার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন তৈবুর রহমান এবং সুমন খান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা বিভাগের চারজন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের অর্ধশতকে ৩১৬ রানে অলআউট হয় তারা। ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন ওপেনার রনি তালুকদার। খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট তুলে নেন মেহেদী হাসান আর তিনটি উইকেট নেন অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক।
ঢাকা বিভাগের ইনিংস ৩১৬ রানে থামলে ৫৫ রানের লিড পায় খুলনা। প্রথম ইনিংসের ন্যয় দ্বিতীয় ইনিংসেও ঝড় তোলে এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট। প্রথম ইনিংসে ১২৬ রানে থামলেও দ্বিতীয় ইনিংসে দেড়শ’র মাইলফলক স্পর্শ করেন বিজয়। ইমরান উজ্জামানের ৬৬, নুরুল হাসান সোহানের ৬১ এবং বিজয়ের অপরাজিত ১৫১ রানে খুলনা ৩ উইকেট হারিয়ে ৩০১ রান তোলার পর ইনিংস ঘোষণা করে খুলনা।
ঢাকার সামনে ৩৫৭ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য, তাড়া করতে নেমে খুলনার বোলারদের তোপের মুখে পড়ে। মেহেদী হাসানের দারুণ বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ঢাকা বিভাগ। দলীয় ৯ রানে ওপেনার জয়রাজ শেখ (৭), ১২ রানে সাইফ হাসান এবং ২১ রানে রনি তালুকদার (৯) আউট হয়ে ফিরলে চাপে পড়ে ঢাকা। এরপর স্কোরবোর্ডে ৪৪ রান তুলতেই হারায় আরও দুই উইকেট। এরপর একে একে ব্যর্থ ঢাকার ব্যাটসম্যানরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন নাদিফ চৌধুরী।
তবে খুলনার বোলারদের কাছে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয় ঢাকা বিভাগকে। ঢাকা বিভাগের ইনিংস থামে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রানে। খুলনার হয়ে ৫টি উইকেট তুলে নেন মেহেদী হাসান এবং একটি করে উইকেট তুলে নেন আব্দুর রাজ্জাক এবং মইনুল ইসলাম। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট তুলে নেওয়ায় ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন মেহেদী হাসান।
অন্যদিকে বগুড়ায় চতুর্থ দিনে এসে প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়ায় বরিশাল এবং ঢাকা মেট্রোর। বরিশালের হয়ে খেলতে নামা মোহাম্মদ আশরাফুলের দুর্দান্ত দেড়শ রানের ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩১২ রান তোলার পর ইনিংস ঘোষণা করে বরিশাল বিভাগ। বরিশালের হয়ে সোহাগ গাজী করেন ৬৮ রান এবং সালমান হোসেন করেন ৫০ রান। ঢাকার হয়ে ৩টি উইকেট তুলে নেন শরিফুল্লাহ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটের বিনিময়ে ৩৪ রান তোলার পর চতুর্থ দিনের খেলা শেষ ঘোষণা করা হয় এবং ম্যাচটি ড্র ঘোষণা করা হয়। ঢাকা মেট্রোর হয়ে সাদমান ইসলাম এবং রাকিন আহমেদ উভয়ই ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
এনামুল হক বিজয় খুলনা বিভাগ বনাম ঢাকা বিভাগ জাতীয় ক্রিকেট লিগ বরিশাল বিভাগ বনাম ঢাকা মেট্রো মোহাম্মদ আশরাফুল