সাকিবের ক্রিকেটে ২ বছরের নিষেধাজ্ঞা আইসিসি’র
২৯ অক্টোবর ২০১৯ ১৮:৪০
সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য সাকিব আল হাসানকে নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। তবে তার বিরুদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগ মেনে নেওয়ায় এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কমানো হবে বলেও জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থাটি। সে অনুযায়ী ২০২০ এর ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেটেই নিষিদ্ধ থাকবেন এই সময়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
আগামী বছর ২৯ অক্টোবর থেকে ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন সাকিব। তবে এরপর পরবর্তী এক বছর আইসিসির নজরদারিতে থাকবেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের বর্তমান টি-টুয়েন্টি ও টেস্ট ক্রিকেটের অধিনায়ক। আইসিসি’র ওয়েব সাইটে এই ঘোষণার কথা জানানো হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে সাকিব আল হাসান আইসিসিকে বলেন, ‘আমার ভালোবাসার এই খেলা থেকে বিরত থাকতে হবে, এটি নিঃসন্দেহে চূড়ান্ত দুঃখজনক। তবে আমাকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সে বিষয়ে আইসিসিকে না জানানোর কারণে আমি সম্পূর্ণভাবে এই নিষেধাজ্ঞা স্বীকার করে নিচ্ছি। আইসিসি’র দুর্নীতি তদন্ত কমিশন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে খেলোয়াড়দের ওপরই নির্ভর করে থাকে। এ ক্ষেত্রে আমি আমার দায়িত্বটি পালন করতে পারিনি।’
এ ব্যাপারে আইসিসি’র জেনারেল ম্যানেজার (ইন্টেগ্রিটি) অ্যালেক্স মার্শাল বলেন, ‘সাকিব আল হাসান একজন অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। তিনি আইসিসি’র বিভিন্ন সেশনে অংশ নিয়েছেন এবং দুর্নীতিবিরোধী যে কোড রয়েছে, তিনি সেসব দায়িত্ব সম্পর্কেও অবগত। তাকে যেসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল (জুয়াড়ির প্রস্তাব), সে সম্পর্কে তার আইসিসিকে জানানো উচিৎ ছিল।’
মার্শাল আরও বলেন, ‘সাকিব তার ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন এবং তদন্তের সময় সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। তরুণ ক্রিকেটাররা যেন তার ভুল থেকে শিখতে পারেন, ভবিষ্যতে সে বিষয়েও তিনি ইন্টেগ্রিটি ইউনিটকে শিক্ষামূলক সেশনগুলোতে সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তার এই প্রস্তাবকে আমি স্বাগত জানাই।’
সাকিবকে তিনটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় আইসিসি। সাকিবের বিরুদ্ধে আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ২.৪.৪ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৮ সালে তিনি তিনবার ক্রিকেট ম্যাচে দুর্নীতির প্রস্তাব পেয়েছিলেন, যেসবের তথ্য তিনি আইসিসিকে জানাননি।
১. ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ের ত্রিদেশীয় সিরিজ কিংবা ২০১৮ সালের আইপিএলে সাকিবকে জুয়াড়িরা দুর্নীতির প্রস্তাব করেছিলেন। সে বিষয়ে আইসিসিকে জানাননি সাকিব।
২. ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ের ত্রিদেশীয় সিরিজেই আরও একবার দুর্নীতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সাকিবকে। সাকিব সে বিষয়টিও আইসিসিকে জানাননি।
৩. ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দারাবাদ ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মধ্যে অনুষ্ঠিত ম্যাচে জুয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। সে বিষয়ে আইসিসিকে না জানিয়ে তিনি ২.৪.৪ ধারা ভঙ্গ করেছেন।